তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট মধ্য আমেরিকা থেকে ফেরার পথে যুক্তরাষ্ট্রে একটা বৈঠক করবেন জেনে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে চীন। দেশটি মনে করে, এমন বৈঠক চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ক্ষতি করবে।
সেন্ট্রাল আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালা এবং বেলিজে সফর শেষে যুক্তরাষ্ট্রে ছোট্ট একটা যাত্রাবিরতি, সেই বিরতিতে যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব কমন্সের স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাতের পরিকল্পনা করেছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তাদের এ সম্ভাব্য সাক্ষাতের খবরটি নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তাইওয়ানের সরকার নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি। তবে বুধবারের এ বৈঠকের আগেই এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দিয়েছে চীন। যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলেসে চীনের কনসুলেট এক বার্তায় বলেছে, এ বৈঠক চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের আরও ক্ষতি করবে।'' সেখানে অতীতে দু দেশের সম্পর্কে যে ‘বিপর্যয়' নেমেছিল সে কথা মনে করিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্কও করা হয়।
ইওয়ান অবশ্য চীনের এ প্রতিক্রিয়াকে বেশি গুরুত্ব দেয়নি। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র জেভিয়ার চ্যাং জানিয়েছেন, তারা এখন বুধবারের বৈঠকের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত। তিনি বলেন, অন্য গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করার অধিকার তাইওয়ানের রয়েছে এবং ‘‘এর মাঝে চীনের ঢুকে পড়ার কোনো জায়গা নেই।''
প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা দেখা দিলেও যুক্তরাষ্ট্র মনে করে এমন যাত্রাবিরতি খুব স্বাভাবিক একটি বিষয়। চীন এবং তাইওয়ান বিষয়টি নিয়ে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে বলেও মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এমন প্রতিক্রিয়াকে সন্দেহের চোখে দেখছে চীন। চীনের কনসুলেটের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাই ইং-ওয়েন এবং কেভিন ম্যাকার্থির এ বৈঠক পুরোপুরি রাজনৈতিক বিষয়, একে ছোট করে দেখানোটা ভুল।
এর আগে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন ‘‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাইওয়ানের কর্তৃপক্ষের যেকোনো ধরনের সরকারি কথাবার্তা ও সংযোগের বিপক্ষে চীন।''
২ দিন ৮ ঘন্টা ৩০ মিনিট আগে
৩ দিন ৮ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে
৩ দিন ৯ ঘন্টা ৭ মিনিট আগে
৩ দিন ১০ ঘন্টা ২০ মিনিট আগে
৫ দিন ৯ ঘন্টা ৪১ মিনিট আগে
৭ দিন ৬ ঘন্টা ৯ মিনিট আগে
৯ দিন ৯ ঘন্টা ৭ মিনিট আগে