রাজনৈতিক আক্রমণ এবং সংঘাতের ধারাবাহিক পরিণাম হিসেবে মানুষের জীবনযাত্রা অপার্থক্য সম্পর্কে আমরা আশান্তি অনুভব করতে পারি। এই অপার্থক্যর চেয়েছেন মাগুরার গজদুবা গ্রামের দলিত জনগণ। শালিকা থানার ধলেশ্বরী ইউনিয়নের এই গ্রামে প্রচুর রাজনৈতিক সংঘাতের কারণে জনগণের জীবন হচ্ছে ভয়াবহ অবস্থায় একটি বিখ্যাত উদাহরণ।
বিগত বছর ২০১১ সাল থেকে শুরু হয়ে দুইটি রাজনৈতিক দলের (অলিয়ার রহমান মোল্লা এবং ইমতিয়াজ আলী মোল্লা) মধ্যে সন্ধিত মারামারি ও সংঘর্ষ। এই ঘটনাকে অবলম্বন করে তিনজন মানুষ নিহত হয়েছে। এই সংঘর্ষের ফলে অলিয়ার রহমান মোল্লার পরিবার ও তার বংশবলি ধ্বংস হয়েছে। বর্তমানে অলিয়ার রহমান মোল্লা এবং তার পরিবার ভিটা বাড়ি ছাড়া, অনেকেই ধরে রয়েছেন নিজ প্রাকৃতিক বাস্তবতার শেষ সম্বল ভিটা বাড়ি।
একই সময়ে, ইমতিয়াজ আলী মোল্লা সহ মেহেদী মোল্লা, মনিরুল মোল্লা, আইয়ুব মোল্লা, গিয়াস মোল্লা, ইব্রাহিম মোল্লা এবং তার বংশের লোকজন বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের এমপি শ্রি বিরেন শিকদারের ছত্র ছায়ায় সহিংশুলিপিত ভাবে তাদের ভিটা বা বাড়িতে অধিকার নেওয়ার চেষ্টা করেছে। এই সময়ে গ্রামের সংখ্যার প্রায় অর্ধেক অংশে জীবনযাত্রা অসম্পূর্ণ ও যত্নহীন অবস্থায় থাকছে। অল্প সময়ের মধ্যেই এই গ্রামের বৃদ্ধিশীল অবস্থা মহাজনগণের দ্বিধা করছে।
এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী রাজনৈতিক দলগুলির অবস্থা বেশ করুণময়। পরিস্থিতি দেখে তাদের একটি মানবিক পক্ষ দেখা যায় না। তাদের সামাজিক দায়িত্ব ও নৈতিক বাধ্যতা সম্পর্কে আশ্বাস দেওয়া আশা করা হচ্ছে।
মাগুরার গল্প আমাদের জানাচ্ছে কতটা ভীষণ হতে পারে রাজনৈতিক আক্রমণ। আমরা আবারও চিন্তা করতে বাধ্য হয়েছি, কিভাবে রাজনৈতিক সমস্যা পরিস্থিতিতে মানুষের জীবনে আঘাত পৌঁছায়। সমস্যার সমাধানে সামাজিক পরিস্থিতি বেশ গুরুত্বপূর্ণ বোধ করা জরুরি।
১ দিন ১৯ ঘন্টা ৪৪ মিনিট আগে
৩ দিন ১৯ ঘন্টা ২৪ মিনিট আগে
৭ দিন ২ ঘন্টা ৫৩ মিনিট আগে
৮ দিন ৮ ঘন্টা ৩৯ মিনিট আগে
১৮ দিন ১২ ঘন্টা ৩৮ মিনিট আগে
১৯ দিন ১৪ ঘন্টা ২৭ মিনিট আগে
২৪ দিন ১৮ ঘন্টা ৩০ মিনিট আগে
২৫ দিন ১৪ ঘন্টা ২৭ মিনিট আগে