মিরসরাই উপজেলার শ্রেষ্ঠ স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে জাতীয় পুরষ্কার পেলেন জসিম উদ্দিন ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত ড. শুচিতা শরমিন বঙ্গোপসাগরে চলতি মাসেই ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা আ. লীগ নিষিদ্ধের দাবি, যা বলছে সরকার আক্কেলপুর আওয়ামী লীগের চার নেতা কর্মী আটক. পীরগাছায় স্পীডফাস্ট কুরিয়ার সার্ভিসের হাব উদ্বোধন সুন্দরবনের বাঘের তাড়ায় লোকালয়ে হরিণ,বনে অবমুক্ত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে পবিপ্রবিতে বিক্ষোভ মিছিল বালিয়াডাঙ্গীতে "স্পীড ফাস্ট কুরিয়ার লিঃ "এর শুভ উদ্বোধন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ইবিতে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ নওগাঁয় ককটেল বিস্ফোরণে উড়ে গেল ঘরের টি গুচ্ছভুক্ত ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত উলিপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় যুবলীগ নেতা বিটু গ্রেপ্তার রাজবাড়ীতে অগ্নিকাণ্ডে খানগঞ্জ ইউনিয়নের ডিজিটাল সেন্টার পুড়ে ছাই হামিদের বিদেশ গমন ও আ.লীগ নিষিদ্ধ নিয়ে মুখ খুললেন আইন উপদেষ্টা পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে সি,সি, ব্লকের ৬০ ভাগ কাজ সম্পন্ন ভারতের ৫০ সেনাকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে যমুনার সামনে অবস্থান জুমার পরও চলবে: হাসনাত ছাত্রদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ ইলিয়াস কাঞ্চনের জেপিবির শার্শায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী ও মাদক ব্যবসায়ীসহ আটক-৩

মেহেরপুরের ছেলে ফিজ ইন্ডিয়ার জনপ্রিয় ইউটিউবার।

মেহেরপুরের গাংনী পৌর এলাকার বাঁশবাড়ীয়া গ্রামে ১৯৯৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ফিজ। বাংলাদেশ থেকে ২০১৯ সালে ইন্ডিয়ায় যান পড়াশোনা করতে। এখন তিনি লেখাপড়া করছেন কলকাতার ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অব হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টে, হোটেল ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে। ২০১৯ সালে লেখাপড়ার সুবাদে ইন্ডিয়ায় গিয়ে তিনি শখের বশে ইউটিউব চ্যানেল খোলেন। একের পর এক ঘুরতে থাকেন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এবং সেগুলো ক্যামেরাবন্দী করতে থাকেন। জানা যায়, কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, রাজস্থান, দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, গোয়া, কেরালাসহ এ পর্যন্ত দেশটির ১২টি রাজ্য ঘুরেছেন ফিজ। প্রতিটি রাজ্য নিয়েই তিনি বানিয়েছেন ভ্রমণ ভ্লগ। দেখিয়েছেন কীভাবে অল্প খরচে ইন্ডিয়ার সব দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করা যায়। ধীরে ধীরে সে ওখানে জনপ্রিয় হয়ে যান ইউটিউবার হিসেবে। দেশে তার জনপ্রিয়তা তৈরি হচ্ছে এখন। একেবারে মেহেরপুরের আঞ্চলিক ভাষায় ভ্লগ করেন ফিজ। বর্তমানে ফেসবুক আর ইউটিউব মিলে তার ফলোয়ার সংখ্যা প্রায় ৯ লাখ।


পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, মাবিয়া খাতুন নামে ফিজের এক ফুফু আছে ইন্ডিয়ায়। ফিজের ছোট ফুফু মাবিয়া খাতুনের বিয়ে হয় ইন্ডিয়ার নদীয়া জেলায়। একসময় সীমান্তে দুই দেশের মানুষের অবাধ যাতায়াত ছিল পাসপোর্ট ভিসা ছাড়াই। ঠিক ওই সময়ে, সেই আশি বা নব্বই দশকে মাবিয়া খাতুনের বিয়ে হয় নদীয়ায়। তখনো কাঁটাতারের বেড়া ওঠেনি সীমান্তে। ফিজ তার দাদির সাথে যেতেন ছোট ফুফুর বাড়ি। ফুফু ভীষণ ভালোবাসতেন ফিজকে।



