রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহবায়ক আবু সাইদ চাঁদের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে জামালপুরে আওয়ামী লীগ নেতার দায়ের করা মামলায় কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ
হাইকোর্টে আগাম জামিন পেলেন জামালপুরের ৩ বিএনপি নেতা। মঙ্গলবার (৩০ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ জামিন মঞ্জুর করেন।
৬ সপ্তাহের জামিন দিয়ে তাঁদের এ সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। জামিনপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মো. ফরিদুল কবির তালুকদার শামিম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ওয়ারেছ আলী মামুন ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সহজলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্পাদক ও মেলান্দহ থানা বিএনপির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল। আদালতে বিএনপি নেতাদের পক্ষে জামিন আবেদনের শুনানি করেন কেন্দ্রীয় বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তাঁকে সহযোগিতা করেন যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সেলিম মিয়া।
গত ২৩ মে দুপুরে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ বাদী হয়ে আদালতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘হত্যার হুমকি’ দেওয়ার অভিযোগে রাজশাহীর বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদসহ বিএনপি-জামায়াতের ৭ নেতার নামোল্লেখে অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫ শত আসামি দিয়ে বিজ্ঞ আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী (দ্রুত বিচার) আদালতে মামলার আবেদন করেন। বিচারক সাবিনা ইয়াসমিন আবেদনটি আমলে নিয়ে দুই কার্যদিবসের মধ্যে মামলা হিসেবে গ্রহণ করতে জামালপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) নির্দেশ দেন। আবু সাঈদ চাঁদসহ এই মামলার আসামিরা হলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহসম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম, সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন এবং জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি হারুন অর রশিদ।
মামলার আবেদনে বলা হয়, গত ১৯ মে বিকেলে রাজশাহীর পুঠিয়ায় এক জনসভায় উত্তেজিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার নির্দেশ দিয়ে বলা হয়, ‘২৭ দফা, ১০ দফার মধ্যে আমরা নাই। এক দফা, শেখ হাসিনাকে কবরে পাঠাতে হবে।’ ওই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় রাষ্ট্রবিরোধী জনসভার মতো ২১ মে বেলা ১১টায় জামালপুর শহরের শফি মিয়ার বাজার এলাকায় জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয় ২ থেকে ৭ নম্বর আসামিসহ অজ্ঞাতপরিচয় আসামিরা শেখ হাসিনাকে হত্যার অভিপ্রায়ে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। এতে জামালপুরের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখার স্বার্থে মামলা করা হয়েছে বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়।