সুখ এবং ভালোবাসা উপলব্ধির বিষয়। এই উপলব্ধি মানুষ ঠিক তখনই করে, যখন আশেপাশের মানুষগুলো তাকে ভালোবাসে, তার সাথে ভালো ব্যবহার করে।
আচ্ছা, একটাবার ভেবে দেখুন তো।
জীবনের সাথে জড়িয়ে থাকা সব মানুষগুলো কী আপনাকে সমান ভাবে ভালোবাসে? নিশ্চয়ই না। সবাই আপনাকে পছন্দ করবে না, সবাই আপনার প্রতি আন্তরিক হবে না।
আপনি যখন চরম হতাশায়, খারাপ সময়ে জীবনের হাল ছেড়ে দিয়েছেন, ঠিক তখনই বিধাতা কাউকে না কাউকে পাঠাবে জীবনে। সে আপনার প্রতি এতটাই যত্নশীল হবে, নিজেকে তখন সুখী ভাবতে থাকবেন। আর এই যে অনুভূতি কারো ভালোবাসা পেয়ে নিজেকে সুখী মনে হওয়া, এই উপলব্ধি থেকে আপনি নতুন ভাবে বাঁচতে শিখবেন।
এভাবে দিনের পর দিন মানুষটার কেয়ারিং, আন্তরিকতা, ভালোবাসা, সময় দেয়ার ব্যাপারটা আপনাকে তার প্রতি আসক্ত করতে বাধ্য করবে। জীবনের হাল ছেড়ে দেওয়া সেই আপনিই বাঁচতে চাইবেন যুগের পর যুগ।
এভাবে ধীরে ধীরে যখন আপনি সেই মানুষটার প্রতি এডিক্টেট, তখন সে তার গন্তব্য পাল্টাবে! হুট করে বদলে যাবে তার চিরাচরিত সময় দেয়ার রুটিন৷ ব্যস্ততার অজুহাত, অভিযোগের কারণে না চাইতেই বিস্তার দূরত্ব বাড়াবে!
বেচারা আপনি, না পারবেন সহ্য করতে আর না পারবেন এই ভয়ংকর মায়া থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে! মানুষটার অবহেলার কাছে মাথা নত করে ফের আপনি হতাশার অতল গহ্বরে তলিয়ে যেতে যেতে ফের জীবনের স্বাদ নিতে ভুলে যাবেন! যদিও কখনো তার থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারেন, কিন্তু তার স্মৃতি আপনার পায়ে শেকল পরিয়ে রাখবে আমৃত্যু! আপনি ছেড়ে গিয়েও না পারবেন ভালো থাকতে, আর না পারবেন তাকে ভুলতে!
লেখক : প্রণব মন্ডল, কবি এবং কলামিস্ট।
৮ দিন ১৪ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে
২৮ দিন ৯ ঘন্টা ২২ মিনিট আগে
৩৬ দিন ১৬ ঘন্টা ৩৭ মিনিট আগে
৩৯ দিন ১৬ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে
৫২ দিন ৯ ঘন্টা ৫৭ মিনিট আগে
৫৩ দিন ১০ ঘন্টা ৩৬ মিনিট আগে
৫৭ দিন ৯ ঘন্টা ২৩ মিনিট আগে
৮৮ দিন ১২ ঘন্টা ২৯ মিনিট আগে