তারপর হঠাৎ এক সময় কাঁটাতারের বেড়া ওঠে সীমান্তে। হাজার হাজার পরিবার একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় পরস্পর থেকে। কান্নার রোল ওঠে সীমান্তবর্তী জনপদগুলোতে।




অনেকের মতো এক সময় ফিজেরও ফুফুর বাড়ি যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। তবুও ফিজ মাঝে, মাঝে সীমান্তে যেতেন আর ফুফুর দেখা না পেয়ে ঘুরে আসতেন। সীমান্তবর্তী জেলায় বসবাস করায় ফিজের বাড়ি থেকে খুব বেশি দূরে ছিল না তার ফুফুর বাড়ি। কিন্তু দেশ তো ভিন্ন। ফিজের সাত-আট বছর বয়স তখন। 


এক সময় কিশোর বয়সের ফিজের মধ্যে ভীষণ ইচ্ছে জাগে ফুফুকে একদিন দাদির কাছে আনবে! ফিজের সে স্বপ্ন পূরণও হয়েছে। পড়তে গিয়ে প্রথমে ফুফুর বাড়িতেই ওঠেন ফিজ। প্রায় ১৩ বছর পর দাদির সঙ্গে তার ফুফুর কথা বলিয়ে দেন।


ফিজের বাবা মিজানুর রহমান মিজান নিজের কনস্ট্রাকশনের ব্যবসার কাজে থাকতেন ঢাকায়। ফলে মা মমতাজ বেগম একটু শাসনেই রেখেছিলেন ফিজকে। গ্রামময় টইটই করে ঘুরে বেড়ানো এবং খুবই চঞ্চল প্রকৃতির ছিলো ফিজ, মায়ের শাসন বারণ না মানার জন্য। প্রায় প্রতিদিনই ভাগ্যে জুটত মার কিংবা বকা। বাবাও ঢাকা থেকে নিয়মিত ছেলের খোঁজখবর নিতেন মোবাইল ফোনে। দুরন্ত ফিজের কাজকর্ম সম্পর্কে বেশ ধারণা ছিল বাবার। এজন্য তাকে মাঝে, মাঝে তুই আমার অলক্ষ্মী ছেলেও বলতেন বাবা। এটা শুনতে মোটেও ভালো লাগত না ফিজের। ফল যা হওয়ার তা-ই হলো। ২০১৫ সালের দিকে ফিজ এইচএসসি পাস করে অভিমানে মেহেরপুর থেকে পালিয়ে চলে গেলেন গাজীপুরে। উঠলেন চাচার বাসায়। চাচা আবার সংবাদ দিলেন তার বাবাকে। ফলে গিয়ে উঠতে হলো তার বাবার কাছে ঢাকা মোহাম্মদপুরে। ভাগ্যে জুটল বাবার প্রচণ্ড মার ও বকা। কী আর করা! ভর্তি হলেন মোহাম্মদপুরের একটি কলেজে। সেখান থেকে ইন্ডিয়ায়। 


এখন অবশ্য ফিজের বাবা তাকে অলক্ষী থেকে লক্ষী ছেলে বলে ডাকেন। ফিজের এলাকাবাসীরা জানান, প্রথম দিকে আমরা অনেকেই তাকে নিয়ে ট্রল করতাম। বিভিন্ন ভাবে হেনস্তা করতাম। বাজে মন্তব্য করে উপহাসও করেছি অনেক। গ্রামে তার কর্মকাণ্ড দেখে এক সময় আমরা তাকে উন্মাদ বলেও আক্ষা দিতাম। তবে কারো সমালোচনা ফিজ কে দমিয়ে রাখতে পারেনি। সে তার লক্ষে অটুট ছিলো, যার ফলে আজকের এই সাফল্য। এখন ফিজ কে নিয়ে আমাদের অনেক গর্ব হয়। আর এক সময় তাকে নিয়ে করা বাজে মন্তব্যের জন্য খুব আফসোস হয়। এখন ফিজ শুধু আমাদের গ্রামের নয়, পুরো জেলার গর্ব।

আরও খবর

deshchitro-647ad6e1d149e-030623120001.webp
লিবিয়া বাংলাদেশির মৃত্যু।

৭০৬ দিন ১৫ ঘন্টা ৫৩ মিনিট আগে




deshchitro-6465f633446c3-180523035603.webp
সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি যুবক নিহত

৭২২ দিন ৩ ঘন্টা ৫৭ মিনিট আগে