উখিয়ায় ৪ দিন একটানা প্রবল বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে অন্তত ৪০ টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়েছে পড়েছে ৪ হাজার মানুষ। বহু কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙ্গে গ্রামীণ সড়ক লন্ডভন্ড হয়েছে। কালভার্ট বিধ্বস্ত হওয়ার পাশাপাশি গাছপালা এবং পানের বরজ নষ্ট হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
সরজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, জালিয়া পালং ইউনিয়নের নম্বরী পাড়া , ঘাটঘর পাড়া পাইন্যাশিয়া, সোনাইছড়ি, সোনারপাড়া ডেইপাড়া মনখালি, হলদিয়া পালং ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়া, রুমখা পালং,বড়বিল, পাতাবাড়ি,নলবুনিয়া,খেওয়া ছড়ি, বৌ বাজার, কুলাল পাড়া, মনির মার্কেট,পাগলির বিল, রাজা পালং ইউনিয়নের কুতুপালং, মাছকারিয়া, লম্বাশিয়া তুতুরবিল,হিজলিয়া, পিনজির কুল, রত্না পালং ইউনিয়নের সাদৃকাটা , পশ্চিম রত্না, বড়ুয়াপাড়া, খোন্দকার পাডা, গয়াল মারা ও পালংখালী ইউনিয়নে থাইংখালী, রহমতের বিল, বালুখালী তৈল খোলা, আঞ্জুমান পাড়া ফারিবিল সহ অন্তত ৪০ টি গ্রামে পানি তলিয়ে গেছে। চারদিকে পানি আর পানি। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় অনেক গবাদি পশু মারা যাচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৪ হাজার মানুষ। জনগণের চরম দুর্ভোগ বেড়েছে।
জালিয়া পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম সৈয়দ আলম জানান, সমুদ্র উপকূলীয় ডেইল পাড়া, নম্বরি পাড়া ও ঘাটঘর পাড়ায় কয়েকশো পরিবার পানিতে আটকা পড়েছে। সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের উখিয়া সভাপতি মোহাম্মদ নুর মোহাম্মদ শিকদার জানান ৪ দিন ধরে প্রবল বর্ষণে ও পাহাড়ি ঢলে মাটির রাস্তা গুলো লন্ডভন্ড এবং কালভার্ট বিধ্বস্ত হওয়ায় যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও অসংখ্য কাঁচা ঘরবাড়ি, গাছপালা ও পানের বরজ ভেঙ্গে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে।
হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী জানান, রুমখা চৌধুরী পাড়া, বড়বিল মনি মার্কেট সহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সবজি ক্ষেত সহ আমন মৌসুমের বীজতলা পানিতে ভেসে গেছে। স্থানীয় মৎস্য চাষীরা জানান, মৎস্য ঘেরে ও পুকুরে পানি ডুকে লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ ভেসে গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন গতকাল বুধবার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাসমূহ পরিদর্শন করেছেন। এ সময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আল মামুন ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন । পরিদর্শনকালে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরকে নির্দেশনা দেন তিনি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আল মামুন জানান, ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসরত মানুষগুলোকে নিরাপদ স্থানে চলে আসার জন্য মাইকিং সহ আশ্রয় কেন্দ্রগুলো খোলা রাখা হয়েছে।
১ দিন ১১ ঘন্টা ১৫ মিনিট আগে
৫ দিন ৭ ঘন্টা ৩৩ মিনিট আগে
৭ দিন ৪ ঘন্টা ৫০ মিনিট আগে
৭ দিন ১১ ঘন্টা ১০ মিনিট আগে
৯ দিন ৪ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে
১৩ দিন ২ ঘন্টা ৩৬ মিনিট আগে
১৪ দিন ১১ ঘন্টা ১৩ মিনিট আগে
১৮ দিন ৫ ঘন্টা ৫৮ মিনিট আগে