জামালপুরের ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র পদ থেকে কেনো অপসারণ করা হবে মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার হয়েছে মেয়র মো. আব্দুল কাদের সেখকে।
গত বুধবার (৭ জুন) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রাণালয়ের পৌর-১ শাখার উপসচিব মো. আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়। তবে আব্দুল কাদের সেখের দাবি, 'তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে দলের ভিতর থেকেই নানাবিধ অভিযোগ তোলে মেয়র পদ থেকে তাঁকে অপসারণের চাক্রান্ত চলছে।'
কারণ দর্শানোর নোটিশে উল্লেখ করা হয়, দায়িত্ব পালনকালে মেয়র আব্দুল কাদের সেখের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারি আচরণ, সরকারি গুদামে মালামাল লুট, আত্মসাৎ এবং দুর্নীতির অভিযোগ করে প্যানেল মেয়র দেলোয়ার হোসেন লেবুসহ ১০ কাউন্সিলর স্থানীয় সরকার মন্ত্রাণালয়ে আবেদন করেন। এতে মেয়র পদ থেকে আব্দুল কাদের সেখকে অনাস্থার প্রস্তাব দাখিল করেন তাঁরা। ওই অনাস্থার প্রস্তাবের বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করে সরেজমিন তদন্ত করা হয়েছে। প্রাপ্ত তদন্ত প্রতিবেদনে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন- ২০০৯ এর বিধান লঙ্ঘন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি দখল ও মালামাল সরিয়ে নেওয়া, সরকারি সম্পত্তিতে অবৈধভাবে মার্কেট প্রতিষ্ঠা করে ভাড়ার অর্থ আদায়ের মাধ্যমে অসদুপায়ে ব্যক্তিগত সুবিধা গ্রহণ এবং ঠিকাদার কর্তৃক নির্ধারিত কাজ সম্পন্ন করার আগেই চূড়ান্ত বিল প্রদানের অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। এক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন- ২০০৯ এর ধারা ৩২ (১) (খ) ও (ঘ) অনুযায়ী কোনো পৌরসভার মেয়র তাঁর নিজ পদ থেকে অপসারণযোগ্য হবেন, যদি পৌরসভা বা রাষ্ট্রের হানিকর কোনো কার্যকলাপে জড়িত থাকেন অথবা অসদাচরণ বা ক্ষমতা অপব্যবহারের দায়ে দোষী সাবস্ত হন। সুতরাং মেয়র পদ থেকে কেনো অপসারণ করা হবে না, এই মর্মে আত্মপক্ষ সমর্থনে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে মেয়র আব্দুল কাদের সেখকে।
উপজেলা যুবলীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর মো. মোহন মিয়া বলেন, 'আব্দুল কাদের সেখ মেয়র পদে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই ক্ষমতা অপব্যবহার, সরকারি গুদামের মালামাল লুট, সরকারি জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণ, এবং অর্থ আত্মসাৎ করায় ইসলামপুরে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। একারণে আমরা ১১ কাউন্সিলর মিলে স্বাক্ষরিত গত বছরের ১৭ নভেম্বরে বিভাগীয় কমিশনার, ২৭ নভেম্বর জেলা প্রশাসক এবং ১৪ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করি। আমরা কারোর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংসের উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্র করছি না। বরং সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষা করতেই আমাদের এই উদ্যোগ।'
উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সম্পাদক ও টানা তিনবারের পৌর মেয়র অভিযুক্ত আব্দুল কাদের সেখ বলেন, 'কাউন্সিলরদের অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমি স্থানীয় আওয়ামী লীগের অপরাজনীতির শিকার হয়েছি। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আমি দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে কাউন্সিলরদের দিয়ে দলের ভিতর থেকেই একটি পক্ষ ওঠে পরে লেগেছে। আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করার হীনউদ্দেশ্যে নানাবিধ অভিযোগ তোলে মেয়র পদ থেকে অপসারণের চাক্রান্ত চলছে। ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হতে পারবে না। আমি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। আমার সঙ্গে জনগণ আছে।'
৬ ঘন্টা ৪৪ মিনিট আগে
১৩ ঘন্টা ৪৯ মিনিট আগে
১ দিন ৫ ঘন্টা ৪৪ মিনিট আগে
৫ দিন ৭ ঘন্টা ৫৭ মিনিট আগে
৫ দিন ১০ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে
৮ দিন ৫ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে
১২ দিন ১১ ঘন্টা ২ মিনিট আগে