পুলিশের ১২৭ কর্মকর্তার সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক আজ কুতুবদিয়ায় বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন ঘাটাইলে গারোবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ৮ দোকান ভস্মীভূত ১ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি উখিয়ায় চাচীর সাথে পরকিয়া প্রেমের জেরে প্রাণ দিতে হলো যুবককে! কক্সবাজারে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা ঢাবির বিজয় একাত্তর হলে আইএইচসি পরিবারের ইফতার বাঘায় ভিজিএফের কার্ড ভাগাভাগি নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া কালিগঞ্জের কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন বিএনপি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত লালপুরে মাদকের আসর বন্ধ করায় সাংবাদিকের নামে থানায় অভিযোগ বগুডার শেরপুর বার্মিজ চাকুসহ যুবক গ্রেফতার শ্রীমঙ্গলে প্রশাসনের অভিযানে আড়াই কোটি টাকা মূল্যের খাস জমি উদ্ধার বগুড়ার শেরপুর উপজেলা ও পৌর যুবদলের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হৃদয়ে নান্দাইল এর উদ্যোগে ইফতার মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত বগুড়া আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদ ৩নং খামারকান্দী ইউনিয়ন নতুন কমিটি গঠন তারেক জিয়ার নির্দেশ মানুষের জন্য কাজ করতে হবে কমলগঞ্জে- মহসিন মিয়া মধু সাত কলেজকে স্বতন্ত্র কাঠামো করার লক্ষ্যে চূড়ান্ত হলো নতুন নাম। বড়লেখা সোনালী ব্যাংক ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ চিলমারীতে "তিন মাস থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ" থাকায়, ভোগান্তিতে সাধারণ জনগণ বড়লেখায় ওয়ার্ড জামায়াতের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল বড়লেখায় যুবকল্যান পরিষদের কর্মী শিক্ষা বৈঠক ও ইফতার মাহফিল সম্পন্ন

ঈদের বাজারে দর্জি বাড়ীর ব্যস্ততায় পার করছে কারিগররা, বছর শেষে কাজের ভীর

ঈদের বাজারে দর্জি বাড়ীর ব্যস্ততায় পার করছে কারিগররা, বছর শেষে কাজের ভীর

ঈদের বাজারে দর্জি বাড়ীর ব্যস্ততায় পার করছে কারিগররা, বছর শেষে কাজের ভীর


রাজবাড়ী জেলার পাঁচটি উপজেলার দর্জি দোকানগুলোতে এখন কর্মব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে পোশাক তৈরির চাপ বাড়ায় দিন-রাত সেলাই মেশিন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। বাজারে এখন সব সময় শোনা যায় সেলাই মেশিনের শব্দ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নতুন পোশাকের আনন্দ, নিম্ন আয়ের মানুষের ভরসা স্থানীয় বাজারের দর্জি দোকান। সাধারণত নিম্ন আয়ের মানুষরাই বেশি আসেন এসব দোকানে। কারণ বাজারে তৈরি পোশাকের দাম অনেক বেশি। জেলার পাংশা, গোয়ালন্দ, বালিয়াকান্দি, কালুখালী ও রাজবাড়ী সদর উপজেলার দর্জি দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন জেলার নিম্ন আয়ের মানুষ। বাজারের তৈরি পোশাকের চেয়ে তুলনামূলক কম খরচে নতুন জামা বানাতে তারা ছুটে আসছেন এসব দোকানে।
তবে একাধিক দর্জিরা জানান, বছরের দুইটি ঈদ ও পহেলা বৈশাখ এলেই কেবল তাদের দোকানে ভিড় বাড়ে। বছরের অন্য সময় কাজের অভাব থাকে। অনেকে সংসার চালাতে অন্য পেশায় যুক্ত হতে বাধ্য হন। অনেকে গ্রাম ছেড়ে চলে যাচ্ছেন রাজধানীতে। কারণ জেলার স্থানীয় বাজারে দর্জির কাজের নিশ্চয়তা নেই। সারা বছর তেমন কাজ থাকে না। যত টুকু থাকে এতে সংসার চালানো সম্ভব হয় না। সুতরাং বাধ্য হয়ে কর্মের নিশ্চয়তার কারণে প্রতিনিয়ত মানুষ ছুঁটছে রাজধানীতে।
রাজবাড়ী সদরের দর্জি আলাউদ্দিন বলেন, "ঈদের সময় ভালো আয় হয়, কিন্তু বাকি সময় তেমন কাজ থাকে না। অনেকে অটোরিকশা চালায়, কেউ কৃষিকাজ করে দিন পার করে।" তবে দুই ঈদ ও পহেলা বৈশাখে ভালো কাজ থাকে।
পাংশার আরেক দর্জি ফারুক বলেন, "আগে সারা বছর কাজ থাকত। এখন তৈরি পোশাকের কারণে অনেকে দোকানে আসে না। শুধু ঈদের সময় একটু ব্যস্ততা দেখা যায়।" তিনি বলেন, এখন ফুটপথেও অনেকে নতুন-পুরান পোশাক ক্রয় করছেন।
এসময় একাধিক ক্রেতা বলেন, আমরা কৃষি কাজ করি। আমাদের মাসিক আয়-রোজগার নেই। ফসল বিক্রি করে পরিবারের নতুন পোষাক কিনতে হয়। স্থানীয় দর্জি দোকানে অল্প টাকায় বিভিন্ন পোষাক বানানো যায়। তারা বলেন, দর্জির দোকানের পোষাক টেকসই হয়।
এসময় বয়স্ক নিজাম উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি বলেন, দর্জির দোকানের পোষাকের মান আলাদা। কারণ এই পোষাক অনেক দিন ব্যবহার করা যায়। অল্প টাকায় বানানো যায়। এক সঙ্গে টাকা লাগে না। বিভিন্ন কারণে নিম্ম আয়ের মানুষ ছুঁটে যায় দর্জি দোকানে। আর প্রভাবশালীরা প্রতি সপ্তাহে পোষাক পরিবর্তন করে। আমরা বছরে এক-দুই বার প্রয়োজনে পোষাক ক্রয় করি।
গোয়ালন্দ উপজেলার বাসিন্দা নজরুল মোল্লা বলেন, বর্তমান সংসার চালিয়ে নতুন পোষাক ক্রয় করা আমাদের জন্য অসম্ভব। তাই যেখানে কম দাম, সেখানে ছুঁটে যেতে হয়। তিনি বলেন, “ তৈরি পোষাক বাজারে দাম বেশি, তাই দর্জির কাছে জামা বানাই। দামও কম পড়ে, ফিটিংসও ভালো হয়। আবার টেকে বেশি দিন"।
একাধিক দর্জিরা বলেন, যদি তারা সারা বছর কাজের নিশ্চয়তা পেতেন, তাহলে তাদের জীবিকা আরও স্থিতিশীল হতো। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর নজর দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা।

আরও খবর