জাহিদুল ইসলাম পলাশ। রাজশাহী নগরীর কাজলা এলাকার বাসিন্দা। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা যার জীবনের স্বাভাবিক গতিতে বাঁধা তৈরি করতে পারেনি বরং প্রতিবন্ধকতার চ্যালেঞ্জ তাকে
এগিয়ে নিয়ে গেছে স্বাভাবিক মানুষের তুলনায় কয়েকগুণ উপরে।
শারীরিক প্রতিবন্ধী হিসেবে মানুষের কাছে সাহায্যের জন্য হাত না বাড়ানোর সংকল্প থেকে ২০১৯ সালে করোনা মহামারী সময়ে ফুডপান্ডা রাইডার হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে শুরু হয় তার সংগ্রামী জীবনের নতুন পথ চলা।
বর্তমানে তিনি দৈনিক ৬ থেকে ৭ ঘন্টা নিজের তৈরি ছোট্ট ব্যাটারি চালিত গাড়ি চালিয়ে ফুডপান্ডা রাইডার হিসেবে কাস্টমারদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন খাবার। শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবে চলাচল করতে না পারলেও তিনি প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ তালা বিল্ডিং পর্যন্ত উপরে উঠে কাস্টমারদের কাছে খাবার পৌঁছে দেন। বর্তমানে তিনি তার উপার্জিত অর্থ দিয়ে বহন করছেন পরিবারসহ নিজের খরচ।
এছাড়াও তিনি এক সময় বাংলাদেশ হুইল চেয়ার স্পোর্টস ফাউন্ডেশন এর নিবন্ধিত খেলোয়ার ছিলেন। যেখানে তিনি দীর্ঘদিন দলের ক্যাপ্টেন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ হুইল চেয়ার স্পোর্টস ফাউন্ডেশন এর খেলোয়ার থাকা অবস্থায় ফুডপান্ডার সহযোগিতায় তিনি দেশের বাইরে দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছেন।
শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েও তাঁর নিজের জীবনের প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। সৃষ্টিকর্তা যেভাবে পাঠিয়েছেন সেই প্রতিবন্ধকতা কে জয় করে তিনি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চান।
শারীরিক প্রতিবন্ধী হিসেবে বেকার যুবকদের প্রতি তার আহ্বান পড়াশোনার পাশাপাশি নিজ উদ্যোগে কিছু করার। তার মতে, বেকারত্বের বোঝা বহন না করে বাবা-মার উপর নির্ভরশীল না থেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রত্যেকের উদ্যোক্তা হওয়া প্রয়োজন।
পলাশের ইচ্ছা ভবিষ্যতে নিজের উদ্যোগে ব্যবসা করা। এছাড়া ফুডপান্ডা একটি আন্তর্জাতিক কোম্পানি, তাই ভবিষ্যতে যদি ফুডপান্ডা রাইডার হিসেবে দেশের বাহিরে কাজ করার সুযোগ মেলে তাহলে তিনি দেশের বাহিরে গিয়ে ফুডপান্ডা রাইডার হিসেবে কাজ করতে চান।
৭ দিন ১৭ ঘন্টা ১২ মিনিট আগে
৮ দিন ৬ ঘন্টা ৮ মিনিট আগে
৮ দিন ৭ ঘন্টা ১ মিনিট আগে
৯ দিন ৩ ঘন্টা ২৫ মিনিট আগে
১৯ দিন ২৩ ঘন্টা ১২ মিনিট আগে
২০ দিন ২ ঘন্টা ১৭ মিনিট আগে
২৪ দিন ৫ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে
২৫ দিন ৩ ঘন্টা ৫৪ মিনিট আগে