জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় পারিবারিক বিরোধের জের ধরে সহোদর ভাই, ভাতিজা এবং ভাবীর হামলায় মশিউর রহমান টুটুল নামে এক সাংবাদিক সস্ত্রীক গুরুতর আহত হয়ে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
রবিবার (৩০ জুন) দুপুরে উপজেলার চরপুটিমারী ইউনিয়নের বেনুয়ারচর বেপারীপাড়া গ্রামস্থ সাংবাদিক টুটুলের বসতবাড়িতে হামলার ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগী সাংবাদিক টুটুল ওই গ্রামের মৃত মোবারক আলী সরকারের ছেলে এবং প্রতিদিনের চিত্র পত্রিকার জামালপুর প্রতিনিধি পদে কর্মরত।
এনিয়ে সাংবাদিক টুটুল বাদী হয়ে তিনজনকে বিবাদী করে ইসলামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
বিবাদীরা হলো, সাংবাদিক টুটুলের বড় ভাই মুরাদুজ্জামান ওরফে মুরাদ (৫০), ভাতিজা মোনায়েম হোসেন ওরফে রাব্বি (২২) এবং ভাবী রেখা বেগম (৪৮)।
থানায় দাখিলকৃত অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, বিবাদীগণ এবং সাংবাদিক টুটুল পাশাপাশি বাড়িতে বসবাস করেন। বিবাদীদের সঙ্গে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াদী নিয়ে সাংবাদিক টুটুলের বিরোধ চলে আসছে।বিবাদীগণ বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিক টুটুলের ক্ষয়ক্ষতিসহ তাঁকে মাইরপিট করার হুমকি দিয়ে আসছিলো। এমতাবস্থায় ঘটনার দিন বিবাদীগণ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দা, লোহার রড ও লাঠিশোঠাসহ পরিকল্পিতভাবে বসবাড়িতে ঢুকে সাংবাদিক টুটুলকে আক্রমণ করে। এসময় প্রধান বিবাদী মুরাদের হুকুমে মোনায়েম হোসেন তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে আঘাত করলে গুরুতর রক্তাক্ত ফাটা জখম হন টুটুল। মুরাদ লাঠি দিয়ে এলোপাথারীভাবে পিটিয়ে টুটুলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলাফুলা জখম করে। টুটুলের স্ত্রী রহিমা বেগম এগিয়ে আসলে তাঁকেও লোহার রড দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে আঘাত করা হয়। এতে তিনি গুরুতর জখমী হন। স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার প্রথমে ইসলামপুর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাহালে রেফার্ড করেন।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক মশিউর রহমান টুটুল বলেন, 'বিবাদী মুরাদ একজন পেশাদার জুয়াড়ি। মূলত জুয়া খেলার প্রতিবাদ করতেই আমি হামলার শিকার। বিবাদীগণ হুমকি দিয়েছে, ভবিষ্যতে আমিসহ আমার পরিবারের যেকোনো সদস্যকে সুযোগ মতো পেলে খুন করে লাশ গুম করবে। আমি জীবনের নিরাপত্তায় ভোগছি।'
সাংবাদিক টুটুলের বড় ভাই অভিযুক্ত মুরাদুজ্জামান মুরাদ বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়। সাংবাদিক টুটুল আমার ছোট ভাই। তাঁকে মারধর করিনি। তবে একটু শাসন করেছি।'
ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন তালুকদার বলেন, 'খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ছিলাম। অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অপরাধী যেই হোক না কেনো, কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। অপরাধীকে আইনের আওতায় আসতেই হবে। শাস্তি ভোগ করতেই হবে।'
১১ ঘন্টা ৩২ মিনিট আগে
১১ ঘন্টা ৪০ মিনিট আগে
১১ ঘন্টা ৪৯ মিনিট আগে
১২ ঘন্টা ৬ মিনিট আগে
১২ ঘন্টা ৩৩ মিনিট আগে
১২ ঘন্টা ৪৩ মিনিট আগে
১৩ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে
১৩ ঘন্টা ২৩ মিনিট আগে