জামালপুরের ইসলামপুর পৌরসভার মেয়র মো. আব্দুল কাদের শেখের বিরুদ্ধে নানাবিধ অনিয়ম-দুর্নীতির আনীত অভিযোগ সরেজমিনে তদন্ত করেছেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের যুগ্ম সচিব ও পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্বে) মোহাম্মদ আজিজুর রহমান। অপরদিকে ওই তদন্তের খবর পেয়ে পৌর কার্যালয় প্রাঙ্গণে পৌর মেয়রের পক্ষে জনতার ঢল নামে।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পৌরসভার কার্যালয়ে তদন্ত কাজ অনুষ্ঠিত হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বেলা ১১টার দিকে পৌরসভার কার্যালয়ে মেয়র আব্দুল কাদের শেখের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্তে আসেন যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ আজিজুর রহমান। এই খবর শোনে মেয়ের পক্ষে পৌর এলাকার পাঁচ শতাধিক নারী-পুরুষ পৌর কার্যালয় প্রাঙ্গণে জড়ো হন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লোকজনের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে লোকজনের পদচারণে ভরে যায় পৌর কার্যালয় প্রাঙ্গণসহ আশেপাশের রাস্তা-ঘাট। অবস্থার বেগতিক দেখে হ্যান্ড মাইকে আগত লোকজনকে শান্ত ও ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে যার যার বাড়ি ফিরতে বলেন মেয়র আব্দুল কাদের শেখ। এরপর লোকজনের ভীড় কমতে থাকে পৌর প্রাঙ্গণে। এসময় ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন।
এরপর পৌর কার্যালয়ে তদন্ত কাজ শুরু হয়। এসময় পৌর কাউন্সিলরদের পৃথক পৃথক ডেকে অভিযোগের বিষয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ করেন যুগ্ম সচিব ও পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্বে) মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।
স্থানীয় বাসিন্দা আকবর হোসেন, সুমন, পারভীন, ময়নাসহ অসংখ্য ব্যক্তি বলেন, 'মেয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের খবর আমরা পৌর কার্যালয়ে এসেছি। অযথা অভিযোগ তোলে জনপ্রিয় মেয়র আব্দুল কাদের শেখকে হয়রানির প্রতিবাদে আমরা রাজপথে আছি।'
উল্লেখ্য, দুর্নীতি, সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তোলে পৌর মেয়র আব্দুল কাদের শেখের অনাস্থা চেয়ে ২০২২ সালের ২৭ নভেম্বর জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন পৌর কাউন্সিলররা। একই সঙ্গে মেয়রের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোর নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য কাউন্সিলররা ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কাছেও লিখিতভাবে আবেদন করেন।
ইসলামপুর পৌরসভার ১২ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১১ জনই ওই আবেদনে স্বাক্ষর করেন। লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের শেখ টানা তৃতীয় বারের মতো মেয়রের পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ২০১১ সাল থেকে তিনি এই দায়িত্বে থেকে পৌরসভায় নিজের একক আধিপত্য বিস্তার করে আসছেন।
উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মোহন মিয়া বলেন, আমরা অনাস্থা প্রস্তাবে বলেছি, মেয়র আব্দুল কাদের শেখ একজন সরকারি সম্পদ আত্মসাৎকারী, দুর্নীতিবাজ ও স্বেচ্চাচারী। বাংলাদেশ জুট করপোরেশনের (বিজেসি) পাটগুদাম ঘরের টিন, সেখানকার মূল্যবান বহু গাছকাটাসহ গুদামের অন্যান্য মালামাল আত্মসাৎ করেছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি ও পৌরসভার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন। তদন্ত কর্মকর্তার নিকট আমরা যথাযথভাবে সাক্ষ্য দিয়েছি।'
তদন্তের বিষয়ে দুপুরে আড়াইটার দিকে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের যুগ্ম সচিব ও পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্বে) মোহাম্মদ আজিজুর রহমান উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, 'তদন্ত কাজ শেষ হয়নি। তদন্তের পর জানা যাবে মেয়ের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে বিষয়ে।'
৬ ঘন্টা ৩৬ মিনিট আগে
১৩ ঘন্টা ৪২ মিনিট আগে
১ দিন ৫ ঘন্টা ৩৬ মিনিট আগে
৫ দিন ৭ ঘন্টা ৫০ মিনিট আগে
৫ দিন ১০ ঘন্টা ৪৪ মিনিট আগে
৮ দিন ৫ ঘন্টা ১৩ মিনিট আগে
১২ দিন ১০ ঘন্টা ৫৪ মিনিট আগে