ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠিত পাবিপ্রবিতে পদ্মা ছাত্র কল্যাণ সমিতির ইফতার মাহফিল ও নবীন বরণ অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে কুশুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ডোমারে নারীর প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত কোম্পানীগঞ্জে মাঠ দিবস পালিত কোম্পানীগঞ্জে ৩ দিনব্যাপী কৃষক-কৃষাণী প্রশিক্ষণ নন্দীগ্রামে ওয়ার্ড বিএনপির ইফতার মাহফিল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর ৩৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ইফতার মাহফিল! আদমদীঘিতে নির্বাচন অফিসের মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি কুবিতে আছিয়ার ধর্ষকদের অতিদ্রুত বিচারের দাবিতে মৌন মিছিল থিয়েটার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ইমতিয়াজ, সম্পাদক তন্ময় আদমদীঘিতে বিস্কুটের প্যাকেটের ভিতর হেরোইন, বাসযাত্রী গ্রেপ্তার শুক্রবার একই ফ্লাইটে কক্সবাজার যাচ্ছেন ড. ইউনূস ও গুতেরেস আছিয়ার দাফন সম্পন্ন, ধর্ষকের বাড়িতে বিক্ষুব্ধ জনতার আগুন নন্দীগ্রামে পৌর জামায়াতের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত সুন্দরবন থেকে চোরাই কাঠসহ কোস্টগার্ডের হাতে আটক ১০ লতিফিয়া সংগঠন মীরের গাঁও এর উদ্যোগে এবং প্রবাসীর অর্থ প্রদান ও ইফতার সম্পূর্ণ পীরগাছায় বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির কার্যালয় উদ্বোধন ও ইফতার মাহফিল কুবি তরুণ কলাম লেখক ফোরামের দোয়া ও ইফতার সম্পন্ন প্রাচীন মহকুমা শহর রামগড়ের মর্যাদা পুনরুদ্ধার ও উন্নয়ন ভাবনা শীর্ষক মতবিনিময়

নারীকে পণ্য হিসেবে ব্যবহার! দায়ী কে?

মোহাম্মদ ইমাদ উদ্দীন ( Contributor )

প্রকাশের সময়: 31-03-2024 10:19:00 am

নারীকে পণ্য হিসেবে ব্যবহার! দায়ী কে?

         মোহাম্মদ ইমাদ উদ্দীন 

বর্তমান সময়ে সোস্যাইল মিডিয়ায় ঢুকলে কিংবা পত্র -পত্রিকা খুললেই দেখা মিলে অসংখ্য  অপকর্ম ও অপরাধীর সংবাদ। যা  সমাজে কিংবা রাষ্ট্রে দিন দিন বেড়েই চলেছে। অথচ এসব অপকর্ম ও অপরাধীর জন্য পরিবারের পাশাপাশি বেশীরভাগ মিডিয়ায় দায়ী। এই দেশে নারীর স্বাবলম্বী এবং তাদের স্বাধীনতার নামে তাদের নিয়ে করা হয় প্রচুর ব্যবসা। আইয়্যামে জাহেলিয়াত সময়ে নারীকে পণ্য হিসেবে যেমনি ব্যবহার হতো তেমনি বর্তমান সময়েও ব্যতিক্রম নয়। বর্তমান সময়ে মিডিয়ার দিকে নজর দিলে দেখা মিলে "দেখিয়ে দাও অদেখা তোমায়" এবং "কামাই থাকলে জামাই লাগে না" সহ বিভিন্ন বিজ্ঞাপন। প্রতি নিয়ত নারীদেরকে পণ্য হিসেবে ব্যবহার করে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। আর এই সব অনুষ্ঠান আয়োজনের  পিছনে আছে দেশের স্বনামধন্য বড় বড় কোম্পানির  বিশাল বিনিয়োগ। এমন কি সরকারী পৃষ্ঠপোষকতাও। 
নারীর সৌন্দর্য্য প্রতিযোগিতার নামে করা হয়  দেহ প্রদর্শন। এ দেশে সুশীল সমাজের কিছু নারী লোভী নারীদেরকে ভোগ করার জন্য  তাদেরকে শিখিয়ে দেয়  "শরীর আমার, সিদ্ধান্ত আমার"। শরীর আপনার বলে আপনি যে কাউকে আপনার শরীর বিলিয়ে দিতে পারেন না। সেই অধিকার আপনাকে ইসলাম কিংবা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন দেয় নি।  অথচ কুরআনের ভাষায়  নারীর দেহ  শুধুমাত্র তার স্বামীর জন্য। 
আপসোস! আজকের সমাজে কিংবা রাষ্ট্রে অধিকাংশ সুন্দরী মেয়েরা মধ্যবিত্ত কিংবা গরীব ছেলেদের  স্ত্রী হওয়ার চেয়ে বড়লোকের বিবাহিত কিংবা অবিবাহিত  ছেলেদের রক্ষিতা হতে বেশী পছন্দ করে।  কিছুদিন দু'জনের সম্মতিতে  মাস্তি করবে। সুন্দরী মেয়ে দামী দামী উপহার নিবে আর বড়লোকের ছেলেটি সুবিধা নিবে কিংবা প্রয়োজন মিটাবে।  যা সাধারণত সৌন্দর্যের বিনিময়ে অর্থ এবং অর্থের বিনিময়ে সৌন্দর্য ভোগের  চর্চা হয়।  যখন বড় লোকের ছেলেটির প্রয়োজন মিটানোর পর অন্য কাউকে খুঁজে পায় তখন মেয়ের পক্ষ থেকে দাবী করা  হয়  বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ব্যবহার করেছে।পরবর্তীতে দেখা যায় আত্মহত্যা কিংবা খুন ও গুম সহ বড় ধরণের অপরাধের জন্ম নেয়। এইটাই রাষ্ট্রের  ইদানীং ফ্যাশনে পরিণত  হয়েছে। যে রাষ্ট্রে নৈতিক শিক্ষার আগে যৌন শিক্ষাকে প্রাধান্য দেয় আর তরণ-তরুণী ছেলে-মেয়েদের অবাধ মেলামেশাকে পরিবার থেকে প্রশ্রয় দেয় সেখানেই অপরাধ প্রবনতা বাড়বেই সেটা স্বাভাবিক। এইটার জন্য পুরো দায়ী এই রাষ্ট্রের শিক্ষা ব্যবস্থা আর পরিবারের অসচেতনতা। 
ছেলে-মেয়েদের অবৈধ মেলামেশা নিয়ে পরিবার,  সামাজিক ও রাষ্ট্রীভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতা, ইসলামিক মূল্যবোধ ও নৈতিক শিক্ষা ,  রাষ্ট্রীয় দায়িত্বশীল পালন করতে হবে। পরিবার থেকে ছেলে-মেয়েদের শাসনের পাশাপাশি তাড়াতাড়ি তাদের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার ব্যবস্থা করে দিতে হবে।মসজিদের ইমাম ও খতীব এবং ওয়াজীনগনকে আজগুবি কিচ্ছা কাহিনী না বলে অবৈধ মেলামেশা কিংবা যিনার পরিণতি  সম্পর্কে ওয়াজ নসীহত করার মাধ্যমে তরুণ-তরুণী ছেলে মেয়েদেরকে সু্ন্দর জীবন গড়ার সুযোগ করে দিতে হবে।


লেখক: কলামিস্ট ও সংগঠক। 

Tag