ইরানিরা আত্মসমর্পণ করে না: খামেনি ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৬৫৫৮ শান্তিগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে বিএনপি নেতা এম এ সাত্তারের মতবিনিময় সভা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ বন্ধ সোহরাওয়ার্দী কলেজে গণিতে শিক্ষক সংকট : পাঠদানে ধস, হতাশ শিক্ষার্থীরা চবি এলামনাই পুনর্মিলনীর প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত লাখাইয়ের মিনি কক্সবাজার নামে পরিচিত চিকনপুর ব্রিজে বর্ষার আগমনে বাড়ছে পর্যটকদের ভিড়। নির্বাচনে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত : ডিএমপি কমিশনার শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে লটারির মাধ্যমে ঠিকাদার নির্বাচিত এনসিসি গঠনে এনসিপিসহ কয়েকটি দলের সঙ্গে বিএনপির মতবিরোধ সুনামগঞ্জ গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল সালেহ আল হেলাল কুবির তরুণ কলাম লেখক ফোরামের অর্ধযুগ পূর্তি শ্রীপুরে মহাসড়কে অবৈধ অটোরিকশার দৌরাত্ম্য, বাড়ছে জনদুর্ভোগ ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি। জয়পুরহাটে সামাজিক ও রাজনৈতিক সহনশীলতা বিষয়ক এ্যাডভোকেসি সভা পীরগাছায় বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণের উদ্বোধন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় মোংলা বন্দরে সার ও চাল খালাস বন্ধ পরিবেশ রক্ষায় ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রশাসনের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বেগমগঞ্জে বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক চাষীদের মাঝে মৎস্য খাদ্য বিতরণ ফরিদপুর শহর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সজীব আহমেদ গ্রেপ্তার নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাস্কর্য ভাঙা নিয়ে তীব্র বিতর্ক!

বিলুপ্তির পথে ডওয়া ফল

মো. ফরমান উল্লাহ - প্রতিনিধি

প্রকাশের সময়: 11-11-2024 04:11:55 pm

বিলুপ্তির পথে ডেওয়া ফল



মোঃ ফরমান উল্লাহবিশেষ প্রতিনিধি 


বিলুপ্তির পথে ডেওয়া ফল।আমরা ছোট বেলায় খুব ভোরে ঘুম থেকে জেগে ডেওয়া কুঁড়াতে যেতাম। এখন আগের মত ডেওয়া গাছও নেই।


বর্তমান যুগে ছেলে মেয়েরা সুসাধু এ ফলটির নাম ও জানে না।


অরুচি ও পেটের বায়ুনাশে ডেউয়া এক অমৃত ফল। পাকলে ডেউয়া মধুর অমস্নরসযুক্ত হয়। কাঁচা ডেউয়া টক, ক্ষুধা দূর করে। পাকা ফল ক্ষুধাবর্ধক হয়। আবার পাকা ডেউয়া পিত্ত ও যকৃতের উপকারী। ডেউয়া বেশি খেলে ক্লীবতা আনে।


 বাংলা নাম ডেলো মাদার, ডেফল, ডেঁওফল, ডেহুয়া, ডেওয়া চাম, বার্তা, দালো ও ডেউয়া। শাখা-প্রশাখাবিশিষ্ট বড় গাছ। পাতা : বড়, গোল, ৬-১২ ইঞ্চি লম্বা ও ৪-৭ ইঞ্চি চওড়া, খসখসে। বৃন্ত : লম্বা। ফুল : দুই রকম_ স্ত্রী ও পুরুষ। ফল : কাঁচা অবস্থায় লালচে, পাকা অবস্থায় পীত রঙ।


পঞ্চবটী বনে থাকে অশ্বত্থ, বট, বেল, অশোক ও আমলকী গাছ। প্রতিটি গাছ উপকারী, গুণেরও শেষ নেই। কিন্তু ওই শাল, পিয়াল, তমাল, কাঁঠাল, আম, চন্দন, চাঁপা, খদির, পলাশ প্রভৃতি গাছের মাঝে ডেউয়া না থাকলে বনের পূর্ণতা পায় না। সমাজে ধোপা, নাপিত, মেথর না থাকলে চলে না, পৃথিবীও অচল হয়ে যাবে। বোটানিক্যাল গার্ডেনে এ জন্য হিজলের পাশে ডুমুর আর ডেউয়ার স্থান থাকা চাই। আম, কাঁঠাল, তাল, জাম, আমলকীর পাশে এ জন্য ডেউয়া বা গাবের স্থান হয়।


ডেউয়ার ভদ্র নাম হলো ডেলো মাদার। পাড়াগাঁয়ে একে বলে ডেউয়া, পাকলে ডেউয়া মধুর অমস্নরসযুক্ত হয়। ডেউয়া শাখা-প্রশাখাবিশিষ্ট বড় গাছ। বড় বড় পাতা। গোল-গোল, ৬-১২ ইঞ্চি লম্বা ও ৪-৭ ইঞ্চি চওড়া হয়। পাতা খসখসে, দেখতে অনেকটা কাকডুমুরের পাতার মতো। কাকডুমুরের পাতা থেকে ডেউয়ার পাতা বড়। পাতার বৃন্ত লম্বা, আধ ইঞ্চি থেকে এক ইঞ্চি লম্বা। ফুল দুই রকম। স্ত্রী ও পুরুষ আলাদা আলাদা।

স্ত্রীফুল আকারে বড়, বোঁটা ছোট ও মসৃণ। কিন্তু ফুলের পাপড়ি নেই, ছোট গুটির আকারে হয়। মঞ্জরিদ-ের ওপর ফুল সাজানো থাকে। স্ত্রী-জাতীয় ফুল থেকেই ফল হয়। ফলের বাইরের আবরণ অসমান এবড়ো-খেবড়ো। ফল কাঁচা অবস্থায় লালচে, পাকলে বাইরের রঙ পীত, কিন্তু ভিতরের শাঁস লাল হয়। কাঁঠালের কোয়ার মতো এবং তার মাঝে বীজও থাকে।


সাধারণত ফাল্গুন মাসে ফুল হয়, আষাঢ়ে পাকতে শুরু করে। পাকলে ডেউয়া মধুর অমস্নরসযুক্ত হয়। কাঁচা ডেউয়া টক, ক্ষুধা দূর করে। পাকা ফল ক্ষুধাবর্ধক হয়। আবার পাকা ডেউয়া পিত্ত ও যকৃতের উপকারী। আবার বেশি খেলে ক্লীবতা আনে। অরুচি ও পেটের বায়ুনাশে ডেউয়া এক অমৃত ফল। ব্রণের দূষিত ক্ষতের পুঁজ বের করে আনার জন্য ডেউয়ার ছালের পুলটিসের ব্যবহার হয়। কাঁচা ডেউয়ার রস এক-দেড় চা-চামচ এক কাপ ঠা-া পানিতে মিশিয়ে কয়েক দিন খেলে অস্বাভাবিক মেদ কমে। তবে মেদ কমাতে গেলে আলু, চিনি বা মিষ্টি খাওয়া না কমালে কিছুতে কিছু হবে না।

আমাদের সকলের উচিত অন্যান্য ফলের  মত ডেওয়া য়ফলের চারা রুপন করা।

(সংগৃহিত)

আরও খবর