চট্টগ্রাম ওয়াসার পানিতে লবণাক্ততা ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি উদ্বেগজনক। জানা গেছে, লবণের কারণে পাইপলাইনের মাধ্যমে বাসাবাড়িতে আসা পানি পান করা যাচ্ছে না। এমনকি রান্নাবান্নাও করতে পারছেন না অনেক এলাকার বাসিন্দারা। ধারণা করা হয় যে চট্টগ্রাম থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে কাপ্তাই হ্রদের উজানে পর্যাপ্ত পানি নেই। ফলে সেখান থেকে পানি ছাড়া হচ্ছে খুবই কম, সেই স্বল্প পানি বিপরীতমুখী সাগরের পানিকে জোরাল বাধা দিতে পারছে না। ফলে অন্য সময়ের চেয়ে বেশি পরিমাণ সাগরের নোনা পানি ঢুকছে হালদা নদীতে।
১৯৬২ সালে কাপ্তাইয়ে নির্মিত কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বর্তমানে ৫টি ইউনিটের উৎপাদন সক্ষমতা মোট ২৪২ মেগাওয়াট। উজানে পর্যাপ্ত পানি থাকলে সবগুলো ইউনিট চালু থাকে। কিন্তু এখন মাত্র একটি ইউনিট চালু আছে, যা থেকে বিদ্যুৎ মিলছে দিনে ২৫ মেগাওয়াট।কাপ্তাই বাঁধ থেকে ছাড়া পানি তীব্র গতিতে এসে কর্ণফুলী নদী হয়ে সাগর থেকে আসা বিপরীতমুখী জোয়ারের লবণাক্ত পানির প্রবাহকে বাধা দেয়। ফলে হালদায় লবণ পানি কম ঢোকে। কাপ্তাই থেকে আসা পানি হালদাতেও প্রবেশ করে।বৃষ্টি না হওয়ায় কাপ্তাই লেকে পানির পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে কমে গেছে। এর ফলে কাপ্তাই লেক এবং কর্ণফুলী উপনদী থেকে প্রচুর পরিমাণে শৈবাল যুক্ত (শ্যাওলা যুক্ত) পানি প্রবাহিত হচ্ছে।অন্যদিকে শ্যাওলা যুক্ত পানি প্রবাহের ফলে চট্টগ্রাম ওয়াসার রাঙ্গুনিয়াস্থ শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার–১ ও ২ এর পানি পরিশোধন প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। এই দুটি পানি শোধনাগারেও উৎপাদন কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। তারপরও নগরবাসীর মাঝে পানির সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে গভীর নলকূপ গুলো থেকে উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। দীর্ঘদিন বন্ধ গভীর নলকূপগুলো এলাকা ভিত্তিক চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় নগর জুড়ে পানি সরবরাহ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা।
চট্টগ্রাম ওয়াসার সরবরাহ করা পানি নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন নগরবাসী। বিভিন্ন এলাকায় দিনের পর দিন পানি আসছে না। আবার যেটুকু আসছে, লবণাক্ততার কারণে সেটুকুও মুখে তোলার জো নেই। ঠিকভাবে গোসলও করা যাচ্ছে না। অনেকেই পানি কিনে এনে ব্যবহার করছেন। নগরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে ভোগান্তির একই চিত্র পাওয়া গেছে। তাঁরা কেউ পানি কিনে পান করছেন। আবার কেউ দূরদূরান্তের পুকুর ও গভীর নলকূপ থেকে পানি সংগ্রহ করে আনছেন।ওয়াসার পানি–সংকট নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও সংস্থাটির সমালোচনা করছেন গ্রাহকেরা। তবুু ও কোন সমাধানের পথ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা।এত লবণাক্ত পানি যা মুখে নেওয়া যাচ্ছে না। এই পানি ব্যবহারে বেশির ভাগ মানুষের পেট খারাপ হয়ে যাচ্ছে। মানুষের শরীরে নির্দিষ্ট পরিমাণ লবণের প্রয়োজন এবং সেটি আসে খাদ্য ও পানি থেকে। কিন্তু উপকূলীয় এলাকার পানিতে লবণের পরিমাণ অনেক গুণ বেশি। এই পানি শরীরে প্রবেশ করলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের জন্য তা হয়ে ওঠে আরও বেশি বিপজ্জনক। গর্ভাবস্থায় নারীরা বেশি লবণাক্ত পানি খেলে খিঁচুনি ও উচ্চ রক্তচাপ হয়। এ কারণে নারীদের গর্ভাবস্থায় সন্তান মারা যাওয়ার হারও বেশি। সংকট সমাধানে চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃপক্ষ অন্যান্য শোধানাগার থেকে পানি নিয়ে ব্লেন্ডিংয়ের (মেশানোর) পর পানি সরবরাহ করতে শুরু করেছে। তবে শুষ্ক মৌসুম দীর্ঘায়িত হলে এই সংকট আরও জটিল আকার ধারণ করবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিষয়টি সবার নজরে এনে সমাধান অতীব জরুরী। নতুবা প্রাণনাশের আশঙ্কা রয়েছে।
