ক্ষেতলালে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় ক্ষেতলালে প্রথমবারের মতো চীনা বাদাম চাষে ঝুঁকছে কৃষকরা বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী চন্দনাইশে আবু হেনা ফারুকীকে নির্বাচনে দাঁড়াতে অনুমতি দিয়েছে এলাকাবাসী ভাঙ্গায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জমি দখল গাজায় ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারে লাগতে পারে ১৪ বছর : জাতিসংঘ বৃষ্টি নিয়ে সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস হাসিনা-তাভিসিন আন্তরিক বৈঠক, থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ দলিল স্বাক্ষর কোরআনের সবচেয়ে সম্মানিত আয়াত কড়া রোদে চোখের ক্ষতি এড়াতে যা করবেন ইন্টারনেট ছাড়াই ছবি-ফাইল পাঠানো যাবে হোয়াটসঅ্যাপে প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ২২:২৯ মুক্তির আগেই সিনেমার ব্যবসা ১০০০ কোটি রুপির প্রচন্ড তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত প্রচন্ড তাপদাহ ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব বাড়ছে খাদ্য ও পানীর সংকট রিজার্ভ বেড়ে ২০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশের তীব্র দাবদাহের খবর যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার : অর্থ প্রতিমন্ত্রী বাংলার বাঘ নামে পরিচিত হক সাহেব ছিলেন গণমানুষের নেতা : রাষ্ট্রপতি মানবসম্পদ উন্নয়নে উচ্চ শিক্ষার বিকল্প নেই : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

তারুণ্যের ভাবনায় দেশের চিত্র: আজ ও আগামী


◾ইমরুল ইসলাম সুইট : বাংলাদেশ দীর্ঘ ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণ ও গঞ্জনার পর পাকিস্তানিদের দ্বারা অত্যাচারিত হয়ে তারপর একটি স্বাধীন দেশের অভ্যুদ্বয় হয়েছে। মুক্তিকামী বাঙালি জনগণ স্বাধীনতার স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নের্তৃত্বে ৩০ লক্ষ প্রাণের তাজা রক্ত ও ২ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের বিনিময়ে অর্জন করেছিল স্বাধীনতার লাল সূর্যখচিত পতাকা একটি স্বাধীন দেশ বাংলাদেশ। স্বাধীনতার ৫২ বছরের ইতিহাসে মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে দেশের যেকোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তরুণদের অবদান ছিল এবং আগামী দিনেও তরুণরাই তাদের দীপ্তময় প্রাণ শক্তি,অফুরান ইচ্ছা শক্তি, অজয়কে জয় করার প্রত্যাশা,সৃজনশীল চিন্তাধারা,মেধা ও মনন ও অসম্ভবকে জয় করার আকাক্সক্ষায় এগিয়ে নিবে আগামীর বাংলাদেশকে।


স্বাধীনতার ৫৩ বছরে পা দিয়েও আমরা এখনো অর্জণ করতে পারিনি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, রাজনৈতিক সহিষ্ণুতা, শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান,উদার গণতান্ত্রিক চর্চা, সামাজিক মূল্যবোধ, বেকারত্ব দূরীকরণ সহ একটি সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ। বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় আমরা দেখতে পাই , সাধারণ মানুষ তার শ্রমের ন্যায্য মূল্য পায়না, কৃষক তার পণ্যের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়। দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট ও সামাজিক অবক্ষয়ে মানুষ জর্জরিত। দু'মুঠো খাবার যোগার করা আজ অনেকের জন্যই কঠিন বাস্তবতা। লাগামহীন মজুদদারী ও অব্যবস্থাপনার যাতাকলে সঠিক বাজার মনিটরিং এর অভাবে মানুষ আজ দ্রব্যমুল্যের কাছে নাজেহাল। এক দিকে দুর্নীতি, কালোবাজারি আর নীতি বিবর্জিত বিভিন্ন কর্মকান্ডে আজ এক শ্রেনী হচ্ছে শোষন ও নিপিরনের স্বীকার আর একটা শ্রেনী অবৈধভাবে গড়ে তুলছে সম্পদের পাহাড়। অপরদিকে শোষিত ও নিপিরিত মানুষ দিন দিন হচ্ছে দারিদ্রের কলারগ্রাসে জর্জরিত।


