মিতা পোদ্দার -
দাম এত বেড়েছে যে চিনি খাওয়া বন্ধই করে দেবো ঠিক করেছি।এমনিই চিনির দাম বাড়ায় গত কয়েকমাসে চিনি ব্যবহার করা অনেক কমিয়ে দিয়েছি,”।
বাংলাদেশে চিনির দাম নিয়ে গত কিছুদিন ধরে বাজারে বেশ শোরগোলই তৈরি হয়েছে।ঈদের পর দুই সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে বাজারে নির্ধারিত দামের চেয়ে প্রতি কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেশি দামে চিনি বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি চিনির মূল্য এখন ১৪০টাকা। দাম এত বেড়েছে যে চিনি খাওয়া বন্ধই করে দেবো ঠিক করেছি।ঈদের আগে খোলা চিনির দাম সর্বোচ্চ ১২৫ টাকা হলেও এখন ১৪০-১৪৫ টাকার নিচে খোলা চিনি পাওয়াই যাচ্ছে না। আর খুচরা বাজারে প্যাকেটজাত চিনি দোকানে পাওয়াই যাচ্ছে না।আন্তর্জাতিক বাজারের দামে চিনি আমদানি করলে চিনির আমদানি মূল্যই সরকার নির্ধারিত বাজার মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি হওয়ার কারণ কোথায়? মাস ছয়েক আগেও তো বাজারে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজিতে পাওয়া গেছে খোলা চিনি। প্যাকেটজাত চিনির দাম ছিল কেজিতে একশো টাকার নিচে।সেখান থেকে ছয় মাসের মধ্যে চিনি নিয়ে যেন বাংলাদেশে হাহাকারের রব ধ্বনিত হচ্ছে। কীভাবে মানুষ তাদের নিম্ন আয়ে এত ব্যয়ভার বহন করবে?খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, চিনির সরবরাহকারীরা তাদের চিনি দিচ্ছেন না। তারা বলছেন, কারণ হিসেবে আমদানিকারক ও মিল মালিকরা বলছে যে মিলে যথেষ্ট পরিমাণ চিনি নেই। যদি এমনই হয় তবে যে ছোটবেলা বইয়ে পড়েছি আখের রস থেকে চিনি তৈরি হয়। সেই আখের ক্ষেত গেল কই? চিনি তো এক প্রকার সুমিষ্ট পদার্থ যা গাছ বা ফলের রস থেকে প্রস্তুত করা হয়। ভারতবর্ষে সাধারণত আখ বা ইক্ষুর রস থেকে চিনি তৈরি করা হয়। চিনির রাসায়নিক নাম সুক্রোজ যা অনর্গল মুখস্থ করতাম। এক অণু গ্লুকোজের সঙ্গে এক অণু ফ্রুক্টোজ জুড়ে এক অণু সুক্রোজ তৈরি হয়। আসুন চিনির দাম নিয়ন্ত্রণে আমরা সবাই আন্দোলনে মাঠে নামি।
১০ দিন ১৬ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে
১৩ দিন ১৬ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে
৬৬ দিন ২০ ঘন্টা ৪১ মিনিট আগে
৬৯ দিন ১ ঘন্টা ১২ মিনিট আগে
৭১ দিন ১৯ ঘন্টা ১২ মিনিট আগে
৭১ দিন ২০ ঘন্টা ২৫ মিনিট আগে
৯৩ দিন ১৭ ঘন্টা ৪৬ মিনিট আগে
৯৪ দিন ১৮ ঘন্টা ৫৩ মিনিট আগে