প্রায় এক বছর আগে দলীয় পদের দায়িত্ব অব্যাহতি দিয়েও আওয়ামী লীগ সরকারের 'স্বৈরাচার তকমা' থেকে মুক্তি পেলেন না কফিল উদ্দিন নামে একব্যক্তি।
বিপরীতে নাশকতার পরিকল্পনা ঘটনায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নামে থানায় দায়ের করা রাজনৈতিক মামলায় তাঁকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী কফিল উদ্দিন জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার চরপুটিমারী ইউনিয়নের চিনারটর দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত কুমর মণ্ডলের ছেলে। এ ছাড়া তিনি একসময় ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ইসলামপুর থানায় বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় কফিল উদ্দিনকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। এর আগে গতকাল বুধবার বিকেলে নিজ এলাকায় থেকে তাঁকে আটক করে পুলিশ।
ভুক্তভোগী কফিল উদ্দিন বলেন, 'আমি প্রায় এক বছর আগে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছি। মামলাউল্লেখিত ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। কিন্তু এরপরও পুলিশ আমাকে রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২৩ সালের ১ মার্চে দলীয় পদ থেকে চরপুটিমারী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর লিখিত আবেদন করেন কফিল উদ্দিন। ইউনিয়ন যুবলীগের 'সহসভাপতি' পদ থেকে অব্যাহতি বিষয়ভিত্তিক ওই আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, আমি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, চরপুটিমারী ইউনিয়ন শাখার 'সহসভাপতি' পদে নিষ্ঠার সঙ্গে দলীয় দায়িত্ব পালন করে আসছি। বর্তমানে আমার ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে উক্ত পদে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হচ্ছে না। বিধায় আমি উক্ত পদ থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি গ্রহণ করতে ইচ্ছুক।
কফিল উদ্দিন তাঁর আবেদনপত্রের শেষাংশে লিখেন, 'অতএব, বিনীত নিবেদন এই যে, উপরোক্ত বিষয় বিবেচনা পূর্বক আমার অব্যাহতিপত্র গ্রহণ সাপেক্ষে আমাকে সহসভাপতি পদ হতে অব্যাহতি দানে আপনার সু-মর্জি হয়।'
দলীয় পদ থেকে অব্যাহতির বিষয়টি অবগতির জন্য উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে
ওই আবেদনটির অনুলিপি দেন কফিল উদ্দিন।
আবেদনপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, চরপুটিমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সামছুজ্জামান সুরুজ মাষ্টার এবং চরপুটিমারী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোস্তাক আহমেদ এবং উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বাবু আবেদনপত্রটি বুঝে পেয়ে স্বাক্ষর করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বর্তমান অন্তর্বর্তী কালীন সরকার পতনের কর্মসূচী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গত ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলার গোয়ালেরচর ইউনিয়নের সভারচর এলাকায় বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, সোচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মী। এনিয়ে ওইদিন রাতে সভারচর কারীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও জেলা ছাত্রদলের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে ক্ষমতাচ্যুৎ সরকারের সাবেক ধর্মমন্ত্রী
ফরিদুল হক খান দুলালের ছোট ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ মোরশেদুর রহমান মাসুম খানসহ ১২৮ জনের নামোল্লেখে বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনে ইসলামপুর থানায় একটি মামলা করেন। এছাড়া ২২০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকেউ আসামি দেওয়া হয়। ওই মামলায় অজ্ঞাত আসামি হিসেবে কফিল উদ্দিনকে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।
ইসলামপুর থানার সেকেন্ড অফিসার ও উপপরিদর্শক (এসআই) শামছুজ্জামান বলেন, 'মামলায় উল্লেখিত ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় কফিল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।'
১১ ঘন্টা ৩১ মিনিট আগে
১২ ঘন্টা ৪৬ মিনিট আগে
১৬ ঘন্টা ৩১ মিনিট আগে
১৯ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে
২০ ঘন্টা ২৪ মিনিট আগে
২ দিন ১১ ঘন্টা ৫০ মিনিট আগে
২ দিন ২০ ঘন্টা ৬ মিনিট আগে