মানুষকে ডিজিটাল নিরাপত্তা দিতে আইনটি করা হয়েছে। কাজেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের প্রশ্নই আসে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, সাংবাদিকরা যাতে এ আইনে হয়রানির শিকার না হয়, সেজন্য আইন মন্ত্রণালয় কাজ করছে। তবে আমেরিকার আইনের চেয়ে আমাদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সহজ।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকদের হয়রানি প্রশ্ন করা হলে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, মানুষকে ডিজিটাল নিরাপত্তা দিতে আইনটি করা হয়েছে। আমেরিকার আইনের চেয়ে আমাদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সহজ। ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য আমেরিকায় যে আইন আছে, ২০১৫ সালে যেটি করা হয়েছে। পরে ২০২২ সালে সেটি আবার সংশোধন করা হয়েছে। সেখানে সর্বোচ্চ শাস্তি রাখা হয়েছে ২০ বছরের কারাদণ্ড। আমাদের আইনে এতো কারাদণ্ড নেই।
তিনি বলেন, ডিজিটাল অপরাধের জন্য যদি কারও মৃত্যু হয়, তবে আমেরিকার আইনে তাতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড রাখা হয়েছে। যে কারণে আমাদের আইন তাদের চেয়ে অনেক সহজ।
মন্ত্রী বলেন, সাইবার অপরাধের জন্য অস্ট্রেলিয়ার আইনও আমাদের চেয়ে কঠিন। ২০২২ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নতুন করে আরেকটি আইন করেছে। সব দেশেই এ আইন আছে। সুতরাং এ আইন বাতিল করার প্রশ্নই আসে না। সব মানুষকে ডিজিটাল নিরাপত্তা দিতে এ আইন। তবে এ আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকরা যাতে হয়রানির শিকার না হন, সেটি নজর দেওয়া প্রয়োজন। আমরা এ ব্যাপারে সতর্ক আছি। আগের তুলনায় এ আইনে সাংবাদিকরা কম হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এখনো হচ্ছেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে এর আগে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আরও কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সেটি আইন মন্ত্রণালয় দেখছে। সব আইনেরই অপব্যবহার হয়। কেবল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনই না।
উদহারণ দিতে গিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, ‘আইনজীবীরাই বলেন নারী নির্যাতনের আশি ভাগ মামলা ভুয়া। এভাবে অনেক আইনের অপব্যবহার হচ্ছে।’
অপরাধ নিয়ে রিপোর্ট করলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার করার হুমকি দেওয়া হয়। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, যারা অপরাধী, তারা-তো হুমকি দেবেই। কেবল সাংবাদিকদেরই না, অনেককেই হুমকি দেয় অপরাধীরা। যা সমীচীন না। কিন্তু সাংবাদিকরা সাহস নিয়ে কাজ করলে সমাজ উপকৃত হবে।
১ দিন ২ ঘন্টা ৫৬ মিনিট আগে
১ দিন ২২ ঘন্টা ১৭ মিনিট আগে
২ দিন ৯ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে
৩ দিন ৫ ঘন্টা ৫৫ মিনিট আগে
৩ দিন ২১ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে
৪ দিন ৬ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে
৮ দিন ২ ঘন্টা ৬ মিনিট আগে