এমন কি আজ মানুষ অন্যায়ের প্রতিবাদ ও বাক স্বাধীনতা থেকেও কোন কোন ক্ষেত্রে হচ্ছে বাাধাগ্রস্ত। বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আজ মানুষ প্রযুক্তিগত শিক্ষার দিকে ধাবিত হচ্ছে। আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাও সেই লক্ষে এগিয়ে চলেছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো,  আধুনিকতার নামে আমরা কোন কোন ক্ষেত্রে বিদেশী আগ্রাসনে অতি উৎসায়ী হয়ে বা সুশিক্ষার অভাবে, রুচির দুর্ভিক্ষে হারিয়ে ফেলছি আমাদের ঐতিহ্য , পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধ।


এছাড়া সামাজিক অবক্ষয়, বেকারত্বের অভিশাপে, হতাশায় তরুণ ও যুব সমাজ পা দিচ্ছে মাদকের প্রাণঘাতী নেশায়। তাছাড়া সামাজিক ও ধর্মীয় অবক্ষয়ের কারনে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও জঙ্গীবাদের মতো বড় অপকর্মে জড়িত হতে দেখা যাচ্ছে আজকের তরুণদের।

আমাদের বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১৮ কোটি এর মধ্যে একটি বিশাল জনগোষ্ঠীই তরুণ। তরুণরাই আগামী দিনের বাংলাদেশের রূপকার হয়ে উঠবে। আর এই বিশাল জনগোষ্ঠী আমাদের দেশের সম্পদ। আর এই সম্পদকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারলেই আমাদের দেশ হতে পারে সত্যিকারের সোনার বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সরকার ২০১৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প ঘোষনা করে। এর ধারাবাহিকতায় দেশের প্রত্যন্ত অ লে প্রযুক্তি নির্ভর সেবা পৌছে দিতে সরকার নানামুখী কাজ করছে। প্রত্যন্ত গ্রামেও পৌছে গেছে ইন্টারনেট সেবা। ইন্টারন্টে ব্যবহার করে গ্রামের কৃষক থেকে শুরু করে নারী সহ পরিবারের সকল মানুষ বিভিন্ন প্রযুক্তির সুবিধা ভোগ করছে। কৃষির বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তি এখন মানুষ ঘরে বসে জ্ঞান অর্জণ করে কৃষির ব্যাপক উন্নয়নে কাজে লাগাচ্ছে। যা আগামীতে আরো সম্প্রসারিত হবে এবং তা এগিয়ে নিবে তরুণরাই।


আগামীর বাংলাদেশ হবে তারুণ্যের বাংলাদেশ, যেখানে শিশুদেরকে গড়ে তুলতে হবে বিজ্ঞান সম্মত, কর্মমুখী, ধর্মীয় ও সামাজিক শিক্ষা দ্বারা শিক্ষিত করে। আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর দক্ষ জনশক্তি গঠনে এই শিশুরাই হবে আগামী দিনের তারুণ্যের প্রতিক, দেশ গড়ার কারিগর। জীবনমুখী ও বিজ্ঞান সম্মত শিক্ষা,প্রযুক্তির উন্নয়ন দিয়ে তাদেরকে এগিয়ে নিতে বর্তমান সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ২০৪১ সাল নাগাদ যে পরিকল্পনা করেছে তা এগিয়ে নিবে তরুণরাই। তাই বাস্তবতা মেনে শুধু মোবাইল বা বিদেশী আগ্রাসনে গা না ভাসিয়ে নিজের দেশের ঐতিহ্য গুলো যেন বিশ্বায়নের থাবায় হারিয়ে না যায় সেদিকেও সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আমাদের নিজস¦ সংস্কৃতি, ভাষা যে ভাষার জন্য আমরা ১৯৫২ সালে রক্ত দিয়েছি অর্জন করেছি আমাদের মাতৃভাষার স্বিকৃতী যা সারা বিশ্বে এখন আন্তর্জাতিক ভাবে পালন করে প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে।


