হাফিজের চোখে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিতে খেলবে যে ৪ দল মোদি ফের ক্ষমতায় গেলে দেশের সংবিধানই থাকবে না: মমতা ডিবি কার্যালয় থেকে বের হয়ে যা বললেন মামুনুল হক এবার এক লাফে যত বাড়ানো হলো স্বর্ণের দাম নওয়াপাড়া মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শতভাগ পাস, শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা বিচ্ছুর বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত। জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত নাফনদী থেকে দুই কাঁকড়া শিকারীকে অপহরণ করেছে আরসা আবহাওয়া অধিদপ্তর যা জানাল সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ নিয়ে বিশ্বকাপে টাইগাররা কে কোথায় ব্যাটিং করবেন, জানিয়ে দিলেন পাপন কোম্পানীগঞ্জে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর গণসংযোগ সাংবাদিক প্রবেশের বিষয় স্পষ্ট করলো বাংলাদেশ ব্যাংক কংগ্রেসম্যানদের সই জালকারী বিএনপি একটা জালিয়াত রাজনৈতিক দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী নতুন কারিকুলামে শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে স্কুল কমিটি ও অভিভাবকদের মতবিনিময় কুড়িগ্রামে বিশ্ব উচ্চরক্তচাপ দিবস পালিত কক্সবাজার পিটিআইয়ে প্রশিক্ষণরত শিক্ষিকার মৃত্যু গলাচিপা উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে ১৫ জন ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হবে। পাঁচবিবি উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রুহুল আমিন সম্পাদক জুয়েল শেখ নির্বাচিত ঈশ্বরগঞ্জে বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনাসভা সিরাজগঞ্জ পৌরসভার কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি হান্নান খান, সম্পাদক আল আমিন

এশিয়া কাপ: সুপার ফোরে আফগানিস্তান

ফাইল ছবি

◾ স্পোর্টস ডেস্ক


এশিয়া কাপের এবারের আসরে প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে নিজেদের সামর্থ আগেই জানান দিয়েছিল আফগানিস্তান। এবার বাংলাদেশকে নাস্তানাবুদ করে সুপার ফোরে জায়গা করে নিল মোহাম্মদ নবির দল। ৭ উইকেট আর ৯ বল হাতে রেখে টাইগারদের হারাল দলটি।


দলকে বিপর্যয় থেকে টেনে তুলে জয়ের দেখা পেতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে জাদরান-নাজিবুল্লাহ আর ইব্রাহিমের ৩৩ বলে ৬৯ রানের জুটি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের সমিকরণ পরিবর্তন করে দেয়।


নাজিবুল্লাহ ১৭ বলে খেলেন ৪৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। যে ইনিংসে ১টি চারের সঙ্গে ছক্কা হাঁকান ৬টি। ৪১ বলে ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন ইব্রাহিম জাদরানও।


১২৮ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে শুরুতে চাপে পড়লেও শেষ হাসিটা হেসেছে আফগানরাই। তবে সাকিব-মেহেদির নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শুরুতে সুবিধা করতে পারেনি মোহাম্মদ নবির দল। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ১ উইকেটে মাত্র ২৯ রান তোলে দলটি। পঞ্চম ওভারে সাকিব আউট বলে আউট হন রহমানুল্লাহ গুরবাজ।


সাকিবকে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করেন গুরবাজ। ১৮ বলে তিনি করেন ১১ রান। মুশফিক স্টাম্প ভেঙে দিতে একটুও দেরি করেননি। আফগানিস্তান প্রথম উইকেট হারায় দলীয় ১৫ রানে।


এরপর উইকেটে থিতু হয়ে গিয়েছিলেন হযরতউল্লাহ জাজাই। ইব্রাহিম জাদরানের সঙ্গে ৩১ বলে ৩০ রানের জুটি গড়েন এই ওপেনার। অবশেষে ইনিংসের দশম ওভারে তাকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন মোসাদ্দেক। জাজাইয়ের ব্যাট থেকে আসে ২৬ বলে ২৩।


৪৫ রানে ২ উইকেট হারানোর পর আগেভাগেই নেমে পড়েন আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি। তবে সুবিধা করতে পারেননি। ১৩তম ওভারে বল হাতে নিয়েই সাইফউদ্দিন এলবিডব্লিউ করেন তাকে। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে ৯ বলে আসে ৮ রান।


এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। মাত্র ২৮ রানে হারায় ৪ উইকেট। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার কেলে ৭ উইকেটে ১২৭ রান তোলে সাকিব-মুশফিকরা।ব্যাটিংয়ে এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামেন শেষ সময়ে দলে যুক্ত হওয়া নাঈম শেখ। আফগান পেস আক্রমণের সেরা অস্ত্র হিসেবে পরিচিত ফজল হক ফারুকি করেন প্রথম ওভার। দেখেশুনে খেলে ওই ওভার থেকে একটি বাউন্ডারিসহ ৫ রান তুলে নেন নাঈম শেখ। তবে এরপর আর সুবিধা করতে পারেননি।


দ্বিতীয় ওভারে অফস্পিনার মুজিব উর রহমানকে আনেন আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ নাবি। মুজিব প্রথম ওভারেই ফেরান নাঈম শেখকে। পরিষ্কার বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরার সময় নাঈমের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ বলে ৬ রান।


