নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে টিকে গেল নতুন নিবন্ধন চাওয়া ১২ দল। এবার কাগজপত্রসহ দলগুলোর মাঠপর্যায়ের অফিসের খোঁজ নিবে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকল যে ১২ দল-
এবি পার্টি (আমার বাংলাদেশ পার্টি), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টি (বিএইচপি), গণঅধিকার পরিষদ, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি- বিএসপি, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি), বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি), ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ও বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএলডিপি)।
ইসি সচিব বলেন, কমিশনের অনানুষ্ঠানিক সভা হয়েছে। এতে রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। নতুন করে নিবন্ধন পেতে ৯৩টি দল আবেদন করেছিল। এই আবেদনগুলো যাচাই-বাছাইয়ের জন্য যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি কাজ করেছে। এতে যারা যে তথ্য দিয়েছিল, এই ৯৩টি আবেদনের মধ্যে ১৪টি আবেদন নির্দিষ্ট ফরমেটে ছিল না এবং দু’টি আবেদন প্রত্যাহার করে নিয়েছিল।
তিনি জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে মোট ১৬টি আবেদন বাতিল হয়ে যায়। অবশিষ্ট ৭৭টির মধ্যে আমরা তাদের চাহিত কাগজপত্র ১৫দিনের মধ্যে জমা দিতে বলেছিলাম। ১৯টি দল ১৫ দিনের মধ্যে জমা দিতে পারে নাই। এছাড়া প্রেরিত চিঠি দু’টির ঠিকানা ঠিক না থাকায় ফেরত এসেছে। ১০টি দল সময় আবেদন করেছিল। সেটা না মঞ্জুর করা হয়েছিল। এভাবে ৩১টি আবেদন পরবর্তীতে বাতিল হয়। সবশেষে থাকে ৪৬টি আবেদন। এই ৪৬টি আবেদন যাচাই বাছাই করে দেখা গেছে- নীতিমালা আইন এবং চাহিত তথ্যের সঙ্গে তারা যা দিয়েছে তা পূরণ না হওয়ায় ৩৪টি আবেদন বাতিল করা হয়েছে। আর ১২টি দল যে তথ্য দিয়েছে তা মাঠ পর্যায়ে যাচাই-বাছাই করে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। এরপর কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।
কবে চূড়ান্ত হতে পারে, কারো সুপারিশে এই বাছাই হয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি আগেই বলেছি- আমাদের যাচাই বাছাই প্রক্রিয়া শেষে এই ১২টির বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যার কারণে সংশ্লিষ্ট জেলা, উপজেলা ও কেন্দ্রীয় অফিস আছে কিনা ইত্যাদি যাচাই করা হবে। আমরা বলেছি ১৫দিনের মধ্যে তথ্য দিতে হবে। রোডম্যাপ অনুযায়ী- জুনের মধ্যে চূড়ান্ত হবে।
ইসি সচিব আরও বলেন, যাচাই-বাছাইয়ের পর কয়টা টিকবে কি টিকবে সেটা বলতে পারবো না। উপজেলা পর্যায়ে ২০০ ভোটারের সমর্থন থাকা লাগবে, এখন সেটা যাচাই করা হবে। এক-তৃতীয়াংশ জেলায় অফিস আছে কিনা সেই রিপোর্ট আসার পর সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (আরপিও) এবং রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা ২০০৮ অনুযায়ী তিনটি শর্তের যে কোনো একটি শর্ত পূরণ করলে সেই রাজনৈতিক দলটি নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে। শর্ত তিনটি হলো- ১. বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে অনুষ্ঠিত যে কোনো সংসদ নির্বাচনের যে কোনো একটিতে দলীয় প্রতীকে একটি আসন পেতে হবে। ২. কোনো সংসদ নির্বাচনে দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় মোট প্রদত্ত ভোটের অন্তত ৫ শতাংশ প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। ৩. দলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ একটি কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং দেশের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ জেলায় ও অন্তত ১০০টি উপজেলায় বা মেট্রোপলিটন থানায় কার্যালয় থাকতে হবে। প্রতিটি উপজেলায় দলের সদস্য হিসাবে ন্যূনতম ২০০ ভোটার তালিকাভুক্ত থাকতে হবে।
৩ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ১৪ মিনিট আগে
১ দিন ১ ঘন্টা ৬ মিনিট আগে
১ দিন ৯ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে
১ দিন ৯ ঘন্টা ৫৩ মিনিট আগে
১ দিন ৯ ঘন্টা ৫৫ মিনিট আগে
১ দিন ১০ ঘন্টা ১২ মিনিট আগে
১ দিন ১০ ঘন্টা ১৪ মিনিট আগে