"রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রথম দুটো বিল্ডিং এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন।" বিছানায় মল ত্যাগ করার ঘটনায় মাদকাসক্ত বাবার হাতে ছেলে খুন গাজীপুর জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের নতুন কমিটি ঘোষণা নাগেশ্বরী পৌরসভার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হোসেন ফাকু গ্রেফতার লেক্সাস গার্ডেনে বানিয়াচং মডেল প্রেসক্লাবের ৪র্থ বার্ষিক আনন্দ ভ্রমণ ঈদে নতুন নোট কবে থেকে পাওয়া যাবে, মিলবে ব্যাংকের যেসব শাখায় অন্তর্বর্তী সরকারের কারও নামে কোন স্থাপনা হবে না: ওয়াহিদউদ্দিন শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক মানের খুনি: সালাউদ্দিন আহমেদ ৬২ শতাংশ ভারতীয় শেখ হাসিনাকে তাড়িয়ে দিতে চান লামায় ২৬ রাবার শ্রমিককে অপহরণ ঢাকা থেকে ফুলবাড়ী এসেও গ্রেফতার এড়াতে পারলেন না কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী দোলনা আক্তার পরিকল্পিতভাবে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা ধর্মপাশা অপারেশন ডেভিল হান্টে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার দিনাজপুরে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত পুনর্গঠনের জন্য গাজার 'দখল' নিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: প্রতিবাদ জবি শিক্ষার্থীদের আধুনিক রাষ্ট্রে সবার মাঝে জ্ঞান-বিজ্ঞানের পাশাপাশি ইসলামের শান্তির বার্তা পৌঁছিয়ে দিতে হবে : জবি উপাচার্য নাচ গান কবিতায় জবিতে বসন্ত বরণ শহীদ সাজিদের স্মরণে জবিতে ছাত্র অধিকার পরিষদের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট নড়িয়ার মিনি চিড়িয়াখানায় অবৈধভাবে রাখা ৩১টি বিভিন্ন বন্যপ্রাণী উদ্ধার ও অবমুক্ত আশাশুনি প্রেসক্লাবের প্রয়াত সাংবাদিকদের স্মরণে স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠান

বিশ্ববিদ্যালয় আইন লঙ্ঘন করে বেরোবিতে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ

ইবতেশাম রহমান - রিপোর্টার

প্রকাশের সময়: 14-03-2024 07:08:22 am

নিয়ম অনুযায়ী বিভাগীয় অধ্যাপকের মধ্যে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পালাক্রমে তিন বছরের জন্য বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ করার, কোনো বিভাগে অধ্যাপক না থাকলে সহযোগী অধ্যাপকের মধ্যে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে নিয়োগ করা, আইনের ওই ধারার শর্ত অনুযায়ী সহযোগী অধ্যাপকের নিম্নের কোন শিক্ষককে বিভাগীয় প্রধান পদে নিযুক্ত করা যাবে না। সহযোগী অধ্যাপক না থাকলে তখন বিভাগের প্রবীণতম শিক্ষক বিভাগীয় প্রধান হতে পারবেন। 




তবে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রংপুরের গণযোগযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নিয়োগে এসব নিয়ম নীতির তোয়াক্তা করা হয়নি। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৯ এর ২৮ (৩) ধারা লঙ্ঘন করে একজন সহকারী অধ্যাপককে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অবৈধ এই আদেশ বাতিল চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন আইন অনুযায়ী বিভাগীয় প্রধান পদ প্রাপ্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধান। 



লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর এর গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ২০১২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি 'প্রভাষক' হিসেবে যোগদান করেন মো. তাবিউর রহমান প্রধান। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আপগ্রেডেশন/প্রমোশন নীতিমালা অনুযায়ী যথানিয়মে 'সহকারী অধ্যাপক' এবং আপগ্রেডেশনের মাধ্যমে পদোন্নতি পেয়ে ২০২১ সালের ৭ মার্চ থেকে 'সহযোগী অধ্যাপক' হিসেবে কর্মরত আছেন। এ বিভাগে কর্মরত শিক্ষকগণের মধ্যে তিনজন সহযোগী অধ্যাপক, চারজন সহকারী অধ্যাপক এবং দুইজন প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন। সহযোগী অধ্যাপকগণের মধ্যে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে তাবিউর রহমান প্রধানের অবস্থান দ্বিতীয়। বিভাগে কর্মরত জ্যেষ্ঠ সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ নজরুল ইসলাম ১০ মার্চ বিভাগীয় প্রধান' হিসেবে তাঁর দায়িত্বের মেয়াদ শেষ করেন। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর আইন ২০০৯ এর ধারা-২৮(৩) অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পালাক্রম অনুযায়ী 'বিভাগীয় প্রধান' হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার কথা তাবিউর রহমান প্রধানের। কিন্তু তা না করে সহকারী অধ্যাপক নিয়ামুন নাহারকে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব প্রদান করে কর্তৃপক্ষ।




সহযোগী অধ্যাপক মো. তাবিউর রহমান প্রধান বলেন, জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে বিভাগীয় প্রধান পদে নিয়োগের জন্য সহযোগী অধ্যাপক থাকা স্বত্ত্বেও বেরোবির আইন লঙ্ঘন করে সহকারী অধ্যাপক নিয়ামুন নাহারকে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণে 'আইনগত জটিলতা' থাকার কথা বলা হলেও বিভাগে কর্মরত শিক্ষকবৃন্দের জ্যেষ্ঠতার বিষয়ে কোন আইনগত জটিলতা নেই। শিক্ষকগণের জ্যেষ্ঠতা অনুযায়ী যথানিয়মে বিভাগের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। জ্যেষ্ঠতা অনুযায়ী সকল কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলমান থাকলেও বিভাগীয় প্রধান নিয়ে কেন জ্যেষ্ঠতার প্রশ্ন তোলা হচ্ছে সেটা বোধগম্য নয়। এ বিষয়ে বিভাগের শিক্ষকগণের পক্ষ থেকে উপাচার্য মহোদয়ের সঙ্গে দেখা করে এ বিষয়ে প্রতিকার চাওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। 


বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর দেয়া অভিযোগপত্রটির অনুলিপি উপাচার্য , কোষাধ্যক্ষ, সকল অনুষদের ডিন, সকল বিভাগীয় প্রধান এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে দিয়েছেন তিনি। 


 এদিকে ১০ মার্চ দেওয়া নিয়োগপত্রে বলা হয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় রংপুর-এর গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে কর্মরত শিক্ষকগণের জ্যেষ্ঠতার নির্ধারণে আইনগত জটিলতা থাকায় নিয়ামুন নাহারকে গণযোগযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব প্রদান করা হলো। একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, সহকারী অধ্যাপক নিয়ামুন নাহার বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করে ইতোমধ্যেই লিখিতভাবে প্রশাসনকে জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায় নি। তবে গতকাল বিকেল ৫টায় এই রিপোর্ট লেখার সময়ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে নিয়ামুন নাহারকে দেখানো হচ্ছে। 


নতুন বিভাগীয় প্রধান নিয়ামুন নাহার বলেন, আমাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে গত পরশুদিন। আমি ওটা রিফিউজ করেছি। আমি রিজাইন করেছি। আমি জয়েনেই করিনি।


আইনগত জটিলতার বিষয়ে কথা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী বলেন, এই নিয়োগ বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুসরণ করে কার্যক্রম করা হয়েছে। তাবিউর রহমানের বিরুদ্ধে কোর্ট মামলা আছে।

আরও খবর


ছাত্র সংসদ নির্বাচন কেন জরুরি?

২০৪ দিন ১৮ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে


আমার দেখা কোটা আন্দোলন

২০৭ দিন ৮ ঘন্টা ৪৯ মিনিট আগে



আমাদের আত্মসম্মানবোধ

২৪০ দিন ১৩ ঘন্টা ৯ মিনিট আগে