মার্চ ফর গাজা: কোন পথে যাবেন, জেনে নিন নির্দেশনা জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়ন বন্ধ ও জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে জলবায়ু ধর্মঘট আদমদীঘিতে বিএনপির ঈদ পুর্নমিলনী উপলক্ষে কর্মী সভা আদমদীঘিতে ১২০পিস এ্যাম্পুলসহ একজন গ্রেপ্তার আশাশুনির গোয়ালডাঙ্গায় বেড়ী রাস্তা ভাঙ্গন স্থানে রক্ষা কাজ শুরু কটিয়াদীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবিতে তরুণ-তরুণীদের ধর্মঘট মোংলার পার্শবর্তী জিউধারায় ৩ দিনব্যাপী সাধুর মেলা বারুণী স্নানে লাখো মানুষের ঢল ভোলায় সদর হাসপাতালের ডাক্তারকে গণধোলাই লাখাইয়ে বিক্রি হচ্ছে ক্ষতিকর রং ও ক্যামিকেল যুক্ত আইসক্রিম, স্বাস্থ্য ঝুকিতে কোমলমতি শিশুরা। দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে জলবায়ু ধর্মঘট: তহবিলের দাবি ফুলবাড়ীতে সাবেক পুলিশ সদস্যের বাড়ির দরজা-জানালা ভাঙচুর, থানায় অভিযোগ কৃষিগুচ্ছে ভর্তিচ্ছুদের জন্য বাকৃবির বিশেষ বাস সার্ভিস ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে অভয়নগরে ভাঙ্গা গেট বাজারে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত শ্রীধরপুর ইউনিয়ন ইমাম পরিষদের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় ইসরায়েলি বর্বরতার বিপক্ষে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ মিছিলে জনতার ঢল। মাওলানা ভাসানীর প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান ও স্মৃতিচিহ্ন বিলুপ্তপ্রায় সরকারি ও বেসরকারি খাতে জবাবদিহিতার বৈষম্য: শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বাস্তবতা ও প্রভাব নওগাঁর নিয়ামতপুরে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২ উন্নত বিশ্বে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে : আসিফ নজরুল

আজ রামগড় হানাদারমুক্ত দিবস

আজ রামগড় হানাদারমুক্ত দিবস


এমদাদ খান (রামগড়) খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি 


আজ ৮ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ি জেলার সীমান্ত শহর রামগড় হানাদারমুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে অকুতোয়ভয় মুক্তিসেনা ও ভারতীয় মিত্র বাহিনীর আক্রমণে পাক হানাদার বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়।

মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তি বাঙালি জনতা জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে রামগড় প্রবেশ করে এবং স্বাধীনতার লাল সবুজের পতাকা উত্তোলন করে রামগড় কে শক্রমুক্ত ঘোষণা করে।


এইদিন পড়ন্ত বিকালে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও পরবর্তীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য প্রয়াত সুলতান আহমেদ মুক্তিকামী বাঙালিদের নিয়ে রামগড় ডাকঘরের শীর্ষে বাংলার লাল-সবুজের পতাকাটি উত্তোলন করে রামগড়কে হানাদারমুক্ত ঘোষণা করে।


মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ভারতের সীমান্ত সংলগ্ন ফেনী নদীর তীরে অবস্থিত তৎকালীন মহকুমা শহর রামগড় ছিল চট্রগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সশস্ত্র প্রতিরোধ সংগ্রামের প্রাণকেন্দ্র। রামগড় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠটি ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ শিবির।


তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান এখান থেকে যুদ্ধ পরিচালনা করতেন। মেজর জিয়াউর রহমান এক পর্যায়ে যোগাযোগ স্থাপন করেন ভারতীয় পূর্বাঞ্চলীয় বিএসএফ’র প্রধান ব্রিগেডিয়ার পান্ডের সঙ্গে। ৪ এপ্রিল তেলিয়া পাড়া বিএসএফ ক্যাম্পে ব্রিগেডিয়ার পান্ডের সাথে কনফারেন্স করেন, মেজর জিয়াউর রহমান, মেজর শফিউল্লাহ, মেজর খালেদ মোশারফ ও মেজর শাফায়েতসহ বিদ্রোহী সেনা কর্মকর্তারা। ওই কনফারেন্সে মেজর জিয়াউর রহমানকে চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী অঞ্চলে যুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়।


২ মে পাক বাহিনীর রামগড়ের ব্যাপক আক্রমন চালায়। রামগড়ে মুক্তিযুদ্ধ প্রশিক্ষন ক্যাম্পের দায়িত্ব প্রাপ্ত মেজর রফিকুল ইসলাম সমস্ত স্থাপনা ও যুদ্ধ সামগ্রী সীমান্তের ওপারে ভারতের সাবরুমে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন। মুক্তিযোদ্ধাদের অসম সাহসী লাড়াইয়ের পরেও রামগড়ের পতন হয়।


পরবর্তীতে ভারতের বিভিন্ন প্রশিক্ষন শিবির থেকে মুক্তিযোদ্ধারা মিত্র বাহিনীর সহযোগিতায় আবারো পাক সেনাদের ওপর আক্রমন শুরু করে। ৭ ডিসেম্বর রাতে এবং ৮ ডিসেম্বর ভোরে ভারতীয় দুটি জঙ্গী বিমান রামগড়ে পাক বাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনার উপর দু’দফা সফল হামলা চালিয়ে রামগড়কে হানাদারমুক্ত করে।

Tag
আরও খবর