বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি ও (এএ) জান্তা বাহিনীর মধ্যে গত ১০ মাস ধরে চলমান সংঘাতের কারণে উত্তপ্ত রয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) মধ্যরাতে টেকনাফ উপজেলা সদরের বিভিন্ন এলাকায় ওপার থেকে গুলির শব্দ শুনতে পেয়েছেন স্থানীয়রা।
আহমেদ হোসেন নামে পৌর এলাকার এক বাসিন্দা জানান, " রাত দুইটার দিকে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছি। মনে হচ্ছে ওপারে সংঘর্ষ চলছে।"
এছাড়াও মুহুর্মুহু গুলির শব্দ শুনতে পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন অনেক স্থানীয় বাসিন্দা।
রোহিঙ্গা অধিকারকর্মী মোহাম্মদ আনোয়ার জানিয়েছেন, সম্প্রতি মংডুর পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে এবং নিপীড়নের শিকার হচ্ছে সাধারণ রোহিঙ্গারা।
এদিকে টেকনাফে গত তিনদিনে রোহিঙ্গাদের ৪৪টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যারা আশ্রয়ের জন্য সমুদ্রপথে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার সময় নৌকাডুবিতে মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সীমান্তের পরিস্থিতি বিবেচনায় বিজিবি সর্তক রয়েছে বলে জানিয়ে টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, " রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকা ডুবির ঘটনায় গত তিনদিনে যে মৃতদেহগুলো ভেসে আসছে সেগুলো স্থানীয়দের মাধ্যমে তাদের দাফন করা হয়েছে। "
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী ককর্মকর্তা মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের বিরাজমান পরিস্থিতির কারণে মৃতদেহ উদ্ধার করতে দেরি হয় কারণ স্থানীয় প্রশাসন রাজনৈতিক সংঘর্ষের সময় জননিরাপত্তা নিয়ে ব্যস্ত ছিলো।
অন্যদিকে, উখিয়া-টেকনাফের ৩৩ টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী। বিভিন্ন পয়েন্টে তল্লাশি বসিয়ে অবাধ বিচরণ করতে থাকা রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।