জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মো. আব্দুল খালেক আখন্দ। তিনি পৌর শহরস্থ শহীদ মেজর জেনারেল খালেদ মোশারফ বীরউত্তম গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ। এছাড়া তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান স্থানীয় সরকারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নেওয়াসহ অন্যান্য শিক্ষকেরা ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় সচেতন মহলে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য প্রার্থীদের মাঝেও বিরাজ করছে তীব্র প্রতিক্রিয়া। তবে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ওই কলেজের অধ্যক্ষের দাবি, তিনি তাঁর কলেজের শিক্ষকদের ভোটগ্রহণে নিয়োগ দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করেননি। কীভাবে শিক্ষকদের ভোটগ্রহণে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সেটাও তিনি অবগত নন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আগামীকাল মঙ্গলবার এ উপজেলায় ৯২টি ভোটকেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনের আগেই চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রার্থীর মধ্যে সাবেক জাতীয় পার্টির নেতার নেতা মশিউর রহমান বাদল 'রাজনৈতিক সমঝোতার ভিত্তিতে'
তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম বিনা প্রতিদন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। আব্দুল খালেক আখন্দ ছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়াছেন স্থানীয় তুষার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক মো. আব্দুল লতিফ মিয়া এবং সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফারুক ইকবাল হিরু।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন উপজেলা যুব মহিলা লীগ সভাপতি আবিদা সুলতানা যুথীঁ এবং উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাবেক আহবায়ক আঞ্জু মনোয়ারা।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মো. আব্দুল লতিফ মিয়া অভিযোগ করে বলেন, 'শহীদ মেজর জেনারেল খালেদ মোশারফ বীরউত্তম গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক আখন্দ নির্বাচনে অংশ নেওয়া সত্ত্বেও ওই কলেজের অন্যান্য শিক্ষকেরা ভোটগ্রহণের কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে। এটা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এতে সুষ্ঠু নির্বাচন না হওয়ারই কারণ দেখছি।'
ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ফারুক ইকবাল হিরু অভিযোগ করে বলেন, 'কলেজের অধ্যক্ষ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আবার সহকারী শিক্ষকেরা ভোটগ্রহণে দায়িত্ব পালন করবেন। এটা কেমন কথা? বিষয়টি খতিয়ে দেখা জরুরি। আমরা চাই নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন। কিন্তু একই কলেজের অধ্যক্ষ প্রার্থী হবেন এবং ভোটগ্রহণেও অন্য শিক্ষকেরা নিয়োগ পাবেন, এটা আমরা কখনো ভাবিনি। এতে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছি।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ও শহীদ মেজর জেনারেল খালেদ মোশারফ বীরউত্তম গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আব্দুল খালেক আখন্দ বলেন, 'আমাদের কলেজে ৩৫ জন শিক্ষক রয়েছেন। এরমধ্যে কোন কোন শিক্ষককে ভোটগ্রহণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেটা আমি জানি না। শোনেছি কিছু সংখ্যক শিক্ষক ভোটগ্রহণে দায়িত্ব পেয়েছেন। তবে আমাদের শিক্ষকদের ভোটগ্রহণে দায়িত্ব দিতে আমি কতৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করিনি।'
শহীদ মেজর জেনারেল খালেদ মোশারফ বীরউত্তম গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক অমর কুমার বলেন, 'আমি জিগাতলা ভোটকেন্দ্রে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছি। আমাদের শিক্ষকদের মধ্যে কেউ সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার পদে দায়িত্ব পেয়েছেন। কেউ কেউ পোলিং অফিসার পদে দায়িত্ব পেয়েছেন। আবার অনেকেই বাদ পড়েছেন। তবে কয়জন শিক্ষক দায়িত্ব পেয়েছেন, তা বলতে পারছি না।'
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জামান হোসেন চৌধুরী বলেন, 'এবিষয়ে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। একই কলেজের অধ্যক্ষ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্যান্য শিক্ষকেরা ভোটগ্রহণে দায়িত্ব পাওয়ার বিষয়টি আমরাও জানতাম না। আমরা তো শিক্ষক হিসেবে তাঁদের ভোটগ্রহণের দায়িত্ব দিয়েছি। এটা আইনগত বাঁধা নেই। তবে কেউ অভিযোগ করলে, সেটা তাৎক্ষণিকভাবে বাতিল করে দিতাম।'
৬ ঘন্টা ৩৪ মিনিট আগে
১৩ ঘন্টা ৩৯ মিনিট আগে
১ দিন ৫ ঘন্টা ৩৪ মিনিট আগে
৫ দিন ৭ ঘন্টা ৪৮ মিনিট আগে
৫ দিন ১০ ঘন্টা ৪১ মিনিট আগে
৮ দিন ৫ ঘন্টা ১১ মিনিট আগে
১২ দিন ১০ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে