আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের খাজরা হাকিমিয়া দাখিল মাদ্রাসার অফিস কক্ষে বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবির পাশ থেকে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে সেখানে সাবেক সুপার ও মাদ্রাসার বর্তমান সভাপতি নাশকতা মামলার আসামী পিরোজপুর গ্রামের মৃত বদন সরদারের ছেলে মাওঃ রুহুল আমিনের ছবি টাঙিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত সুপার আবু রায়হান বুলবুল। বিতর্কিত ওই সুপার বর্তমান সভাপতির ছেলে।
জাতির পিতার ছবি সরিয়ে নিজের পিতার ছবি টাঙানোর ঘটনাটি বুধবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে প্রশাসন নড়েনড়ে বসেন। বিতর্কিত ওই সুপারের বিরুদ্ধে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে ৩ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম।
প্রত্যক্ষদর্শী আনারুল ইসলাম জানান, বুধবার (১৭ মে) দুপুরে খাজরা হাকিমিয়া দাখিল মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা যায়, মাদ্রাসার অফিস কক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ছবির পাশে বর্তমান সভাপতির ছবি টাঙানো। অপর দেওয়ালে এক পাশে অযত্নে পড়ে আছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি। বিষয়টি আমরা আশাশুনি উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান এসএম শাহনেওয়াজ ডালিমকে অবহিত করি।
খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান শাহ নেওয়াজ ডালিম জানান, লোক মুখে শুনে আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা দীনেশ চন্দ্র মন্ডল, হাজী তোফাজ্জেল হোসেন মোড়ল, আওয়ামীলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম, রিপন হোসেন, হারুন আল কবিরকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করি। এরপর বিষয়টি সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার, সাতক্ষীরা-৩ আসনের মাননীয় এমপি ডা. আফম রুহুল হক স্যার ও আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জকে জানাই। তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, এই সভাপতি ও তার ছেলে ভারপ্রাপ্ত সুপার আবু রায়হান বুলবুল একের পর এক দূর্নীতি করে যাচ্ছেন। বর্তমান সভাপতি একাধিক নাশকতা মামলার আসামী। আমি এই জঘন্য ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করছি।
বীরমুক্তিযোদ্ধা দীনেশ চন্দ্র বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষাখাতকে উন্নত করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই সরকারের আমলে জাতির পিতার ছবিকে অবমাননা করার মত অন্যায় আমাদের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব না। আমরা এর উপযুক্ত শাস্তি চাই।
এবিষয়ে মাদ্রাসার সিনিয়র মৌলভী মোঃ মোশাররফ হোসেন জানান, সাবেক সুপার ও বর্তমান সভাপতি এবং ভারপ্রাপ্ত সুপার দুজনে পিতা-পুত্র। তারা ইচ্ছামত অফিস পরিচালনা করেন। আমাদের কোন মূল্যায়ন করে না।
মাদ্রাসার দপ্তরী বিকাশ চন্দ্র মন্ডল জানান, ৭/৮ মাস পূর্বে সুপার সাহেবের কথামত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবির পাশে সাবেক সুপারের ছবি টানাই। জাতির পিতার ছবি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সরানো হয়েছিল।
এদিকে আশাশুনি থানার এসআই মিঠুন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মাদ্রাসা পরিদর্শন করেছেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম জানান, ইউপি চেয়ারম্যান সাহেবের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ওই সুপারকে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ মাদ্রাসায় পৌছে দেওয়া হয়েছে।
এঘটনায় মাদ্রাসা চলাকালিন সময়ের ভারপ্রাপ্ত সুপার আবু রায়হান উপস্থিত না থাকায় ফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া না যাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভ হয়নি।
২২ ঘন্টা ৩৮ মিনিট আগে
৩ দিন ৪ ঘন্টা ৪০ মিনিট আগে
৩ দিন ২২ ঘন্টা ২৫ মিনিট আগে
৪ দিন ২২ ঘন্টা ৫৯ মিনিট আগে
৪ দিন ২৩ ঘন্টা ২ মিনিট আগে
৫ দিন ৩ ঘন্টা ৩৬ মিনিট আগে
১০ দিন ২৫ মিনিট আগে