বাংলাদেশ-ভারতে একই সময়ে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা, খুশি হলেও হতাশ জেলেরা আওয়ামী লীগ যে গণহত্যা চালিয়েছে তার বিচার বাংলার মাটিতেই হবে- আল্লামা মামুনুল হক কুবিতে চুরির ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার খুবির একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম অটোমেশনের লক্ষ্যে মত বিনিময় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত ইতালি থেকে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের প্রতিবাদে গোয়ালন্দে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন। গোয়ালন্দে পদ্মা নদী থেকে মস্তকবিহীন মরদেহ উদ্ধার কোম্পানীগঞ্জে মিথ্যা মামলার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন ইউপি চেয়ারম্যানের পদ ফিরে পেলেন সুজাউদ্দৌলা লিপ্টন কুতুবদিয়ায় বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিতে সাগরে নেমে গান গেয়ে ব্যতিক্রমী আন্দোলন হরিণাকুণ্ডুতে গণঅধিকার পরিষদের গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত মধুপুরে ট্রাক ও সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১ রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করছে বিউবো নতুন সম্ভাবনার পথে মাভাবিপ্রবি ক্যারিয়ার ক্লাবের ‘দ্য গ্র্যান্ড প্যাসেজ-২০২৫ শেরে বাংলা ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী আজ গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা চলছেই, আরও ৫৬ ফিলিস্তিনি নিহত ক্ষেতলালে নিখোঁজের নয়দিন পর স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার পবিপ্রবিতে বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস-২৫ উদযাপন

বাজারে ক্রেতাদের মাছ কুটে সংসার চালায় লাখাইর কামরুল।

বাজারে ক্রেতাদের মাছ কুটে সংসার চালায়  লাখাইর কামরুল। 

লাখাইয়ে বাজারে ক্রেতাদের মাছ কেটে কুটে পরিষ্কার করে বিনিময়ে যে আয় হয় তা দিয়ে সংসার চালায় উপজেলার জিরুন্ডা মানপুর গ্রামের মৃত হুকুম আলীর পুত্র কামরুল হাসান। 

দীর্ঘ ৩৫ বছর যাবত কামরুল হাসান এ মাছ কাটার পেশার সাথে জড়িত। 

শুক্রবার (৩১ মে) উপজেলার বামৈ চকবাজারে দেখা হয় মাছ কাটার পেশায় জড়িত কামরুল হাসান এর সাথে। 

এ দিন সকালে বামৈ চকবাজারে বিভিন্ন ধরনের ক্রেতার মাছ কাটা অবস্থায় এ প্রতিনিধির সাথে আলাপকালে  চল্লিশোর্ধ কামরুল হাসান জানানআমি দীর্ঘ ৩৫ বছর যাবত এ পেশায় জড়িত। 

ছোট বেলায় বাবার সাথে ঢাকা শহরে যাওয়ার পর কিছু সেখানে একটি মাদ্রাসায় ভর্তি হই।কিন্তু লেখা পড়া তেমন বেশি করতে না পারিনি।

তাই ঢাকাতেই আয়রোজগার করতে চেষ্টা চালিয়ে অবশেষে  বাজারে মাছ কাটার কাজে জড়িয়ে পড়ি।আয়রোজগার ভালো হওয়ায় আর কোন দিকে যাইনি। 

ঢাকায় থাকাকালীন ঢাকার চকবাজারে মাছ কেটে প্রতিদিন ১ হাজার  থেকে ১২শত টাকা আয় হতো।এভাবেই ঢাকায় প্রায় ৩০ বছর যাবত এ পেশায় জড়িত ছিলাম। 

বিগত ২০১৯ সালে করোনার প্রাদূর্ভাব দেখা দেওয়ায় গ্রামের বাড়ীতে চলে আসি।

গ্রামে এসে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার এ মাছ কাটার কাজ করতে থাকি।কিন্তু তেমন সুবিধা না হওয়ায় অবশেষে বামৈ চকবাজারে আসি।এ বাজারে মোটামুটি চলার মতো আয় রোজগার হওয়ায় অদ্যাবধি এ বাজারে প্রতি দিন কাজ করছি। এখানে মাছ কুটে প্রতিদিন ৬-৭ টাকা আয় হয়ে থাকে। 

এ আয় দিয়ে  আমার ৭ সদস্যের পরিবারের ভরনপোষণ কোন রকমে চলে যাচ্ছে। 

পরিবারে আমার বৃদ্ধা মা,স্ত্রী, ১ ছেলে ও ৩ মেয়ে রয়েছে।  আমার ছেলেমেয়েরা স্থানীয় মাদ্রাসায় লেখা পড়া করছে। 

আমার বসতবাড়ি ও সামান্য কিছু জমিজমা রয়েছে। এ জমি চাষাবাদ করে ও বাজারে মাছ কাটার কাজে যা পাই তা দিয়ে কোন রকমে সংসারটা টেনে নিয়ে যাচ্ছি। 

আমার বৃদ্ধা মায়ের বয়স ৬০ বছর হলেও কোন সরকারি সহযোগিতা পানি। 

আমার সীমিত আয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচছে তদুপরি দিন দিন দ্রব্য মূল্যের বৃদ্ধির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে খুবই কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে। 

ঢাকায় কাজ করলে আয় বেশি হলেও আর যেতে মন চায় না।ছেলেমেয়েদের লেখা পড়ার জন্য গ্রামেই থাকছি।

Tag
আরও খবর