প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির অভিযোগে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদ ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বিএনপি-জামায়াতের ৭ নেতার নামে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ বাদী হয়ে বিজ্ঞ আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী (দ্রুত বিচার) আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদ, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, জামালপুর জেলা বিএনপি'র সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ওয়ারেছ আলী মামুন, মেলান্দহ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি হারুন আর রশিদ। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ৪০০ থেকে ৫০০ বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ১৯ মে রাজশাহীর পুঠিয়ায় এক জনসভায় রাজশাহী বিএনপি'র আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদ প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির নির্দেশ দেয়। এছাড়াও গত ২১ মে জামালপুর জেলা বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে আসামিরা উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে জনমনে ত্রাস, নৈরাজ্য ও ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে। তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার অভিপ্রায় প্রকাশ করে। এতে জামালপুরের মানুষের মাঝেও আতংক, ভীতিকর পরিবেশ ও নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়।
বিচারক সাবিনা ইয়াসমিন মামলাটি আমলে নিয়ে ২ কার্যদিবসের মধ্যে এফআইআর হিসেবে গণ্য করার জন্য জামালপুর সদর থানার ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেন।
মামলায় সাক্ষী হিসেবে ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন জামালপুর পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ছানোয়ার হোসেন, যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক মো. জাবেদুল ইসলাম,
জেলা আ.লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাফর ইকবাল, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল হোসেন, জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ফারহানা সোমা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সৈয়দ তানভির আহম্মেদ, জেলা তাঁতি লীগের আহ্বায়ক অধ্যাপক জাকিরুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খাবিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নাফীউল করিম, জেলা মহিলা আ.লীগের সভাপতি মনিরা চৌধুরী।
মামলার বাদী জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ বলেন, 'বিএনপির জনসভায় প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কবরে পাঠাতে চেয়েছে। মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ জামালপুরের বিএনপির নেতৃবৃন্দ জামালপুরে জন সমাবেশ থেকে একই ধরনের বক্তব্য দেয়। এ কারণে মামলা করেছি।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ ওয়ারেছ আলী মামুন বলেন, রাজশাহীর জনসভার বক্তব্যের সাথে আমাদের কোনো যোগসূত্র নেই। গত ২০ মে জামালপুরে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত সমাবেশ ছিল। আমরা পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শেষ করেছি। এখানে সরকারের বিরুদ্ধে কোনো উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়া হয়নি। মামলাটি মূলত করা হয়েছে আমাদের চলমান আন্দোলনটি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার জন্য। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এই মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।'
৬ ঘন্টা ৪৩ মিনিট আগে
১৩ ঘন্টা ৪৯ মিনিট আগে
১ দিন ৫ ঘন্টা ৪৩ মিনিট আগে
৫ দিন ৭ ঘন্টা ৫৭ মিনিট আগে
৫ দিন ১০ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে
৮ দিন ৫ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে
১২ দিন ১১ ঘন্টা ১ মিনিট আগে