আশাশনির সর্বত্র মোবাইলে চলছে জমজমাট জুয়া। এতে করে বিপথগামী হচ্ছে ছাত্র ও যুবসমাজসহ নানা শ্রেনীর নানা পেশার মানুষ। মোবাইলে জুয়া খেলার সফটওয়্যার’টি আসার পর জুয়ারিদের কাছে সহজ সরঞ্জাম হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে।সূত্র জানায়, অনলাইনভিত্তিক লুডু, ক্যারাম, তরুণদের মধ্যে তুমুল জনপ্রিয় এরপর হালের পাবজি গেইম, ফ্রি-ফায়ারসহ শতাধিক গেমে আসক্ত হচ্ছেন কিশোর-কিশোরীরা। জানা যায়, ওয়ান এক্স ওয়াটারের মতো বেট ৩৬৫ ডটকম, ৮৮ স্পোর্টস ডটকম, রেবটওয়ে ডটকম, বেটফ্রিড ডটকম, ডাফাবেট ডটকম, বেটফেয়ার ডটকম, ইউনিবেট ডটকম, বেটভিক্টর ডটকম, নেটবেট ডটকম, টাইটানবেট ডটকম, উইনার ডটকম, পেডি পাওয়ার ডটকম, বাজীগর ডটকম, প্রেবেট৩৬৫ ডটকম, লগ১০ ডট লাইভ, ৯ক্রিকেট, বিডিটি ১০ডটকম, বেটবি২ ডটকম, বেটস্কোর২৪ ডটকম, টাকা৬৫ ডটকম, উইনস৬৫ ডটকম, জয়টি২০ ডটকম, ভিক্টর ২৬ ডটকম, ৬ক্রিকেট ডটকম, ইন্ডিতা৯৬ ডটকম, লাকবেট বিডি ডটকম, ওপেনবেট ডট লাইভ, এলবিএস২৪ ডটকম, বেট উইন ৯৬ ডটকম, স্পোর্টস ৩৩৩ ডটকম ও বেটবাটার ফ্লাই ডটকমসহ অর্ধশতাধিক জুয়ারর অনলাইন সাইট রয়ছে।আর এসব খেলায় বেশিরভাগ সাইট পরিচালনা করা হচ্ছে দেশের বাইরে থেকে। চাহিদা বাড়ায় প্রতিদিনই গজিয়ে উঠছে নতুন সাইট। ফলে কিশোর-কিশোরীরাও এ ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এসব অনলাইন জুয়ার প্লাট ফর্মে নিঃস্ব হচ্ছে অনেকে।গ্রামগঞ্জের সাধারণ মানুষও খোয়াচ্ছে বিপুল পরিমাণ টাকা। অনেকে ধার-দেনায় জর্জরিত হয়ে পড়ছেন। বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদ। আশাশুনিতে কিছুদিন আগে জুয়ায় সর্বস্ব হারানো এক সন্তানের জন্য পিতাকে আত্ম হত্যা করতে হয়েছে। খেটে খওয়া মানুষ দিনের উপার্জনের পুরোটাই দিয়ে দিচ্ছেন এসব অনলাইন জুয়ায়। অনলাইনে জুয় ওয়ান এক্স বেটা সাইট ও বেশ জনপ্রিয়। এ সাইট গুলোতে ফুটবল, ক্রিকেটসহ বিভিন্ন খেলা নিয়ে বাজি ধরা যায়।ক্রিকেটে প্রতি বলে বলে ,ম্যাচের প্রথম ওভারের প্রথম বলে, প্রতি ওভারে, প্রতি ম্যাচের প্রথম ছয় ওভার, পরবর্তী ওভারে উইকেট যাবে কি না ও কোন দল জিতবে এমন করে জুয়ার ক্যাটাগরি সাজানো। আশাশুনির বুধহাট ফুটবমাঠ, বুধহাটা বটতলা,বুধহাটা ছাতিন তলা,গাজীরমাঠ,পাইথলী,নৈকাটি,গুনাকরকাটি,কুল্যা,জোড়দিয়ার বাঁধ প্রকাশ্যে চলছে এ জূয়া।আর এ জূয়ার পিছনে টাকা ধার দেওয়ার জন্য গড়ে উঠেছে একটি সুদে চক্র।এক হাজার টাকায় সপ্তাহে দিতে হয় পঞ্চাশ টাকা।টাকা পরিশোধ করতে না পারলে চলে অমানুষিক নির্যাতন।ফলে জুয়ার টাকা হেরে ঋণ গ্রহিতাকে হতে হয় গ্রাম ছাড়া নতুবা আত্মহনেনর পথ বেছে নিতে হয়।পেশাদার জুয়ারিরা হাজার হাজার টাকার বাজিতে প্রতিটি গেইমের জুয়া খেলছে বলে জানা গেছে।জানাগেছে, যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরোয়, তারাও পর্যন্ত এ কাজের সাথে যুক্ত রয়েছে। আশাশুনির সচেতন নাগরিক কমিটির নেতারা বলেন, মোবাইলে নামে জুয়া খেলা চলছে। জুয়া খেলা অপরাধ। মোবাইল জুয়া বন্ধে জনসচেতনা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি প্রশাসনের সহ যোগিতার মাধ্যমে নজরদারি করলে মোবাইল জুয়া বন্ধ হতে পারে। এর পরেও ছাত্র ও যুবকরা খেলায় প্রতিযোগীতার পাশাপাশি বাজি ধরে অনেক সময়ই খেলে থাকে। কিছু কিছু সময় বাজি যদি টাকার অংক নাও হয় সেটি দোকানের বিভিন্ন কোমল পানীয়,সাবান,তৈল অথবা ফাস্টফুড আইটেম হয়ে থাকে।এতে প্রতিটি গেমে খেলোয়াড়রা কমপক্ষে ৫০ থেকে ৫০০ টাকা বাজি ধরছে। সারাদিনের বিভিন্ন সময়ে এ খেলা চলতেই থাকে। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবারগুলো। জুয়ার টাকা জোগাড় করতে বিপথগামী হয়ে পড়ছে তরুণ এবং কিশোররা। মোবাইলের এই জুয়াকে কেন্দ্র করেই ঘটছে নানা ঘটনা। এই জুয়ার জুয়ার টাকা জোগাড় করতে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে তারা। তবে জুয়া খেলা বন্ধে এখন পর্যন্ত কোনো প্রশাসনিক তৎপরতা যা আছে সেটা অপ্রতুল বলে মনে করেন সচেতন ব্যক্তিরা।এক কলেজ শিক্ষক জানান, যে এ্যাপস এর মাধ্যমে এই জুয়া খেলা খেলছে তা বন্ধ করা উচিত। কেননা এ খেলা নিয়েই মারা-মারিসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত হয়। অনতিবিলম্বে এটা বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দরকার।
২২ ঘন্টা ৪৬ মিনিট আগে
৩ দিন ৪ ঘন্টা ৪৭ মিনিট আগে
৩ দিন ২২ ঘন্টা ৩২ মিনিট আগে
৪ দিন ২৩ ঘন্টা ৬ মিনিট আগে
৪ দিন ২৩ ঘন্টা ৯ মিনিট আগে
৫ দিন ৩ ঘন্টা ৪৩ মিনিট আগে
১০ দিন ৩৩ মিনিট আগে