সারাদেশের ন্যায় বগুড়ার সারিয়াকান্দিতেও ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মৎস্য দপ্তরের নির্দেশনায় প্রটেকশন এন্ড কনজারভেশন অব ফিস এ্যাক্ট, ১৯৫০ এর অধীন প্রণীত প্রটেকশন এন্ড কনজারভেশন অব ফিস রুলস্, ১৯৮৫ এর রুল ১৩ মোতাবেক ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ১২ অক্টোবর থেকে ০২ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৭ অক্টোবর (মঙ্গলবার) সারিয়াকান্দি উপজেলার যমুনা নদীতে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুর রহমান এর নেতৃত্বে এবং থানা পুলিশের সহযোগীতায় পরিচালিত মোবাইল কোর্টে প্রায় ২৫০০ মিটার কারেন্ট জাল এবং ১১ টি চায়না ম্যাজিক জাল জব্দ করা হয়।
উক্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সবুজ কুমার বসাক, জেলা মৎস্য অফিসার কালিপদ রায়, জেলা মৎস্য দপ্তর বগুড়া'র সহকারী পরিচালক মশিউর রহমান, উপজেলা মৎস্য অফিসার গোলাম মোর্শেদ প্রমুখ।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনা শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদুর রহমান জানান, ইলিশের প্রজনন মৌসুমে যদি মা ইলিশ রক্ষা করা না যায় একসময় আমাদের ইলিশের চাহিদা অপূর্ণ থেকে যাবে। এজন্য মা ইলিশ রক্ষার্থে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক নজরদারি চালানো হচ্ছে। আগামী ০২ নভেম্বর পর্যন্ত নদীতে প্রশাসনের টহল অব্যাহত থাকবে। ইলিশ রক্ষায় যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে কেউ যদি তা লঙ্ঘন করে, তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, জব্দকৃত জাল কালিতলা ঘাটে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে।