সম্প্রতি রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরের এলাকাগুলোতে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে আবাসিক হোটেল করা হচ্ছে। এসব আবাসিক হোটেলের নাম দিয়ে গোপনে দেহব্যবসা পরিচালনা করা হয়। যারা আবাসিক হোটেল পরিচালনা করে তারা কোনো না কোনো প্রশাসনের লোক কিংবা রাজনৈতিক নেতাদের আশ্রয়- প্রশ্রয়েই এসব গড়ে তুলে। আবাসিক হোটেলের প্রচারের জন্য রাস্তা দিয়ে কার্ড ছড়ানো হয়। পথচারী সেজে অনেকসময় দালালরা ভীড়ের মধ্যে পকেটে রাখা কার্ডগুলো রাস্তায় ফেলে ছড়িয়ে দেয়। আবাসিক হোটেলের মালিকদের কাছ থেকে অনেক জায়গায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন ঘুষ গ্রহণ করে থাকে। যার ফলে স্বাচ্ছ্বন্দ্যে অশ্লীল কারবার পরিচালনা করতে পারে। শিশুরা রাস্তায় পড়ে থাকা কার্ড দেখে কিছু পড়লে তাদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। একটা শিশু যখন এসব কার্ডের লেখা সম্পর্কে জানতে চায়, সেটা বলাটা বড়দের জন্য খুবই লজ্জাকর। অনেক যুবক এসব কার্ড দেখে যোগাযোগ করে প্রতারণার শিকার হন। রাজধানী ঢাকাসহ বড়-বড় শহরগুলোতে গোপনে এসব আবাসিক হোটেল গড়ে উঠছে। এসব আবাসিক হোটেলের নামে তৈরী পতিতালয়গুলোর বিরুদ্ধে পুলিশ বা প্রশাসন তেমন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেনা।এসব আবাসিক হোটেলের কারণে মানুষের সামাজিক ও চারিত্রিক মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটছে। আবাসিক হোটেলের নাম দিয়ে এসব কর্মকান্ড বড় ধরনের সামাজিক সমস্যা হয়ে দাড়াচ্ছে।দ্রুত কঠোর আইন করে এসব আবাসিক হোটেল বন্ধ করা উচিত।
মোঃমাহিন ভূঁইয়া
শিক্ষার্থী,
সমাজবিজ্ঞান,ঢাকা কলেজ।