দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে আসতে ভোটারদের অভয় দিয়েছেন জামালপুর-২ আসনে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা আল মাহমুদ। তিনি বলেন, এ নির্বাচনে মানুষ তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চায়। মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য অধীর অপেক্ষায় আছেন। ভোটাধিকার না থাকলে, জনগণের মনোনীত প্রার্থী বিজয় হতে পারে না। জনগণের প্রার্থী বিজয় না হলে, অধিকার প্রতিষ্ঠা হয় না। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট হচ্ছে, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্রের মালিক হচ্ছে জনগণ। জণগণ ভোট দিয়ে যাঁদের নির্বাচিত করবেন, তাঁরাই সরকার গঠন কবে, তাঁরাই ক্ষমতায় থাকবে এবং তাঁরাই দেশ পরিচালনা করবে। এটাই হচ্ছে গণতন্ত্রের মূলভিত্তি। আমরা সেই গণতন্ত্রের লক্ষ্যেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় অংশ নিয়েছি। প্রতিটি ভোটার নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবেন। ভোটকেন্দ্রে যেতে কোনো ধরনের ভয়ভীতি তোয়াক্কা করবেন না। ভোট কারচুপি তো দূরের কথা, এ নির্বাচনে কারোর হিম্মত নেই যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবসময় সজাগ রয়েছে। আপনারা কোনো ভয় পাবেন না। ভোট আপনার নাগরিক অধিকার। নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবেন। এতে বাঁধা দেওয়ার স্বপ্ন দেখলে তাঁরা হবে বেকুব। ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতেই হবে। এবারের ভোটে কারচুপির সুযোগ নেই।'
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলী ইউনিয়নস্থ গুঠাইল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী জনসভায় ভোটারদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন মোস্তফা আল মাহমুদ।
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী ওই জনসভায় মোস্তফা আল মাহমুদ বলেন, 'ব্রহ্মপুত্র নদ আর যমুনা নদীভাঙনে এলাকার মানুষ দিশাহারা। আমি নির্বাচিত হলে এক ইঞ্চি জমিনও ভাঙতে দেবো না। মানুষকে নদী ভাঙনের শিকার হতে জবে না। বেকারত্ব সমস্যা স্থায়ীভাবে চিরদিনের জন্য সমাধান করা হবে। একটি স্মার্ট ইসলামপুর উপহার দেওয়া হবে।'
জাপা নেতা মোস্তফা আল মাহমুদ উপস্থিতি জনতার উদ্দেশে আরও বলেন, 'গত সংসদ নির্বাচনে আমার কাছ থেকে এ আসনটি চেয়ে নিয়েছিলো আওয়ামী লীগ। এবারও তাঁরা প্রার্থী দিয়েছে। তাঁরা কথা দিয়ে কথা রাখেনি। এলাকার মানুষ আমাকেই এমপি হিসেবে দেখতে চান। ইসলামপুরবাসী লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। লাঙ্গল প্রতীক বিজয় করতে এবার এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ। ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে বিজয় হবে, এতে কোনো ধরনের সন্দেহ নেই।'
জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান মানিক। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা জাতীয় পার্টির অর্থবিষয়ক সম্পাদক শাহাজাদা চৌধুরী, নোয়ারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বাদল, উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান বিপু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল্লাহ, ফেরদৌসুর রহমান সরকার এবং জুয়েল সরকার।
দুপুর থেকে জনসভাস্থলে নেতাকর্মী আসতে শুরুন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে নেতা-কর্মীদের সংখ্যাও। এক পর্যায়ে লোকজনের পদচারণায় কানায় কানায় ভরে ওঠে সভাস্থল।
উল্লেখ্য, ইসলামপুর উপজেলা এবং জামালপুর জেলা জাতীয় পাটিরও সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন মোস্তফা আল মাহমুদ। তিনি ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামপুর আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিলেও শেষ পর্যন্ত তাঁর প্রার্থীতা প্রত্যাহারে করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফরিদুল হক খান দুলালকে সমর্থন দিয়েছেন। এবারও ফরিদুল হক খান দুলাল আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন।
৬ ঘন্টা ৪৬ মিনিট আগে
১৩ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে
১ দিন ৫ ঘন্টা ৪৬ মিনিট আগে
৫ দিন ৭ ঘন্টা ৫৯ মিনিট আগে
৫ দিন ১০ ঘন্টা ৫৩ মিনিট আগে
৮ দিন ৫ ঘন্টা ২৩ মিনিট আগে
১২ দিন ১১ ঘন্টা ৪ মিনিট আগে