ঘুষ আদায়সহ সেবাপ্রার্থীদের হয়রানি করার অভিযোগে অভিযুক্ত জামালপুরের বকশীগঞ্জের কামালের বার্ত্তী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ (বর্তমানে অন্যত্র বদলিপ্রাপ্ত) উপপরিদর্শক (এসআই) মো. খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয় তদন্ত কর্মকর্তার কাছে সাক্ষ্য দিয়েছেন ভুক্তভোগী অভিযোগকারীরা।
আজ রবিবার (২ জুন) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে অভিযোগকারীদের সাক্ষ্যগ্রহণ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন তদন্তের দায়িত্বে থাকা দেওয়ানগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন কান্তি চৌধুরী।
এদিন বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে শুরু করে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী সাক্ষ্য দেওয়ার কার্যক্রম চলে সার্কেল অফিসে। এতে তিনজন ভুক্তভোগী সাক্ষ্য দেন। তাঁরা হলেন, এসআই খাইরুলের বিরুদ্ধে জামালপুরের এসপি বরাবর লিখিত অভিযোগকারী কামালের বার্ত্তী বাজারের ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেন, ভুক্তভোগী পার্শ্ববর্তী ঠন্ডারবন গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে বাবু মিয়া এবং মিনহাজ উদ্দিনের ছেলে রাজু মিয়া।
উল্লেখ্য, গত ৬ মে ঘুষ আদায়সহ সেবাপ্রার্থীদের হয়রানি করার অভিযোগ তোলে এসআই মো. খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কামালের বার্ত্তী বাজারের ব্যবসায়ী
মোশারফ হোসেন জামালপুরের এসপি বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি আমলে নিয়ে এসপি মো. কামরুজ্জামান তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে দায়িত্ব দিয়েছেন পুলিশের দেওয়ানগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন কান্তি চৌধুরীকে।
অভিযোগকারী মোশারফ হোসেন অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, ২০২৩ সালের ৩০ জুন গভীর রাতে কামালের বার্ত্তী বাজারে তাঁর ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান আগুনে পুড়ে অন্তত দেড় কোটি টাকা সমমূল্যের ক্ষতি হয়। অগ্নিকাণ্ডে পার্শবর্তী ব্যবসায়ী বাবু মিয়া, আব্দুল মজিদ মিয়া, আরফান আলী, আব্দুল হালিম মেম্বার এবং আলমাছ আলীর দোকানও পুড়ে যায়। এনিয়ে আইনি প্রতিকার চাওয়ায় মোশারফ হোসেনসহ ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের কাছে ১৬ হাজার টাকা ঘুষ নেন এসআই খাইরুল। এছাড়া মোশারফ হোসেনের দোকান থেকে ২৭ শত টাকার মূল্যে ২৫ কেজির দুই বস্তা চাল নিয়েও টাকা দেয়নি এসআই খাইরুল।
গত শুক্রবার জামালপুর পুলিশ সুপারের (এসপি) কার্যালয় থেকে এসআই খাইরুলকে জেলার দেওয়ানগঞ্জ থানার আওতায় সানন্দবাড়ী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে বদলির আদেশ দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে সানন্দবাড়ী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে এসআই খাইরুল যোগদান করেছেন বলে জানা গেছে।
তবে অভিযুক্ত এসআই খাইরুল তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, 'আমার কোনো দোষ নেই। আমার বিরুদ্ধে আইনানুসারে পুলিশী সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। আমার বিরুদ্ধে অযথা অভিযোগ তোলা হয়েছে।'
অভিযোগক্রী মোশারফ হোসেন বলেন, 'সার্কেল স্যারের কাছে আমরা তিন ভুক্তভোগী সাক্ষ্য দিয়েছি। প্রায় দুঘণ্টা আমাদের অভিযোগ স্যার শোনেছেন। আমাদের কথাগুলো কাগজে লিখেছেন। আশা রাখি, আমরা ন্যায় বিচার পাব।'
সাক্ষ্যদাতা বাবু মিয়া, বলেন, 'আমাদের কাছে ঘুষ নিয়েও আইনি সেবা না দেওয়ায় সার্কেল স্যারের কাছে এসআই খাইরুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছে। সার্কেল স্যারে ভালো মানুষ। তিনি মনযোগ দিয়ে আমাদের অভিযোগ শোনেছেন।'
সাক্ষ্যদাতা রাজু মিয়া বলেন, 'এসআই খাইরুলের শাস্তি হওয়ার দরকার। তিনি আমাদের হয়রানি করেছেন।'
দেওয়ানগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন কান্তি চৌধুরী বলেন, 'এসআই খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগকারীসহ তিন ব্যক্তির সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। অভিযোগের তদন্তকাজ চলমান। তদন্ত শেষে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।'
৬ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে
১৩ ঘন্টা ৩৩ মিনিট আগে
১ দিন ৫ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে
৫ দিন ৭ ঘন্টা ৪১ মিনিট আগে
৫ দিন ১০ ঘন্টা ৩৫ মিনিট আগে
৮ দিন ৫ ঘন্টা ৫ মিনিট আগে
১২ দিন ১০ ঘন্টা ৪৬ মিনিট আগে