: আশাশুনি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কালিপদ রায় (৭৪) চলে গেলেন না ফেরার দেশে। তিনি আশাশুনি সদরের দক্ষিণ পাড়ায় বর্তমানে স্থায়ীভাবে বসবাস করলেও পার্শ্ববর্তী গাইয়াখালি গ্রামের মৃত. নীলরতন রায়ের জৈষ্ঠ পুত্র। তিনি দীর্ঘদিন মেরুদন্ডের পিড়া সহ জটিল রোগে ভূগছিলেন। সর্বশেষ ঢাকা বিআরবি হাসপাতালে নিউরো সার্জারি ডাঃ সুমন রানার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলাকালিন শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় তার মেরুদন্ডের অতিরিক্ত হাড় বৃদ্ধির জন্য অপারেশান রুমে প্রবেশ করান হয়। সফর অপারেশান শেষে রক্তের চাপ ও প্রেসার অতিরিক্ত উঠা নামা করার এক পর্যায়ে শনিবার শেষ রাত্র সাড়ে ৩ টার দিকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। রোববার বিকাল সাড়ে ৩ টায় তার মৃতদেহ আশাশুনি নিজ বাড়ীতে পৌছানোর পর গোধুলি বেলা ৬ টার দিকে বাড়ীর পার্শ্ববর্তী দক্ষিন পাড়া মহাশ্মশ্বানে অন্তেষ্টিক্রিয়া শুরু করা হয়। মৃতকালে স্ত্রী, এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রেখে গেছেন।
প্রসঙ্গত. সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক কালিপদ রায় ৩৩ বছর মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন। তিনি আশাশুনি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান বিভাগে সহকারি শিক্ষক ছিলেন। গত ২০১২ সালে স্কুলের শিক্ষকতা থেকে অবসর গ্রহন করেন। তিনি দীর্ঘদিন আশাশুনি উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের কোষাধ্যক্ষ ও সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কালিপদ রায়ের মৃত্যর খবরে তাকে একপলক দেখার জন্য তার বাড়ীতে হাজির হন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের গাইনি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মৃত্যের ভাইরা ডাঃ শংকর প্রসাদ বিশ্বাস, আশাশুনি সরকারি হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাজহারুল ইসলাম মুকুল সহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল হান্নান, আশাশুনি উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মাষ্টার নীলকন্ঠ সোম, সম্পাদক রনজিৎ কুমার বৈদ্য, আশাশুনি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এস, এম আহসান হাবিব, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, মৃত্যের বন্ধুরা, আত্মীয় স্বজন, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ বহু ছাত্র/ছাত্রী ও এলাকাবাসি। শিক্ষক কালিপদ রায়ের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক সন্তোপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন আশাশুনি সরকারি হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাজহারুল ইসলাম মুকুল সহ সকল শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দ, উপজেলা পুজা উদযাপন ও হিন্দু বৌদ্ধ্য খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি/সম্পাদক ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। #