পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে একটি কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় মোঃ আতাউল্লাহ (২০) নামে এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছে। বর্তমানে সে ঢাকা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহত যুবক উপজেলার মির্জাগঞ্জ গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সত্তার হাওলাদারের ছেলে।
বুধবার (২৮ জুন) রাত আনুমানিক সাড়ে আটটার দিকে সুবিদখালী হাসপাতাল রোডের মজিবরের চায়ের দোকানে সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় কিশোর তাওহীদ ও সৈকতের নেতৃত্বে ৪/৫ জনের একটি গ্যাং পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালায় বলে জানা যায়। এ ঘটনার পর উপজেলা জুড়ে ব্যাপক তোলপার সৃষ্টি হয়। উপজেলার সুশীল সমাজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। সেই সাথে মির্জাগঞ্জে হঠাৎ কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য বেড়ে যাওয়ায় যুব সমাজ নিয়ে ক্ষোভ ও শঙ্কাও প্রকাশ করেছেন তাঁরা। অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানান সুশীলরা।
হামলাকারী তাওহীদ উপজেলার সুবিদখালী বাজারের ব্যবসায়ী বাচ্চু'র ছেলে এবং সৈকত গোলখালী গ্রামের খালেক জোমাদ্দারের ছেলে।
আহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যার দিকে ফুটবল খেলার সময় আতাউল্লাহর এক বন্ধু আহত হয়। পরে তাকে নিয়ে হাসপাতালে গেলে ফেরার পথে তাওহীদ ও সৈকতসহ ৪/৫ জন কিশোর মিলে অতর্কিতভাবে আতাউল্লাহকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। এসময় তার ডাক-চিৎকার স্থানীয়রা এগিয়ে এলে কিশোর গ্যাংটি দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যায়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। অবস্থার আরো অবনতি হওয়ায় সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই রাতেই তাকে ঢাকা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। ওই যুবক বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ থানার ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, কয়েক মাস পূর্বে মির্জাগঞ্জ মাজারে মাহফিলের সময় আহত আতাউল্লাহ ও হামলাকারী তাওহীদের মাঝে ঝামেলা হয়েছিল। সেই জের ধরে তাওহীদের নেতৃত্বে কয়েকজন কিশোর একত্রিত হয়ে এ ঘটনা ঘটায়। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন।
৩৩ দিন ২১ ঘন্টা ২২ মিনিট আগে
৪৪ দিন ২ ঘন্টা ১১ মিনিট আগে
৫৭ দিন ২৩ ঘন্টা ১৩ মিনিট আগে
৬৬ দিন ৯ ঘন্টা ৫৭ মিনিট আগে
৬৮ দিন ৫ ঘন্টা ৫৯ মিনিট আগে
৬৯ দিন ১৭ ঘন্টা ১৫ মিনিট আগে
৭৩ দিন ৩ ঘন্টা ৫০ মিনিট আগে