জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার ৪ নং আওনা ইউনিয়নের ৩৭ নং আওনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি দাতা মৃত- ময়েজ উদ্দিন এর ছেলে নজরুল ইসলাম দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে বাবার হাতে লাগানো গাছ কেটে ফেলায় কান্না জড়িত কন্ঠে এভাবেই দুঃখ প্রকাশ করছিলেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন আগে এক সময় যমুনা নদীর কড়াল গ্রাসে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্থান ভেঙ্গে যায়। আমার বাবা মৃত ময়েজ উদ্দিন ও আমার চাচা শামসুল হক এলাকার স্বার্থে শিক্ষা অনুরাগী হয়ে বাড়িভিটার বায়ান্ন শতাংশ জমি বিদ্যালয়ের নামে দান করে দেন। বাড়ীর ঐ জায়গা থেকে ঘর দরজা সরিয়ে নিয়ে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। সে সময়ে তার হাতের লাগানো গাছগুলোর মধ্যে আম কাঁঠাল ইউক্যালিপটা মেহগনি ইত্যাদি গাছ লাগানো ছিল। বর্তমানে সেই কাজগুলি মূল্যবান হয়েছে । বিদ্যালয়ের পাশেই আমার বাবার কবর। সেখানেও কবরের চারিদিকে চার পাঁচটি কাঁঠাল গাছ রয়েছে। দুঃখের বিষয় হল বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ জমিদাতার সন্তান হিসাবে আমাদের যতোটুকু সম্মান পাওয়া উচিত কখনোই আমাদেরকে কোন কিছু মূল্যায়ন করেন না। এমনকি আমার বাবার হাতে লাগানো গাছগুলো সবার অগোচরে বিক্রি করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন। দুঃখ সাথে এইভাবেই আক্ষেপ করে প্রকাশ করছিলেন জমিদাতার নাতি জমজ দুই ভাই মোহাম্মদ হোসেন ও মোঃ হুসাইন নাতি দ্বয় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে সরকারি নিয়ম নীতি ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অনুমোতি ব্যতীত গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার শুষ্ঠ তদন্ত দাবি জানিয়েছেন। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন জানান , ইতিপূর্বে যেসমস্ত গাছ কেটে ফেলা হয়েছে সে সম্পর্কে আমাকে অবহিত করা হয় নাই। এবিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাহিদা ইয়াসমিন এর সাথে কথা হলে তিনি এর শুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনিয় ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান।
২৫ দিন ৮ ঘন্টা ৪৪ মিনিট আগে
১৬২ দিন ২৩ ঘন্টা ৩৯ মিনিট আগে
১৬৬ দিন ২ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে
১৭১ দিন ২২ ঘন্টা ৪৯ মিনিট আগে
১৭২ দিন ২২ ঘন্টা ৪০ মিনিট আগে
১৭৩ দিন ২ ঘন্টা ৩৬ মিনিট আগে
১৭৬ দিন ২২ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে
১৮৬ দিন ১ ঘন্টা ৯ মিনিট আগে