জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ এবং জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে জলবায়ু ধর্মঘট পালন করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্টেপ আপ ফর টুমরো ও বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা। Don’t Sell Our Future; Climate Education in NDCs; System Change, Not Climate Change; There is No Planet B—এমন নানা স্লোগান ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে তারা বিক্ষোভ করেন।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে শতাধিক শিক্ষার্থী এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়। স্টেপ আপ ফর টুমরোর ৩০ জন তরুণ জলবায়ুকর্মীও এতে অংশ নেয়। সংগঠনটির নেতৃত্বে ২০২৪ সালে রংপুরে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছিল জলবায়ু ধর্মঘট। তারই ধারাবাহিকতায় বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এবারো জলবায়ু ধর্মঘট আয়োজিত হয়।
তরুণদের দাবি, ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে এসে নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় উন্নয়নশীল দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠী, অথচ ক্ষতিপূরণের পরিবর্তে এসব দেশকে ঋণ দেয়া হয়। তাদের দাবি, জলবায়ু সুবিচার নিশ্চিত করতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে অনুদানভিত্তিক সহায়তা দিতে হবে।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, পরিবেশ দূষণ দিন দিন মানুষের গড় আয়ু কমিয়ে দিচ্ছে। বায়ু দূষণ, প্লাস্টিক দূষণ ও পানির দুষণ—তিনটিই এখন জাতীয় সংকটে পরিণত হয়েছে। এ সংকট সমাধানে রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব রয়েছে। জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান (NDCs)-এর মধ্যে জলবায়ু শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে যাতে শিশু ও তরুণ প্রজন্ম জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতন হতে পারে এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হতে পারে।
ধর্মঘটে অংশ নেয়া স্কুল শিক্ষার্থী তোফাজ্জল বলেন, ‘আমি ধর্মঘট করছি, কারণ জলবায়ু সংকট এখনই মোকাবেলা না করলে আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। আমি চাই আমাদের পৃথিবীটা বাসযোগ্য থাকুক—গাছপালা, নদী, মানুষ ও প্রাণীদের জন্য।’
স্টেপ আপ ফর টুমরোর জাতীয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সোহাগ কুমার বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন এখন আর শুধু পরিবেশগত সংকট নয়, এটি এক সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংকট। আমাদের বেঁচে থাকার অধিকার হুমকির মুখে, তাই এখনই ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।’
কর্মসূচির মাধ্যমে তরুণরা নীতিনির্ধারকদের জলবায়ু সংক্রান্ত নীতিমালায় তরুণ ও শিশুদের কণ্ঠস্বর অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান।
১৬ ঘন্টা ৪৯ মিনিট আগে
১ দিন ১৭ ঘন্টা ৪ মিনিট আগে
১ দিন ১৯ ঘন্টা ৪২ মিনিট আগে
১ দিন ২০ ঘন্টা ৫৮ মিনিট আগে
২ দিন ১৫ ঘন্টা ৪৮ মিনিট আগে
২ দিন ১৮ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে
৩ দিন ১৪ ঘন্টা ৩২ মিনিট আগে