চট্টগ্রাম ওয়াসার পানিতে লবণাক্ততা ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি উদ্বেগজনক। জানা গেছে, লবণের কারণে পাইপলাইনের মাধ্যমে বাসাবাড়িতে আসা পানি পান করা যাচ্ছে না। এমনকি রান্নাবান্নাও করতে পারছেন না অনেক এলাকার বাসিন্দারা। ধারণা করা হয় যে চট্টগ্রাম থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে কাপ্তাই হ্রদের উজানে পর্যাপ্ত পানি নেই। ফলে সেখান থেকে পানি ছাড়া হচ্ছে খুবই কম, সেই স্বল্প পানি বিপরীতমুখী সাগরের পানিকে জোরাল বাধা দিতে পারছে না। ফলে অন্য সময়ের চেয়ে বেশি পরিমাণ সাগরের নোনা পানি ঢুকছে হালদা নদীতে। ১৯৬২ সালে কাপ্তাইয়ে নির্মিত কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বর্তমানে ৫টি ইউনিটের উৎপাদন সক্ষমতা মোট ২৪২ মেগাওয়াট। উজানে পর্যাপ্ত পানি থাকলে সবগুলো ইউনিট চালু থাকে। কিন্তু এখন মাত্র একটি ইউনিট চালু আছে, যা থেকে বিদ্যুৎ মিলছে দিনে ২৫ মেগাওয়াট।কাপ্তাই বাঁধ থেকে ছাড়া পানি তীব্র গতিতে এসে কর্ণফুলী নদী হয়ে সাগর থেকে আসা বিপরীতমুখী জোয়ারের লবণাক্ত পানির প্রবাহকে বাধা দেয়। ফলে হালদায় লবণ পানি কম ঢোকে। কাপ্তাই থেকে আসা পানি হালদাতেও প্রবেশ করে।বৃষ্টি না হওয়ায় কাপ্তাই লেকে পানির পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে কমে গেছে। এর ফলে কাপ্তাই লেক এবং কর্ণফুলী উপনদী থেকে প্রচুর পরিমাণে শৈবাল যুক্ত (শ্যাওলা যুক্ত) পানি প্রবাহিত হচ্ছে।অন্যদিকে শ্যাওলা যুক্ত পানি প্রবাহের ফলে চট্টগ্রাম ওয়াসার রাঙ্গুনিয়াস্থ শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার–১ ও ২ এর পানি পরিশোধন প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। এই দুটি পানি শোধনাগারেও উৎপাদন কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। তারপরও নগরবাসীর মাঝে পানির সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে গভীর নলকূপ গুলো থেকে উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। দীর্ঘদিন বন্ধ গভীর নলকূপগুলো এলাকা ভিত্তিক চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় নগর জুড়ে পানি সরবরাহ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা।
চট্টগ্রাম ওয়াসার সরবরাহ করা পানি নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন নগরবাসী। বিভিন্ন এলাকায় দিনের পর দিন পানি আসছে না। আবার যেটুকু আসছে, লবণাক্ততার কারণে সেটুকুও মুখে তোলার জো নেই। ঠিকভাবে গোসলও করা যাচ্ছে না। অনেকেই পানি কিনে এনে ব্যবহার করছেন। নগরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে ভোগান্তির একই চিত্র পাওয়া গেছে। তাঁরা কেউ পানি কিনে পান করছেন। আবার কেউ দূরদূরান্তের পুকুর ও গভীর নলকূপ থেকে পানি সংগ্রহ করে আনছেন। ওয়াসার পানি–সংকট নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও সংস্থাটির সমালোচনা করছেন গ্রাহকেরা। তবুু ও কোন সমাধানের পথ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা।এত লবণাক্ত পানি যা মুখে নেওয়া যাচ্ছে না। এই পানি ব্যবহারে বেশির ভাগ মানুষের পেট খারাপ হয়ে যাচ্ছে। মানুষের শরীরে নির্দিষ্ট পরিমাণ লবণের প্রয়োজন এবং সেটি আসে খাদ্য ও পানি থেকে। কিন্তু উপকূলীয় এলাকার পানিতে লবণের পরিমাণ অনেক গুণ বেশি। এই পানি শরীরে প্রবেশ করলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের জন্য তা হয়ে ওঠে আরও বেশি বিপজ্জনক। গর্ভাবস্থায় নারীরা বেশি লবণাক্ত পানি খেলে খিঁচুনি ও উচ্চ রক্তচাপ হয়। এ কারণে নারীদের গর্ভাবস্থায় সন্তান মারা যাওয়ার হারও বেশি। সংকট সমাধানে চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃপক্ষ অন্যান্য শোধানাগার থেকে পানি নিয়ে ব্লেন্ডিংয়ের (মেশানোর) পর পানি সরবরাহ করতে শুরু করেছে। তবে শুষ্ক মৌসুম দীর্ঘায়িত হলে এই সংকট আরও জটিল আকার ধারণ করবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিষয়টি সবার নজরে এনে সমাধান অতীব জরুরী। নতুবা প্রাণনাশের আশঙ্কা রয়েছে।
লেখক - প্রাবন্ধিক , শিক্ষিকা ।