দেশের ১১ জেলায় বন্যায় এখন পর্যন্ত ৩১ জন প্রাণ হারিয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ৫৮ লাখ মানুষ। পানিবন্দি পরিবারের সংখ্যা অন্তত ১২ লাখ ২৭ হাজার।
ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে ৪ হাজার আশ্রয়কেন্দ্রে ৫ লাখ ৪০ হাজার ৫০০ জন আশ্রয় নিয়েছেন বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় ৪০ হাজার গবাদিপশুকেও আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
কয়েক জেলা বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা কমলেও নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ফেনী এই জেলার তেমনটা কমেনি। ফেনীর বিভিন্ন এলাকার পানি ধীরে ধীরে কমছে। বন্যায় কুমিল্লায় মৎস্যখাতে প্রায় ৪০৪ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। যা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।
ফেনীতে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পানির নিচ থেকে ভেসে উঠছে হলুদ, আদা, আউশ, আমন ও শরৎকালীন বিভিন্ন সবজি ক্ষেত। দেড় মাসের ব্যবধানে তৃতীয় দফায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় জেলার ছয়টি উপজেলায় শুধুমাত্র কৃষিতেই ক্ষতি হয়েছে ৪৫১ কোটি ২০ লাখ টাকার বেশি। এতে প্রায় দুই লক্ষাধিক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
নোয়াখালীর আট উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি প্রতিদিনই অবনতির দিকে যাচ্ছে। কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ, বেগমগঞ্জ, সেনবাগ, সোনাইমুড়ী ও চাটখিল উপজেলার প্রতিটি এলাকায় পানি বাড়ছে। সুবর্ণচর উপজেলার বিভিন্ন স্থানেও কিছুটা পানি বেড়েছে। আমন, আউশ ধান ও শরৎকালীন শাক-সবজির পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে প্রাণিসম্পদে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত বন্যার পানিতে মারা গেছে প্রায় ১ লাখ ৮৭ হাজার ৩১৪টি গৃহপালিত পশু। যার মধ্যে রয়েছে ২৮টি গরু, ১ মহিষ, ১২ ছাগল, ৩ ভেড়া, ১ লাখ ৮৬ হাজার ৭৭০ মুরগি ও ৫০০টি হাঁস। পানিতে ভেসে গেছে ৪৮ হেক্টর গো-চারণভূমি, ১৫৪ টন দানাদার খাদ্য, ৩৪৬ টন খড় ও ৩৬৬ টন কাঁচা ঘাস। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১ কোটি ৪৩ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চর আবাবিল ও উত্তর চর আবাবিল ইউনিয়নে বন্যার হাঁটু পরিমাণ পানিতে প্রায় শতাধিক পানের বরজ নষ্ট হয়ে গেছে। উপজেলার মেঘনা নদীর তীরের ক্যাম্পের হাট ও হায়দরগঞ্জ নামক দুই গ্রামের দুশোটি পানের বরজ সহস্রাধিক মানুষের জীবিকার মাধ্যম। এবারের বন্যায় প্রায় সব বরজই নষ্ট হয়ে গেছে। আয়ের একমাত্র অবলম্বন হারিয়ে দিশাহারা সেখানকার পানচাষিরা। সব মিলিয়ে রায়পুর উপজেলায় প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন পানচাষিরা।
বন্যার্ত জনগণের সহায়তায় উদ্ধার, চিকিৎসাসেবা এবং ত্রাণ বিতরণের লক্ষ্যে সশস্ত্র বাহিনীর ২৩টি ক্যাম্প মোতায়েন রয়েছে। ১৬ হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উদ্ধার-ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে সেনাবাহিনী। বুধবার (২৮ আগস্ট) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিদিন ৪০০০ জনের খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীরা। অনেকে মিলে সেই ত্রাণ তুলে দিচ্ছেন ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ বন্যা উপদ্রুত এলাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া গাড়িতে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যাপ্ত ত্রাণ বন্যা দুর্গত এলাকায়।
৭ ঘন্টা ৭ মিনিট আগে
১ দিন ১৬ মিনিট আগে
১ দিন ৩ ঘন্টা ১৬ মিনিট আগে
১ দিন ৪ ঘন্টা ৩১ মিনিট আগে
১ দিন ৮ ঘন্টা ১৬ মিনিট আগে
১ দিন ১১ ঘন্টা ৩৬ মিনিট আগে
১ দিন ১২ ঘন্টা ৯ মিনিট আগে
১ দিন ২২ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে