এ পার্থিব জীবন ক্রিয়া কৌতুক ব্যতিত কিছুই নয়, আখেরাতের জীবন ই প্রকৃত জীবন যদি তারা জানতো (সূরা আনকাবুত আয়াত ৬৪) প্রথমেই আমি যদি সমাজের চিএ স্মৃতিপটে দেখি প্রতিযোগিতামূলক, কিন্তু চলছে কীসের প্রতিযোগিতা?
দুনিয়াবী প্রতিযোগিতা। কে কার চেয়ে দুনিয়াতে ভালো থাকবে, কয়টা ফ্ল্যট কিনবে? কত বেশী দামী ব্র্যন্ডের প্রোডাক্ট ব্যবহার করবে এবং সবচেয়ে নিকৃষ্ট কে কত আঁটসাট পোশাক পরিধান করে মানুষের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু হবে। আমি যদি রাসুল ( স:) এর কথা চিন্তা করি ওঁনি রাষ্ট্রপরিচালনা করেছেন, কিন্তু সাদামাটা জীবন - ঝাপনকে বেছে নিয়েছেন, চাইলেই দুনিয়াবী ভালো থাকার উপকরণ দিয়ে দুনিয়াকে প্রাধান্য দিতে পারতেন।
তিঁনি দিয়েছেন আখেরাতকে। ওঁনার পরিবারের দিকে তাকালে দেখতে পাই যাকে সবচেয়ে বেশী ভালোবাসতেন ফাতিমা ( র:) কে । ওনি গরীবানা জীবন-ঝাপন করতেন, নিজের কাজকর্ম নিজে করতেন। একবার ইসলামী রাষ্ট্রপ্রধান রাসুল (.স:) এর কাছে খাদেম চাইলে রাসুল (স:) স্পষ্টভাবে না করে দেন এবং জানিয়ে দেন আসহাবে সুফফায় মানুষ অর্ধহারে অনাহারে দিন অতিবাহিত করছে, মানুষের জন্য তিঁনি এটাই দানশীল ছিলেন অন্তিম শয়নে ও আয়েশা র:) কে জিঙ্গাসা করলেন ঘরে কিছু দান করার মতো অবশিষ্ট আছে কীনা? আমরা কেন অন্যজনকে অধিকার বঞ্চিত করে নিজের পকেট ভারী করি? "রাসুল ( স:) ছিলেন সুমহান চরিএের অধিকারী "( সূরা ক্বলাম আয়াত -4) রাসুল (স:) এর চারিত্রিক গুনাবলী ছিলো অতুলনীয়। কোনো কাফের মুসলিম মুশরিক তাঁহার আচরণে মুগ্ধ না হয়ে কষ্ট পাননি।
আমাদের চারিত্রিক মাধুর্যতা কী ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি? রাসুল (স:) এর সমকালে যেসব নারীরা ইসলাম কবুল করেছিলো তাদের পোশাক কী এমনই ছিলো? পরপুরুষকে আকৃষ্ট করে যে দিন অতিবাহিত করছি তার গুনাহের ভার কী আমি বইতে পারবো? " হে নবী আপনি আপনার স্ত্রীদের কন্যাদের ও মুমিন নারীদের বলে দিন তারা যেন তাদের চাদর নিজেদের ( মুখের) উপর নামিয়ে নেয়, এ পন্থায় তাদের চিনে নেওয়া সহজ হবে, ফলে তাদের উত্যক্ত করা হবেনা, আল্লাহ্ ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।" ( সুরা আহযাব আয়াত 59) আমাদের সর্বদাই মনে রাখতে হবে দুনিয়াতে আমি কত টাকা আয় করবো কত টাকা ব্যায় করবো সেটা নির্ধারিত। কোনপথে আয় - ব্যয় করবো তা একান্তই আমার ব্যাপার। হারামে অর্জিত হলে ততটুকু ই উপার্জন করবেন যতটুকু শাস্তির ভার বহন করতে সক্ষম হবেন। " তুমি যদি দুনিয়ার পেছনে পড়ে থাক একদিন দুনিয়া তোমাকে ছেড়ে চলে যাবে, যদি আখেরাতকে প্রাধান্য দিয়ে দুনিয়াবী কর্মে এগিয়ে যাও। দুনিয়া ও আখেরাত দুটোই তোমার হবে।"
লেখক : সাদিয়া আফরিন
১ দিন ১০ ঘন্টা ১৩ মিনিট আগে
২ দিন ৩ ঘন্টা ১৩ মিনিট আগে
২ দিন ৫ ঘন্টা ১৪ মিনিট আগে
২ দিন ১৪ ঘন্টা ৪৯ মিনিট আগে
৩ দিন ১২ ঘন্টা ৩৬ মিনিট আগে
৪ দিন ৩ ঘন্টা ৯ মিনিট আগে
৫ দিন ৫৭ মিনিট আগে
১০ দিন ১ ঘন্টা ১৬ মিনিট আগে