আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের গাবতলা-বাশতলা-হামকুড়া নদীর উপর নির্মিত ব্রিজটি দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে।
দীর্ঘদিনের
পুরাতন ব্রিজ ও রেলিং ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ভাঙাচোরা ও নড়বড়ে এ
ব্রিজ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী এবং
দুই-ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষসহ ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করে থাকে। যে কোনো
মুহূর্তে ব্রিজটি ভেঙে দুর্ঘটনার শঙ্কা বিরাজ করছে। ব্রীজ ভেঙে গেলে
কাদাকাটি বাজার টু গাবতলা সড়কে যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাবে। জরাজীর্ণ
ব্রিজটি ভেঙে নতুন ব্রিজ নির্মাণ করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা
জানান, কুল্যার হাজিরহাটে যাতায়াতের জন্য গাবতলা হতে কাদাকাটি বাজার সড়কের
হামকুড়া নদীর ওপর প্রায় ৪০ বছর আগে এ ব্রিজটি নির্মিত হয়। ৩০ মিটার
দৈর্ঘ্য ও আড়াই মিটার প্রস্থের এ ব্রিজটি দিয়ে কাদাকাটি বাজারসহ বিভিন্ন
এলাকার মানুষ এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। এছাড়া ব্রিজটি ব্যবহার করতে
হয় কৃষিপণ্যসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী ছোট-বড় অনেক যানবাহন চালকদের। কিন্তু প্রায়
ছয় বছর আগে জনগুরুত্বপূর্ণ এ ব্রিজটিতে ভাঙন দেখা দেয়। ইতোমধ্যে ব্রীজের
বিভিন্ন অংশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পথচারীরা জানান, ব্রিজটি একদিকে
জরাজীর্ণ, অন্যদিকে প্রস্তে একেবারে ছোট। ফলে পণ্যবাহী কোনো যানবাহন
ব্রিজের উপর দিয়ে সহজে চলাচল করতে পারে না।
স্থানীয় স্কুল কলেজ শিক্ষার্থীরা জানান, প্রতিদিন ঝুঁকির মধ্যে ব্রিজটি পার হয়ে স্কুল কলেজে যাতায়াত করতে হয় তাদের।
স্থানীয়
কৃষক প্রভাষ দাশ, নিরঞ্জন সানা, শ্রীকান্ত সানা বলেন, আমাদের উৎপাদিত
কৃষিপণ্য বাজারে তুলতে এ ব্রিজ ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু ব্রিজটি
ঝুঁকিপূর্ণ হাওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয় তাদের।
এ
বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য উত্তম কুমার দাস জানান, ব্রিজটি ভাঙাচোরা হওয়ার
কারণে গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। তারপরও বিকল্প ব্যবস্থা না
থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ওই ব্রিজটি ব্যবহার করতে হচ্ছে স্থানীয়দের। তিনি আরও
বলেন, ‘সরকার দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে বড় বড় ব্রিজ নির্মাণ করছেন। এ
এলাকার হাজারো মানুষের কথা চিন্তা করে এখানে নতুন একটি ব্রিজ নির্মাণের
উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে আসা ব্যক্ত করেন তিনি।
কুল্যা
ইউপি চেয়ারম্যান ওমর সাকি ফেরদৌস পলাশ বলেন, বিষয়টি নিয়ে সাতক্ষীরা ৩
আসনের সংসদ সদস্যকে অবহিত করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটির স্থলে একটি নতুন
ব্রিজ নির্মাণের প্রস্তাবনা ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহাগ খান বলেন, 'ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি
বহুদিন আগে নির্মাণ করা হয়েছিল। বর্তমানে এটা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে এটা
আমাদের জানা নেই। সরেজমিন দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।