আশাশুনি উপজেলার নাকতাড়া কালিবাড়ি বাজারের আজিজ
কো-অপারেটিভ কমার্স এন্ড ফাইন্যান্স ব্যাংক লিঃ (শাখা) এর শাখা ম্যানেজার ও
জুনিয়ার অফিসারের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আদালতে মামলা রুজু
হয়েছে। অভিযুক্ত ম্যানেজার আত্মরক্ষায় নানা জালিয়াতি ও মিথ্যা প্রচার
প্রচারনার মাধ্যমে বাদী ও স্বাক্ষীদেরকে সম্মান হানি ও নাজেহাল করে যাচ্ছেন
বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সাতক্ষীরা চীফ জুডিশিয়াল
ম্যজিস্ট্রেট আদালতে দায়েরকৃত মামলা সিআর ৪৫২/২৩ সুত্র, বাদী ব্যাংকের
জুনিয়ার অফিসার রাজগুল ইসলাম ও স্বাক্ষীরা জানান, ২০১৭ সালে ব্যাংকটি
প্রতিষ্ঠা হয়। পরবর্তীতে বাদী চাকরীর জন্য যোগ্য বিবেচিত হলে আসামী তার
কাছে জামানত হিসাবে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা দাবী করেন। তিনি জামানতের টাকা ও
বেতনের টাকা বাবদ মোট ৬ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা পাবেন। স্বাক্ষী জুনিয়ার অফিসার
দীন মোহাম্মদ জামানত ও বেতনের টাকা বাবদ ৬ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা, জুনিয়ার
অফিসার আলমগীর কবীর জামানত ও বেতনের ৬ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা, ক্যাশিয়ার
রোজিনা পারভিন জামানত ও বেতন বাবদ ৯ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা, মোট ২৫ লক্ষ ৯৯
হাজার টাকা এবং গ্রাহকরা ২৯ লক্ষ ১ হাজার টাকা, সর্বমোট ৫৫ লক্ষ টাকা
ম্যানেজারের কাছে পাবেন। টাকা চাইলে ২০/০৬/২৩ তাং টাকা পরিশোধ করবেন বলে
সময় নেন তিনি। কিন্তু টাকা না দিয়ে এক বছর আগে (৩০/০৬/২২) তাকে ম্যানেজারের
পদ হতে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জাল-জারিয়াতি কাগজ তৈরি করে প্রচারনা
চালাতে থাকেন। অথচ ম্যানেজার আঃ রাজ্জাক ২৯/৯/২২. ১৬/১০/২২, ২/১/২৩ ও
৭/৪/২৩ তাং এবং পরবর্তীতে গ্রাহকদের কাছ থেকে ব্যাংকের রিসিটের মাধ্যমে
টাকা গ্রহন ও চেক, মানি ভাউচার সই সম্পাদন করেছেন। এনিয়ে কথাবার্তার এক
পর্যায়ে জালজালিয়াতি করে ভুল করেছে স্বীকার করে বাদী, স্বাক্ষী ও গ্রাহকদের
পাওনা টাকা ২৫/০৮/২৩ তাং মধ্যে শোধ করবেন বলে সময় নেন তিনি। কিন্তু টাকা
না দেওয়ায় ২৫/৯/২৩ তাং বাদী ও কতক স্বাক্ষী ব্যাংকের সামনের রাস্তায়
আসামীকে পেয়ে টাকা দাবী করলে তোদের টাকা দেবেনা, যা পারিস করে নিশ বলে
তাড়িয়ে দেয়। বাধ্য হয়ে বিজ্ঞ আদালতে ম্যানেজার ও তার সহযোগি জুনিয়ার অফিসার
ফয়সাল আমিনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাদী জানান, জালজালিয়াতি
বিজ্ঞ আদালতে প্রমানিত হবে ভেবে আসামী পত্রপত্রিকায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ
প্রকাশের পাশাপাশি নানা ভাবে অপ প্রচার চালিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করে
যাচ্ছেন। তিনি মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন। তাছাড়া শাখার
দায়িত্ব ম্যানেজারের থাকায় তিনি গ্রাহকদের বিনিয়োগের ও জামানতের অসংখ্য চেক
নিজ দায়িত্বে রেখে গ্রাহকদের হয়রানী করছেন। এব্যাপারে তিনি আইন প্রয়োগকারী
সংস্থা ও বিজ্ঞ আদালতের সহযোগিতা কামনা করেছেন।