এনামুল হক বিজয়কে ওয়ানডে ফরমেটে প্রচন্ড আত্মবিশ্বাসী মনে হলেও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে একদমই মানিয়ে নিতে পারছেন না। দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা এই ওপেনার নিয়মিতই ব্যর্থ হচ্ছেন টি-টোয়েন্টিতে। এশিয়া কাপেও এর ব্যত্যয় হল না। ১৪ বলে মাত্র ৫ রান করে ফিরেছেন সাজঘরে। মুজিব উর রহমানের ঘূর্ণিতে ক্রস খেলতে গিয়ে লাইন পুরোপুরি মিস করেন বিজয়। আম্পায়ার অবশ্য প্রথমে আবেদনে সাড়া দেননি। তবে রিপ্লেতে দেখা যায়, বল তার লেগস্টাম্প পেয়ে গেছে।


নাঈম শেখ, এনামুল হক বিজয়ের পর অপরিণামদর্শী শট খেলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক সাকিবও। ৯ বলে সাকিব করেন মাত্র ১১ রান। 


তিনটি উইকেটই নেন আফগান অফস্পিনার মুজিব উর রহমান। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৩ উইকেটে মাত্র ২৮ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ।


সেখানেই থামেনি উইকেট পতনের মিছিল। পাওয়ার প্লের পরের ওভারে রশিদ খান বল হাতে নিয়ে যোগ দেন উইকেট শিকারের উৎসবে। মুশফিকুর রহিমকে (১) করেন এলবিডব্লিউ। আম্পায়ার শুরুতে নটআউট দিলে রিভিউ নিয়ে জেতে আফগানিস্তান।


২৮ রানে ৪ উইকেট হারানো দলকে এরপর টেনে তোলার দায়িত্ব নেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর তরুণ আফিফ হোসেন। পঞ্চম উইকেটে তারা দেখেশুনে খেলে যোগ করেন ২৫ বলে ২৫ রান।


একাদশতম ওভারে এসে এই জুটিটি ভাঙেন রশিদ খান। আফগান লেগস্পিনারের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন আফিফ (১৫ বলে ১২)। ৫৩ রানে ৫ উইকেট হারায় টাইগাররা।


তবে উইকেটে এসে ধরে খেলার চেষ্টা না করে মারমুখী হন মোসাদ্দেক হোসেন। নিজের মোকাবেলা করা তৃতীয় বলেই মোহাম্মদ নাবিকে ছক্কা হাঁকান এই অলরাউন্ডার। যদিও এই বলটি ক্যাচ হয়েছিল, আম্পায়ার সফট সিগন্যাল আউটও দিয়ে রাখেন। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায়, ক্যাচ নিয়ে বাউন্ডারিতে পা দিয়েছেন আফগান ফিল্ডার ওমরজাই।


দলের চরম বিপদের মুখে দুটি জুটি গড়েছেন মাহমুদউল্লাহ। প্রথমে আফিফ হোসেনকে নিয়ে ২৫ বলে ২৫, পরে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে নিয়ে ৩১ বলে ৩৬ রান যোগ করেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।


অবশেষে ইনিংসের ১৬তম ওভারে রশিদ খানকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ইব্রাহিম জাদরানের দারুণ ডাইভিং ক্যাচ হন তিনি। ২৭ বলে ১ বাউন্ডারিতে মাহমুদউল্লাহ করেন ২৫ রান।


মোসাদ্দেক ঠিক টি-টোয়েন্টির ব্যাটিংটাই করেছেন। যদিও শেষ পর্যন্ত ফিফটিটা পাননি। তবে ৩১ বলে চারটি ৪ আর একটি ছয়ে করেছেন ৪৮ রান।


আফগানিস্তানের বোলারদের মধ্যে ৩টি করে উইকেট নেন মুজিব উর রহমান আর রশিদ খান।


সংক্ষিপ্ত স্কোর:


আফগানিস্তান: ১৩১/৩ (১৮.৩ ওভার শেষে)।


ব্যাটিং: ইব্রাহিম ৪২* ও নাজিবুল্লাহ ৪৩*।


আউট: ১৫/১ (গুরবাজ ১১), ৪৫/২ (জাজাই ২৩), ৬২/৩ (নবী ১১)।


বোলিং: সাকিব ১/১৩, মোসাদ্দেক ১/১২ ও সাইফ উদ্দিন ১/২৭।


বাংলাদেশ: ১২৭/৭ (২০ ওভার শেষে)।


ব্যাটিং: মোসাদ্দেক ৪৮* ও সাইফ উদ্দিন ০*।


আউট: ৭/১ (নাঈম শেখ ৫), ১৩/২ (এনামুল ৫), ২৪/৩ (সাকিব ১১), ২৮/৪ (মুশফিক ১), ৫৩/৫ (আফিফ ১২*), ৮৯/৬ (মাহমুদউল্লাহ ২৫) ও ১২৭/৭ (মাহেদী ১৪)।


বোলিং: মুজিব ৩/১৬ ও রশিদ ৩/২২।


ফল: আফগানিস্তান ৭ উইকেটে জয়ী।


আরও খবর