আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের পক্ষে পৃথক
দু'টি নির্বাচনী জন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৩ জানুয়ারী) খাজরা ইউনিয়ন
পরিষদ চত্বরে ও গদাইপুর কাছারীবাড়ি মাঠে এ জন সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ইউনিয়নের
বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে হাজার হাজার আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী ও নৌকার সমর্থকরা
মিছিল নিয়ে জন সভায় যোগদান করে। গদাইপুরের জনসভায় সভাপতিত্ব করেন খাজরা
ইউনিয়ন পরিষদের বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব শাহ
নেওয়াজ ডালিম। প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৫ বারের নৌকার মাঝি অধ্যাপক ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক এমপি।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন, চেয়ারম্যান শাহ নেওয়াজ ডালিম। উপজেলা ভাইস
চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ও
বক্তব্য রাখেন, সাবেক এমপি আলহাজ্ব ডাঃ মোখলেছুর রহমান, এমপি রুহুল হকের
পুত্র ইঞ্জিনিয়ার জিয়াউল হক সুমন, জেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ রাজ্যেশ্বর
দাশ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শম্ভুজিত মন্ডল, উপজেলা মহিলা ভাইস
চেয়ারম্যান মোসলেমা খাতুন মিলি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি জামান
শাহেদ, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আঃ হান্নান, সদর ইউপি চেয়ারম্যান
হোসেনুজ্জামান হোসেন, বুধহাটা চেয়ারম্যান প্রভাষক মাহবুবুল হক ডাবলু,
শ্রীউলা চেয়ারম্যান প্রভাষক দীপঙ্কর বাছাড় দিপু, বড়দল চেয়ারম্যান জগদীশ
চন্দ্র সানা, কাদাকাটি চেয়ারম্যান দীপঙ্কর সরকার দিপ, কুল্যা চেয়ারম্যান
ওমর ছাকি পলাশ, প্রতাপনগর চেয়ারম্যান হাজী আবু দাউদ, উপজেলা কৃষকলীগের
উপদেষ্টা শেখ জালাল উদ্দীন, উপজেলা শ্রমিকলীগেরর সভাপতি ঢালী সামছুল আলম,
সাবেক চেয়া
রম্যান সেলিম রেজা মিলন, শেখ জাকির হোসেন,
নুরুল আলম, আঃ আলীম মোল্যা, আব্দুল বাছেত হারুন চৌধুরী, জেলা যুব মহিলা
লীগ সাধারন সম্পাদক সীমা সিদ্দিকী, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাসেল হোসেন,
সাধারণ সম্পাদক মিঠুন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মিলন কান্তি
মন্ডল, শ্রমিকলীগের সভাপতি ছাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রধান
অতিথি ডাঃ রুহুল হক বলেন, বিএনপি-জামায়াত অগ্নি সন্ত্রাস করে, দেশের
মানুষকে ভয় দেখিয়ে পেছনের পথ দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু
তাদের আন্দোলন জনগণ মেনে নেওয়ায় নির্বাচন কেন্দ্রে ভোটারদের যেতে বাঁধা
দেওয়া ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ভিন্ন পথে হাটছে।ভোটারদেন ভোট দিতে বাধাদানের অধিকার
তাদের নেই। বাঁধা দিলে বাংলার জনগণ তার দাঁতভাঙা জবাব দেবে। তিনি বলেন,
আশাশুনিতে মানিকখালী ব্রীজ, বড়দল ব্রীজ, চাপড়া ব্রীজ, বসুখালী ব্রীজ,
শোভনালী ব্রীজ, তেঁতুলিয়া ব্রীজ ও বাঁশতলা ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে। ছোট-বড়
প্রায় ৩০০ কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে, শতভাগ বিদ্যুতায়ন করে দুটি
সাব-ষ্টেশন নির্মান করা হয়েছে, কপোতাক্ষ নদ, মরিচ্চাপ, বেতনা, সাপমারা ও
হাবড়া নদী খনন এবং ১৫০ কি.মি. খাল খনন করে জলাবদ্ধতা দূরীকরণ করা হয়েছে,
মুজিব বর্ষে ১৫০০ টি গৃহহীন পরিবারের মাঝে ঘর ও জমি প্রদান করা হয়েছে।
আশাশুনি উপজেলা কমপ্লেক্স ও অডিটোরিয়াম নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। সকল অসহায়
মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন সহায়তা ও সর্বসাধারনের কল্যানে সরকার কাজজ করে
যাচ্ছে। তিনি সরকারের উন্নয়নধারা অব্যাহত রাখতে নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে
সকলের কাছে আহবান জানান।