আলোচিত-সমালোচিত গায়ক মাঈনুল আহসান নোবেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে। শনিবার তাকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে নোবেলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রসঙ্গে কথা বলেন ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ।
তিনি বলেন, ‘উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন ‘সারেগামাপা’ খ্যাত সঙ্গীতশিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেল। তিনি প্রতিদিন মদ্যপানে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। উচ্ছৃঙ্খল জীবনে অভ্যস্ত হয়ে তিনি স্ত্রীকে মারধর করে বাসা থেকে বের করে দিয়েছেন। প্রতিদিন ৩-৪টি ঘুমের ওষুধ খেয়ে তিনি দীর্ঘক্ষণ ঘুমিয়ে থাকেন। এ কারণে তিনি টাকা নিয়েও অনুষ্ঠানে যেতে পারেন না।’
হারুন অর রশিদ বলেন, ‘গায়ক নোবেল বিভিন্ন প্রোগ্রামে গিয়ে অতিরিক্ত মদ্যপান করে মাতাল হয়ে মঞ্চ ভেঙে ফেলেন, এমন অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তার স্ত্রীকে প্রচণ্ড মারধর করে বাসা থেকে বের করে দিয়েছেন বলে নির্যাতনের শিকার নারী আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন। আমাদের কাছে বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ এসেছে, তিনি টাকা নিয়ে প্রোগ্রামে না গিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এসব অভিযোগে তাকে আমরা নিয়ে এসেছি। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, সেই মামলায় তাকে আমরা আদালতে পাঠাব।’
ডিবিপ্রধান বলেন, ‘নোবেল অনেক সময় টাকা নিয়ে অনুষ্ঠানে যান না। আর গেলেও অতিরিক্ত মদ্যপান করে অনুষ্ঠানের মঞ্চ ভাঙচুর করেন। তাকে আমরা বিভিন্ন সময় বোঝানোর চেষ্টা করেছি। তার স্ত্রী ৩-৪ দিন এসে মৌখিক অভিযোগ করেছেন। তিনি তার স্ত্রীকে বিভিন্ন সময় প্রচণ্ড মারধর করতেন, পরে আবার তাকে চিকিৎসাও করাতেন।’
নোবেলের স্ত্রী বিভিন্ন সময় অভিযোগ করেছেন, নোবেল প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার মদ্যপান করেন। তার পেছনে একটি বড় চক্র রয়েছে—এসব বিষয়ে কোনো তথ্য পেয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নে ডিবিপ্রধান বলেন, ‘ওনার স্ত্রী বিস্তারিত বলতে পারবেন। তবে এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখছি। তাকে রিমান্ডে এনে এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করব আমরা।’
হারুন অর রশিদ আরও বলেন, ‘নোবেলের সঙ্গে কথা বলে আমরা জানতে পেরেছি, তাকে প্রতিদিন মদ্যপান করতে হয়। প্রতিদিন ৩-৪টি ঘুমের ওষুধ খেয়ে তাকে ঘুমাতে হয়। তিনি স্বীকার করেছেন, তিনি অন্য শিল্পীদের কাছে মদ্যপান, গাঁজা ও ইয়াবা সেবন শিখেছেন। তার কথায় আমরা বুঝতে পারি, এসব কারণে তিনি সারাদিন ঘুমান এবং ঘুমের কারণে টাকা নিয়ে প্রোগ্রাম করতে যেতে পারেন না।’
ডিবি সূত্রে জানা গেছে, অগ্রিম টাকা নিয়ে অনুষ্ঠানে না গিয়ে প্রতারণার অভিযোগে নোবেলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ২০১৬ ব্যাচ এর শিক্ষার্থী মো. সাফায়েত ইসলাম। গত ১৬ মে তিনি মতিঝিল থানায় প্রতারণার অভিযোগে মামলাটি করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৮ এপ্রিল শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬ এর প্রথম পুনর্মিলনী উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য মাইনুল আহসান নোবেলের সঙ্গে এক লাখ ৭৫ হাজার টাকার চুক্তি করা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে নোবেলকে এক লাখ ৭২ হাজার টাকা দেয়া হয়। তবে অনুষ্ঠানে না গিয়ে তিনি প্রতারণা করে এ অর্থ আত্মসাৎ করেন।
১ দিন ৮ ঘন্টা ১৪ মিনিট আগে
২ দিন ৫ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে
২ দিন ৫ ঘন্টা ২৯ মিনিট আগে
১৪ দিন ৩ ঘন্টা ২৫ মিনিট আগে
১৬ দিন ২ ঘন্টা ৫৬ মিনিট আগে
৩৪ দিন ৪ ঘন্টা ১৪ মিনিট আগে
৩৬ দিন ২ ঘন্টা ৫ মিনিট আগে
৩৬ দিন ১৩ ঘন্টা ২৩ মিনিট আগে