নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বিআরটিসি বাসের চালক হেলপার সহ লিজ পার্টি জিল্লুর রহমানের ম্যানেজার মাসুদ কাউন্টার ম্যান ও লাঠিয়াল বাহিনীর হাত থেকে স্বস্তি চায় সাধারণ যাত্রীরা।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রূপগঞ্জের একমাত্র গণপরিবহন বিআরটিসি। ভুলতা থেকে কুড়িল পর্যন্ত নিয়মিত যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে এই গণপরিবহনটি বিভিন্ন অভিযোগ মাথায় নিয়ে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে যাত্রা শুরু করে। এতে সাধারণ যাত্রীদের চলাচলের সুবিধা হবে এবং অল্প টাকায় সকলে ঢাকা সহ আশেপাশের এলাকায় যাতায়াত করতে পারবে। কিন্তু সে আসার গুড়ে বালি। যেখানে কুড়িল থেকে গাউছিয়া বাস ভাড়া হওয়ার কথা ৩০ থেকে ৪০ টাকা সেখানে বিআরটিসি বাসের ভাড়া গুনতে হয় ৬০ টাকা করে। অথচ এই একই ভাড়ায় সিএনজিতে চলতে পারে সাধারণ যাত্রীরা। কিন্তু এখানেও বাধা দেয় বিআরটিসির লাঠিয়াল গুন্ডাবাহিনী। কুড়িল থেকে কোন সিএনজি ড্রাইভার যদি যাত্রী উঠানামা করে তাহলে তাদের ধরে সেখানে বেধড়ক মারধর করার ঘটনা ঘটে প্রায়ই। ইদানিং আর লাঠিয়াল গুন্ডা নয়, জিল্লুর রহমান খোদ পুলিশ পাহারা রেখেছে বিআরটিসি কুড়িল কাউন্টারে। গত চার মেয়ে শনিবার কুড়িল রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করে সিএনজি চালক ও যাত্রীরা তাদের অভিযোগ কুড়িল গেলেই বিআরটিসি লাঠিয়াল গুন্ডাবাহিনী তাদেরকে লাঠি দিয়ে তাদের গাড়ির গ্লাস ভেঙ্গে দেয় এবং সুযোগ পেলে তাদের মেরে রক্তাক্ত করে দেয় এজন্য তারা কাঞ্চন-কুড়িল ৩০০ ফিট রোড অবরোধ করে ৪ ঘন্টা বন্ধ করে রাখে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন ও রুপগঞ্জ থানার ওসি দীপকচন্দ্র সাহার অনুরোধে তারা রাস্তা থেকে সরে যায়। রূপগঞ্জ থানার ওসিম দীপক চন্দ্র সাহা আশ্বস্ত করেন যে এরপর কারো গায়ে একটি আঘাত আসলে তাদের বিরুদ্ধে আইননব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিএনজি চালকদের এখন লাঠিয়াল দিয়ে নয় খোদ পুলিশ দিয়ে শুরু হয়েছে হয়রানী। কাউন্টারের আশেপাশে সিএনজি দাড়ালেই পুলিশ দিয়ে গাড়ি আটকে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। এজন্য বিআরটিসি বাসের প্রতি যাত্রীদে অনিহা ও দিন দিন যাত্রী সংকট তৈরীসহ বিভিন্নভাবে সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
সম্প্রতি বিআরটিসি লিজ পার্টি জিল্লুর সন্ত্রাসী বাহিনী ও কর্মচারী কর্তৃক গ্রীন ইউনিভার্সিটির ছাত্ররা লাঞ্চিত হয়, ঘটনার সূত্র ধরে গাউছিয়া-কুড়িল হাইওয়ে ব্যস্ততম রাস্থা অবরোধ করে ছাত্ররা। এ দিন ভুলতা- গাউছিয়া থেকে ঢাকা শহর পর্যন্ত যানজটের শিকার হয় সাধারণ যাত্রীরা। ছাত্রদের অভিযোগ তাদের হাফ ভাড়া ও সাধারণ যাত্রীসহ ছাত্র হয়রানি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। অবশেষে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় বিআরটিসি চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করে তা সমাধান করা হয়।
অভিযোগ আছে, ভুলতা গাউছিয়া এবং কুড়িল বিশ্বরোডের দুটি কাউন্টার থেকে সিট ভর্তি যাত্রী নেয় এবং পুরা গাড়ি যাত্রী দাঁড়িয়ে থাকে তারপর গাড়ি ছাড়ে, টিকিট কাউন্টারে মাইক দিয়ে বলা হয় যে পরবর্তী বাস আসতে ১ ঘন্টা বা তারও বেশি দেরী হবে।
অভিযোগের ব্যাপারে মুঠোফোনে কথা হয় বিআরটিসির প্রধান কার্যালয়ের ডিজিএম অপারেশন শুকদেব ঢালীর সাথে, তিনি বিআরটিসির পিআরওর নাম্বার দিয়ে বলেন, আমরা বিষয়টি আমলে নিচ্ছি এবং এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব।
এ ব্যাপারে লিজ পার্টি জিল্লুর রহমানের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করে নাই।
১ ঘন্টা ৩৫ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ৩৬ মিনিট আগে
১১ ঘন্টা ১ মিনিট আগে
১৩ ঘন্টা ১০ মিনিট আগে
১৩ ঘন্টা ১৮ মিনিট আগে
১৩ ঘন্টা ২৭ মিনিট আগে
১৩ ঘন্টা ৪৪ মিনিট আগে
১৪ ঘন্টা ৫৯ মিনিট আগে