স্থবির হয়ে পড়েছে জীবনযাত্রা
মাঘের শুরুতেই শীতে কাঁপছে চা বাগান অধ্যুষিত মৌলভীবাজার জেলা। সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাস শীতের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে।
গতকাল কিছু সময়ের জন্য সূর্য দেখা গেলেও আজ সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল গড়িয়ে বিকেল হলেও দেখা মেলেনি সূর্যের। সাথে হিম বাতাস থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী-কর্মজীবী গরিব অসহায় মানুষ। স্থবির হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলে তাদের জীবনযাত্রা।
আবার জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই সকাল সাড়ে ৭টা থেকে কাজে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় এ অঞ্চলের চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে নিম্ন আয়ের বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষদের। গ্রামীণ জনপদে নিম্নআয়ের মানুষরা শীত নিবারণ করছেন খড়কুটো জ্বালিয়ে। নিম্নবিত্ত মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে ভুগছেন। তাদের মধ্যে যাদের সাধ্য রয়েছে তারা ফুটপাতের দোকানগুলোতে ভিড় করছেন।
তীব্র শীতে কাজে যেতে না পেরে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া সাধারন মানুষ। সড়কে মানুষের চলাচল কমে যাওয়ায় ভ্যান ও রিকশাচালকদের আয় কমে গেছে। শ্রীমঙ্গল উপজেলার আশিদ্রোন ইউনিয়নের টিকরিয়া গ্রামে কৃষক শাহিদ আলী বলেন, আবাদকৃত জমিতে সেচ দিতে গিয়েছিলাম। এতো কুয়াশা আর ঠাণ্ডা বাতাস যে, কাজ করাই কঠিন হয়ে গেছে।
কমলগঞ্জ উপজেলার কুরমার এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, প্রচন্ড কুয়াশা ও খুব ঠান্ডা পড়ছে। ঘরের মেঝে থেকে শুরু করে আসবাপত্র ও বিছানা পর্যন্ত যেনো সব বরফ হয়ে গেছে। সকালে ঘরে কাজ করতে গিয়ে কনকনে ঠান্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে আসে।
রাজনগর চা বাগানের চা শ্রমিকরা বলেন, কুয়াশা ও কনকনে শীতের মধ্যেও ভোরে আমরা চা বাগানে কাজ করতে এসে হাত-পা অবশ হয়ে আসছে। কিন্তু কী করব, জীবিকার তাগিদে কাজ করতে হচ্ছে।
মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলার ভ্যানচালকরা শীত উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে ভ্যান নিয়ে বের হচ্ছেন। কিন্তু মানুষ বাড়ি থেকে তেমন বের হচ্ছে না। তাই যাত্রী না পেয়ে ইনকাম কমে গেছে বলে জানা গেছে। এদিকে প্রচন্ড শীতে বাড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগ ব্যাধি।
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ করে সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, হাঁপানিসহ শীতজনিত নানা রোগ নিয়ে শিশু এবং বয়স্করা ভর্তি হয়েছেন।
জেলা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল সকাল ৬টায় ও ৯টায় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক বিভলু চন্দ্র দাস জানান, গত ২০ ডিসেম্বর থেকে আজ ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত শ্রীমঙ্গল উপজেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি থেকে ১৬ ডিগ্রির ভেতরে ওঠানামা করছে।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান আনিস জানান, আজ সোমবার তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি হলেও কুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাসে শীতের অনুভূতি বেশি। এবারের শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা গত ১৯ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় শ্রীমঙ্গলে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় বলে তিনি জানান।
১ দিন ৩ ঘন্টা ১৯ মিনিট আগে
২ দিন ১ ঘন্টা ০ মিনিট আগে
৪ দিন ৩ ঘন্টা ১৩ মিনিট আগে
৬ দিন ৯ মিনিট আগে
১৩ দিন ৮ ঘন্টা ৪১ মিনিট আগে
৩০ দিন ২ ঘন্টা ২ মিনিট আগে
৩২ দিন ৩ ঘন্টা ৩৩ মিনিট আগে
৪৭ দিন ১ ঘন্টা ১ মিনিট আগে