বাংলাদেশের জনগণ এখন মর্যাদা নিয়ে বিশ্ব দরবারে চলতে পারে: প্রধানমন্ত্রী গোদাগাড়ীতে কাভার ভ্যানের ধাক্কায় সাইকেল আরোহী নিহত আরও ২ দিন বাড়লো ‘‌হিট অ্যালার্ট’ অষ্টমবারের মতো কমলো স্বর্ণের দাম হবিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের ৪ জনই গলাচিপার বদিউজ্জামান ফকিরের উপরে হামলা চালিয়ে থানায় ঢুকে উত্তাপ ছড়ালো ইঞ্জিনিয়ার আমিনুলের সমর্থকরা চৌদ্দগ্রামে আন্তঃজেলা অজ্ঞান পার্টির ২ সদস্য গ্রেফতার। সাভারের আশুলিয়ায় স্ত্রী কে হত্যার দায়ে স্বামী গ্রেফতার চৌদ্দগ্রামে ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী পরিষদের পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। খুবিতে 'বি 'ইউনিটে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল তৃতীয় ধাপের চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাচনে ১০ জনের মনোনয়নপত্র জমা শ্রেষ্ঠ কলেজ শিক্ষক মনোনীত হলেন আমানত উল্লাহ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে দুইমাস ব্যাপী কম্পিউটার বেসিক এণ্ড নেটওয়ার্কিং প্রশিক্ষণের উদ্বোধন তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ গোদাগাড়ীতে পথচারীদের মাঝে বিএনপি’র পানি ও স্যালাইন বিতরণ নিখোঁজের ১৯ মাস পর কঙ্কাল, ব্রেসলেট দেখে স্ত্রী শনাক্ত করলো স্বামীর লাশ জাতীয় পর্যায়ে খুলনা বিভাগের শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি কিনিকের স্বীকৃতি পেল দেবীপুর কমিউনিটি কিনিক লাখাইয়ে পিপাসার্থদের পাশে পথশিশু নিকেতন ফাউন্ডেশন। অভয়নগরের তা'লীমুল কুরআন মাদ্রাসায় আল্লাহর রহমত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম কমলো ৪৯ টাকা উখিয়ার সীমান্ত থেকে ১০ জেলেকে অপহরণ আরাকান আর্মির

বাংলাদেশের নির্বাচনকে কেন এত গুরুত্ব দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র?

বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বেশ সরব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দীর্ঘদিন ধরে তারা বিষয়টি নিয়ে কথা বলে আসছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতিও ঘোষণা করেছে মার্কিন সরকার। নতুন এই ভিসা নীতি নিয়ে দেশের বিভিন্ন মহলে বিভিন্ন কথা হচ্ছে। যদিও বিষয়টিকে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রতি মার্কিন সমর্থনের অংশ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। অনেকেই আবার মনে করছেন, এর পেছনে আরও কোন 'কৌশলগত হিসেব-নিকেশ' থাকতে পারে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, বাংলাদেশের নির্বাচনকে কেন এতো গুরুত্ব দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।


ওয়াশিংটনভিত্তিক উইলসন সেন্টারের সাউথ এশিয়ান ইন্সটিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান বলেছেন, এটা বেশ কঠোর একটা সিদ্ধান্ত এবং এখানে একটা খুবই স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে। মার্কিন প্রশাসন এখন দেখবে নির্বাচন ঘনিয়ে এলে সেখানে কী ঘটে।


মাইকেল কুগেলম্যান জানান, তার মনে হচ্ছে জো বাইডেন প্রশাসনের গণতন্ত্র প্রসারের এজেন্ডার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে একটা দৃষ্টান্ত হিসেবে নেওয়া হচ্ছে। তার ভাষায়, ‘বাইডেন প্রশাসন একটা মূল্যবোধভিত্তিক পররাষ্ট্রনীতিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে এবং বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটা জোরালোভাবে প্রয়োগ করছে।’


একই কথা জানালেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো ড. আনু আনোয়ার। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়েও অনেক প্রশ্ন উঠেছিল- কিন্তু তখন যুক্তরাষ্ট্র এরকম কোন ভূমিকাই নেয়নি। কারণ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নীতি মূল্যবোধ-ভিত্তিক ছিল না। কিন্তু বাইডেনের পররাষ্ট্রনীতি মূল্যবোধভিত্তিক এবং গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে তারা অগ্রাধিকারের তালিকায় এক নম্বরে রেখেছে।’


ড. আনোয়ার বলছেন, নতুন ভিসা নীতিকে এ প্রেক্ষাপটে ব্যাখ্যা করাটাই সবচেয়ে সঠিক হবে। বাইডেন সরকার যদি বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শাসন আছে বলে মনে করতো, তাহলে নিশ্চয়ই ডেমোক্রেসি সামিটে ঢাকা আমন্ত্রিত হতো।


মাইকেল কুগেলম্যান বলছেন, গত বেশ কিছুকাল ধরেই আমরা দেখছি বাইডেন প্রশাসন বাংলাদেশের সরকারের ক্র্যাকডাউনের সমালোচনা করেছে, র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এখন দেখা যাচ্ছে যে কূটনৈতিক পন্থার বাইরে গিয়ে তারা প্রয়োজনে ‘শাস্তিমূলক পদক্ষেপ’ নিতেও ইচ্ছুক। অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন, গণতন্ত্র ও অধিকার নিশ্চিত করতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতেও প্রস্তুত।


মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র জানে যে বাংলাদেশে চীন অনেক প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠতাও অনেক এবং যুক্তরাষ্ট্র সচেতন যে বাংলাদেশ- দক্ষিণ এশিয়ার আরও অনেক দেশের মতোই- ভারত ও চীন উভয়ের সাথেই ভারসাম্য রেখে চলতে চায়। তবে যুক্তরাষ্ট্র এসব দেশের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখতে চায় এবং এটাও দেখতে চায় যেন তারা চীনের ওপর খুব বেশি নির্ভরশীল হয়ে না পড়ে।’


তার কথায়, ‘ওয়াশিংটনে আজকাল স্ট্র্যাটেজির কথা বললেই তা চীনের সাথে জটিলতার লেন্স দিয়ে দেখা হয়। আমার তো মনে হয় অনেকেই যুক্তি দেবেন যে এ ধরনের (ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের মতো) নীতি নিলে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কে ঝুঁকি তৈরি করতে পারে, কারণ তা ঢাকাকে চীনের আরো ঘনিষ্ঠ হবার দিকে ঠেলে দিতে পারে, বা এমন পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বেইজিং ঢাকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর চেষ্টা করতে পারে। সেটা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের অনুকূল হবে না। বরং বাইডেন প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতিতে বিভিন্ন দেশে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রসার ঘটানোর যে কথা আছে- তার আলোকে একে দেখাটাই বেশি যুক্তিযুক্ত মনে হয়।’


বাংলাদেশে এমন একটা ধারণা অনেকের আছে, যুক্তরাষ্ট্র বর্তমান সরকারের বিরোধী, যেহেতু তারা এ সরকারের অনেক সমালোচনা করেছে। কিন্তু এই নতুন ভিসা নীতিতে এটা পরিষ্কার যে এর আওতায় সরকার ও বিরোধীদল উভয়ের লোকেরাই পড়বেন- যদি তারা অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনে বিঘ্ন সৃষ্টি করেন। ফলে এই ভিসা নীতি হয়তো 'যুক্তরাষ্ট্র একটি নিরপেক্ষ ভূমিকা নিচ্ছে'- এ ধারণা জোরদার করার জন্যই নেওয়া হয়েছে বলে মনে করেন মাইকেল কুগেলম্যান।