সরকারি বাহন ট্রেনে ঘটছে একের পর এক নাশকতার ঘটনা। এতে ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ার পাশাপাশি জীবন্ত দগ্ধ হয়েছেন বেশ কয়েকজন যাত্রী। এবার নাশকতা এড়াতে ট্রেন ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার আওতায় আনা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানো শুরু করেছে রেলওয়ে পুলিশ। প্রথম পর্যায়ে আন্তনগর ট্রেন, পরবর্তী সময়ে বাকি ট্রেনগুলো সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে পুলিশ।
রেলওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিটি ট্রেনের সামনে-পেছনে এবং গুরুত্বপূর্ণ সব স্থানে থাকছে সিসি ক্যামেরা। প্রথমে যাত্রীদের কাছে যেসব ট্রেনের চাহিদা বেশি সেসব আন্তনগর ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, গত ১৬ নভেম্বর রাতে টাঙ্গাইল স্টেশনে টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের কোচে আগুন দেওয়া হয়। ওই ঘটনায় ট্রেনটির দুটি কোচ পুড়ে যায়। এ ঘটনার দুইদিন পর ১৯ নভেম্বর জামালপুরের সরিষাবাড়ী স্টেশনে যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়। এ সময় ট্রেনটির দুটি কোচ পুড়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় আরও একটি কোচ। ২২ নভেম্বর রাতে সিলেট রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি কোচে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
১৩ ডিসেম্বর রেলওয়ের ভাওয়াল গাজীপুর এবং রাজেন্দ্রপুর সেকশনে ২০ ফুট রেললাইন কেটে ফেলা হয়। কেটে ফেলা ওই রেললাইনে দুর্ঘটনায় পড়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন। চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী জানান,নাশকতা এড়াতে রেলওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ চলছে। প্রথমে কয়েকটি ট্রেনে ক্যামেরা লাগানো হয়েছে।
পর্যায়ক্রমে সব ট্রেন এর আওতায় আনা হবে। প্রথম পর্যায়ে সিসিটিভি মনিটরিং করা হবে রেলওয়ে পুলিশ হেড কোয়ার্টার থেকে। ঢাকা রেলওয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) আনোয়ার হোসেন জানান, ঢাকা থেকে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, হাওর এক্সপ্রেস নামে দুটি ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকি ট্রেনগুলোতে সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে। যেসব স্টেশনে আগে থেকে সিসি ক্যামেরা নেই সেখানেও লাগানো হচ্ছে।
৪ ঘন্টা ২৯ মিনিট আগে
২০ ঘন্টা ৫৫ মিনিট আগে
২২ ঘন্টা ৫ মিনিট আগে
১ দিন ৯ মিনিট আগে
১ দিন ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট আগে