আশাশুনির খাজরা ও বড়দল ইউনিয়নের ১০ গ্রামের স্থায়ী জলাবদ্ধতা নিরসনে স্লুইস গেট সংলগ্ন খালগুলো উন্মুক্ত করার দাবি জানিেেছন এলাকাবাসি।উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের পশ্চিম খালিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন চেউটিয়া টু খাজরা সড়কে ভূক্তভোগী এলাকাবাসীর আয়োজনে ঘন্টা ব্যাপী এক মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে শনিবার।মানববন্ধনে খাজরা ইউনিয়নের ফটিকখালি, গজুয়াকাটি, খালিয়া, পশ্চিম খাজরা, দেয়াবর্ষিয়া, পিরোজপুর, রাউতাড়া, কাপসণ্ডা ও বড়দল ইউনিয়নের বাইনতলা, পাচপোতা সহ বিভিন্ন গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত সহস্রাধিক জমির মালিকগন অংশ গ্রহন করেন।। এলাকা বাসি বলেন বিগত ২/৩ বছর ধরে জলাবদ্ধতা এবং গত এক বছর যাবত লবনাক্ত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না হওয়ায় ধান্য চাষ একেবারেই বন্ধ হয়ে পড়েছে আশাশুনি উপজেলার খাজরা ও বড়দল ইউনিয়নের প্রায় ৩ হাজার একর আমন ধানের আবাদি জমি। এক ফসলি জমি হওয়ায় এই এলাকায় খাদ্য সংকটে পড়ে বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে স্থানীয় মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে নিন্ম মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারের মানুষ। পানি নিষ্কাশনের স্থায়ী সমাধানের জন্য আমরা বিভিন্ন মহলে ও জনপ্রতিনিধির কাছে দেন দরবার করেও অদ্যবধি কার্যকরি কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার কারনে জলাবদ্ধতার একমাত্র অন্তরায় স্লুইস গেট সংলগ্ন খালগুলো উন্মুক্ত করার দাবিতে রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি।২০২৩ সালে কোন ফসল ঘরে তুলতে পারিনি তাই পরবর্তী ফসল নির্বিঘ্নে চাষাবাদ করতে এখন প্রয়োজন পানি নিষ্কাশনের স্থায়ী ব্যবস্থা। উল্লেখ্য গত আষাঢ় মাস থেকে অতিবৃষ্টি ও লবন পানির ঘের মালিকদের নিষ্কাশিত লবনাক্ত পানিতে আমরা ডুবে আছি। সংশ্লিষ্ট এলাকার পানি কালকি স্লুইস গেট দিয়ে এতদিন নিষ্কাশিত হতো। কিন্তু বড়দলের কপোতাক্ষ নদের নাব্যতা হারিয়ে স্লুইস গেটের মুখে অতিরিক্ত পলি পড়ে গেট দিয়ে পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। তারপর কপোতাক্ষ নদ খনন কাজ চলমান থাকায় পানি নিষ্কাশনের এ পথ কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। তাই বিকল্প ব্যবস্থা নেয়া এখন সময়ের দাবি। স্থায়ী সমাধানের জন্য খোলপেটুয়া নদীর পাউবো'র বেড়ী বাঁধে চেউটিয়া খালের মুখে ৪ ব্যান্ড স্লুইস গেট নির্মাণ করতে হবে। যতদিন না হবে ততদিন পর্যন্ত বর্ষা মৌসুমে চেউটিয়া খালের নদী সংলগ্ন পবনা খালের নেটপাটা অপসারণ করে আনুলিয়া ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামের হরিমর্দন গেট পর্যন্ত উন্মুক্ত করতে হবে। এছাড়া দেয়াবর্ষিয়া খাল, পুকুরের খাল ও ঝোরের খালের নেটপাটা অপসারণ করলে ফটিকখালি বিলের পানি নিষ্কাশন করা সম্ভব হবে। জলাবদ্ধতার কারণে গত বছর ১০ হাজার বিঘা জমির মালিকরা ধান চাষাবাদ করতে না পেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আরও একবছর যদি চাষাবাদ না করতে পারে তাহলে বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য ভূক্তভোগী এলাকাবাসীর বাড়ী ছেড়ে অন্যত্র যাওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। দুর্ভোগ থেকে উত্তরণের জন্য চেউটিয়া খালের মুখে পাউবো'র বেড়ী বাঁধে স্লুইস গেট নির্মাণ ও খালের নেটপাটা অপসারণ করে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ১০ গ্রামের মানুষ। #ক্যাপশান: আশাশুনির পশ্চিম খালিয়া স্কুল সড়কে স্থায়ী জলাবদ্ধতা নিরসনে মানববন্ধনের একাংশ।
১৯ ঘন্টা ৩৫ মিনিট আগে
১৯ ঘন্টা ৩৬ মিনিট আগে
১ দিন ১৯ ঘন্টা ২০ মিনিট আগে
৩ দিন ১৯ ঘন্টা ২২ মিনিট আগে
৭ দিন ১৯ ঘন্টা ৩৬ মিনিট আগে
৮ দিন ১৮ ঘন্টা ৫৮ মিনিট আগে
৯ দিন ৫৫ মিনিট আগে
৯ দিন ১৯ ঘন্টা ২২ মিনিট আগে