তাই বাংলা ভাষাও যেন হারিয়ে না যায় বা ভাষার যেন আরও সুন্দর ও প্রকৃত ব্যবহার হয় সেদিকেও তরুণরা অগ্রসর হবে। নিজের দেশের লোক গান,কবিতা,গল্প,ছড়া সহ সাহিত্যের সকল শাখা বা দাপ্তরিক সকল জায়গায় বাংলা ভাষাকে এগিয়ে নিতে কাজ করবে এই তরুণরাই। বর্তমানে ভাষার যে বিকৃতি বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাচ্ছে তার প্রতি সজাগ দৃষ্টি দিতে বর্তমান তরুণরা এগিয়ে যাবে।


আধুনিক শিক্ষা ও বিজ্ঞানের এই উৎকর্ষতায় বর্তমান তরুণরা বিজ্ঞানেও তাদের উৎকর্ষতা সাধনে আরো অগ্রসর হবে। বর্তমানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গনিত অলেম্পিয়াড ও রোবটিক প্রতিযোগীতায় বাংলাদেশ অনেক ক্ষেত্রেই সাফল্য বয়ে আনছে। ভবিষ্যতে তা আরো প্রসার ও সম্প্রসারণে তরুণরাই নেতৃত্ব দিবে আগামীর বাংলাদেশে। বর্তমানে বাংলাদেশ নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন করেছে। আরো নানাবিধ বিজ্ঞানসম্মত আধুনিক আবিস্কারে তরুণ তাদের দিপ্তি ছড়াবে আগামীর বাংলাদেশে। বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন খেলা সহ জনপ্রিয় খেলা যেমন ফুটবল,ক্রিকেট সহ আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশকে তুলে ধরবে এই রকম বিভিন্ন কর্মকান্ড যার নেতৃত্ব দিবেন আগামীর তরুণরাই।


বাংলাদেশের অর্থনীতি এক সময় শুধু কৃষি নির্ভরশীল ছিলো। বর্তমানে বাংলাদেশ তৈরী পোষাক খাতে রপ্তানিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রথম সারিতেই অবস্থান করছে। ভবিষ্যতে আরো এ খাতকে এগিয়ে নিতে আধুনিক নিজস্ব জনবল ও সম্পদ ব্যবহার করে সর্বশীর্ষ রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে এগিয়ে নিবে এদেশের তরুণরাই। তাছাড়া বাংলাদেশের ঔষধ বিদেশে অনেক দেশে রপ্তানি হয়ে থাকে যা ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে নিতে কাজ করবে এদেশের তরুণরাই।


তারুণ্যের এই অগ্রযাত্রা আগামী দিনের বাংলাদেশ বিনির্মাণে যথাযথ ও অগ্রনী ভূমিকা পালন করবে। পুরো পৃথিবী আজ জলবায়ুর প্রভাবে পরিবর্তন হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পরিবেশগত বিপর্যয়ের যে আন্দোলন সেখানে বাংলাদেশ অগ্রনী ভুমিকা পালন করবে। আর সেখানে নেতৃত্ব দিবে বাংলাদেশের তরুণ। তরুণ বলতে এখানে বাংলাদেশের তরুণ যুবকদের অংশগ্রহনই থাকবেনা। সেখানে নারীরাও সমানতালে তাদের কৃত্তির ঝান্ডা তুলে বিশ্বকে জানান দেবে আমরাও পারি। আর তখনই পুরো বিশ্বের বুকে আবারও খচিত হবে লাল সূর্যের সোনালী আলকছটা আর তখনই বেজে উঠবে জয় উৎযাপনের গান- আমরা করবো জয় আমরা করবো জয় আমরা করবো জয় একদিন।


ইমরুল ইসলাম সুইট

লেখক ও সংস্কৃতিকর্মী



আরও খবর
deshchitro-6627268572040-230424090957.webp
উচ্চশিক্ষা অর্জনে শিক্ষকের ভূমিকা

৪ দিন ৫ ঘন্টা ৫০ মিনিট আগে






660820eb14353-300324082547.webp
আলিয়া মাদরাসার শিক্ষাব্যবস্থা কোন পথে?

২৭ দিন ১৯ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে