আশাশুনিতে জাতীয় তামাক মুক্তদিবস'২৩ পালন ও দেশব্যাপাী
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের লক্ষ্যে ‘তামাক কোম্পানির বেপরোয়া’ শীর্ষক সংবাদ
সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে এনজিও মৌমাছির প্রধান কার্যালয়ে এ
কর্মসূচি পালন করা হয়।
বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট,
এইড ফাউন্ডেশন, সুন্দরবন ফাউন্ডেশন, গণচেতনা, যুগেরযাত্রী, মিডা, প্রভা,
সিমান্ত, ডুইডো ও মৌমাছির আয়োজনে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা মহিলা
ভাইস চেয়ারম্যান মোসলেমা খাতুন মিলি। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, কামাল
আহম্মেদ মুকুল, মিডার নিবার্হী পরিচালক দুলাল চন্দ্র দাশ, মৌমাছি’র সভাপতি
রঞ্জনদেব বম্মর্ন। মৌমাছি’র নিবার্হী পরিচালক সুশান্ত মল্লিকের সঞ্চলনায়
বক্তব্য রাখেন, জেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সাকিবুর রহমান বাবলা,
সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের নিবার্হী পরিচালক শেখ আবজাল হোসেন, সনাতন ধর্ম জাগরণী
সংঘের সহ:সম্পাদক হরেন্দ্র নাথ সরকার, প্রশান্ত মিস্ত্রী, উপজেলা হিন্দু
বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নেতা বিবেকানন্দ মন্ডল লিটন, রমেশ মন্ডল,
নিরঞ্জন মাহাত, মরিয়ম খাতুন। সাংবাদিকদেও প্রশ্নের জবাবে তারা জানান সরকার
২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করতে নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। অথচ
তামাক কোম্পানিগুলো সরকারের জনস্বাস্থ্য রক্ষার এই মহৎ উদ্যোগকে ব্যাহত
করতে নানা অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ অপচেষ্টার মূল উদ্দেশ্য দেশের তরুণ সমাজকে
ধূমপানের দিকে আকৃষ্ট করা। তারা আইন ভঙ্গ করে বিজ্ঞাপন করার পাশাপাশি,
প্রণোদনা, রেষ্টুরেন্টে ধূমপানের স্থান তৈরি, বিশ্ববিদ্যালয়ে দূত নিয়োগ
করছে। আপনার সন্তানকে ধূমপায়ী বানিয়ে বাণিজ্য করাই তাদের উদ্দেশ্য। দেশে
ব্যবসা করা ২টি বিদেশী সিগারেট কোম্পানি এই বেআইনী কার্যক্রমে নেতৃত্ব
দিচ্ছেন বলেও জানান। এ সময় তারা দ্রুততম সময়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন
সংশোধনী চূড়ান্ত করা, তামাক কোম্পানির প্রভাব থেকে নীতি সুরক্ষায়
এফসিটিসি এর অনুচ্ছেদ ৫.৩ অনুসারে ‘কোড অব কন্ডাক্ট’ গ্রহণ, ‘জাতীয় তামাক
নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি’ দ্রুত চূড়ান্ত এবং দেশব্যাপী যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণ,
টাস্কফোর্স কমিটিসমূহ সক্রিয় করা, কমিটির ত্রৈমাসিক সভা নিয়মিতকরণ, সভার
সিদ্ধান্তসমূহ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা, আইন লঙ্ঘনের দায়ে তামাক
কোম্পানি/প্রতিনিধিকে আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি জেল প্রদান, আইন লঙ্ঘনকারী
তামাক কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা, তামাক নিয়ন্ত্রণ
আইন মনিটরিং কার্যক্রমের সাথে বেসরকারী সংস্থাগুলোকে সম্পৃক্ত করা, মাননীয়
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুসারে একটি শক্তিশালী তামাক কর নীতি প্রণয়ন ও
বাস্তবায়ন করার দাবী জানান।