ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে সৌদির প্রতিবাদ ঝিনাইদহে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জেলা বিএনপির র‍্যালি মাগুরার রিপোটার্স ইউনিটির শ্রীপুর উপজেলা শাখার আয়োজনে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরায় জেলা প্রশাসনের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উৎযাপন কোম্পানীগঞ্জ বসুরহাটে ইনফিনিক্স শোরুমের শুভ উদ্বোধন এ বছরের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে : শরীফ উদ্দিন কোম্পানীগঞ্জে গরীব ও অসহায়দের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করলেন সমাজসেবক আবদুর রহীম মুকসুদপুরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন গোদাগাড়ীতে বিএনপি নানান আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন বগুড়া শেরপুর স্বাধীনতা দিবসে জিয়াউর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন। পবিত্র শবে কদর আগামীকাল কাল বিএফএ সম্মেলনে বক্তব্য দেবেন প্রধান উপদেষ্টা কোম্পানীগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নবগঠিত কমিটির ঘোষণা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর ওপর নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ মার্কিন সংস্থার বাংলাদেশের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী পাকিস্তান ডোমারে বিএনপির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মহান স্বাধীনতা দিবসে বীর শহীদদের প্রতি নন্দীগ্রাম বিএনপি'র শ্রদ্ধা নিবেদন নন্দীগ্রামে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন গণঅভ্যুত্থানে শহীদ সোহেলের পরিবারে সাবেক এমপি মোশারফ হোসেনের উপহার আক্কেলপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর ইফতার মাহফিল

প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার সব অস্ত্র লুট হয়েছে: এসএসএফ

স্টাফ রিপোর্টার - প্রতিনিধি

প্রকাশের সময়: 03-09-2024 06:38:57 am

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিনই গণভবন, সংসদ ভবনসহ চারটি স্থাপনায় তার ও তার পরিবারের নিরাপত্তায় থাকা বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর (এসএসএফ) সব অস্ত্র-সরঞ্জাম লুট হয়ে যায়। এসএসএফের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য। 


এসএসএফ জানায়, লুট হয় মোট ৩২টি অস্ত্র। লুট হওয়া অস্ত্র, গোলাবারুদ ও গ্রেনেডের দাম প্রায় ২৩ লাখ টাকা। তবে সব মিলিয়ে সেদিন গণভবন ও সংসদ থেকে এসএসএফের লুট হওয়া এবং নষ্ট করা সম্পদের মূল্য ছিল পাঁচ কোটি টাকা। 


এতে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দেশত্যাগের দিন গণভবনের প্রাচীর ও প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে ঢোকেন অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতা। তখন প্রাণরক্ষার জন্য ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে মাত্র ‘পাঁচ মিনিট’ সময় পেয়েছিলেন এসএসএফের সদস্যরা। ফলে কোনো অস্ত্র ও গুলি নিয়ে বের হতে পারেননি তারা। নিরাপত্তার জন্য সেগুলো ওই সব স্থাপনার ভল্টে রাখলেও ১০০ কেজি ওজনের তিনটি ভল্ট লুট করে দুর্বৃত্তরা।


প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫ আগস্ট জনতা সংসদ ভবনেও ঢুকে পড়ে। গণভবনের এসএসএফের অপারেশন কক্ষে বিভিন্ন ধরনের ট্যাকটিক্যাল গিয়ার বা অস্ত্র, গোলাবারুদ, সাজসরঞ্জাম, বেতার যোগাযোগ ও অপারেশনাল সরঞ্জামাদি স্থায়ীভাবে স্থাপন করা দুটি ভল্টে মজুত ছিল। একটি ভল্টে দুটি এসএমজি টি-৫৬ অস্ত্র আর অপর ভল্টে তাজা গোলাবারুদ ছিল। কিন্তু হাতে সময় না থাকায় এসব ফেলে শুধু নিজেদের সঙ্গে থাকা ছোট আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বিভিন্নভাবে গণভবন থেকে সংসদ ভবনে গিয়ে প্রাণরক্ষার চেষ্টা করেন তারা। গণ-অভ্যুত্থানকারী জনতা যখন সংসদ ভবনেও ঢুকে পড়ে, তখন এসএসএফ সদস্যরা দ্রুত নিজেদের অস্ত্র ও পোশাক খুলে সংসদ ভবনের ভল্টে অস্ত্র রেখে সাধারণ পোশাকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মিশে প্রাণরক্ষা করেন। পরবর্তী সময়ে গণভবন ও সংসদ ভবনে থাকা ভল্টগুলো আর পাওয়া যায়নি, যা আন্দোলনকারী বেশে দুষ্কৃতকারীরা নিয়ে গেছে বলে মনে করছে এসএসএফ।


এসএসএফের ক্ষয়ক্ষতির আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ১১টি জিপ ও কার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসবের ক্ষতি প্রায় ১৪ লাখ টাকা। এ ছাড়া অপারেশনাল সরঞ্জাম যেমন অত্যাধুনিক অ্যাসল্ট রাইফেল, স্নাইপার রাইফেল, ফ্ল্যাশ ব্যাং গ্রেনেড, অ্যান্টি ড্রোন গান, অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম, বেতার যোগাযোগের ডিভাইস। এসব সরঞ্জামাদি বাবদ ক্ষতি প্রায় ২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। আইটি ও গোয়েন্দা সরঞ্জামাদি বাবদ ক্ষতি প্রায় ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, এ ছাড়া লুট হয় তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় যাবতীয় ব্যবহৃত জিনিস; যার আনুমানিক মূল্য ৭৪ লাখ টাকা। ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক হিসাব করে সংস্থাটি বলেছে, ৫ আগস্টের ঘটনায় এসএসএফের বিভিন্ন অস্ত্র ও দ্রব্য লুট ও ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ ৫ কোটি ২৮ লাখ টাকা।

আরও খবর