বসন্তের বাতাসে ইরি-বোরো ধানের সবুজ ঢেউ কৃষকের মন ভরিয়ে দিচ্ছে। বৈশাখের বাতাসে ঢেউয়ের মতো দোল খাচ্ছে ধান গাছের সবুজ পাতা ও কাঁচা শীষ। এদিকে ধানের শীষে দুধ-দানা গঠন শুরু হয়েছে। আর কিছু মধ্যেই দানা পরিপক্ষ হলেই সোনালী ফসল ঘরে তুলতে শুরু করবে কৃষকরা। বৈশাখের বাতাসের ঢেউয়ে দুলে উঠছে প্রকৃতি। তাই ইরি-বোরো ধানের শীষে দোল খাচ্ছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন। ধানের কাঁচা শীষ দেখে বাম্পার ফলনের আনন্দে বুক ভরে উঠছে এই উপজেলার কৃষকদের। দিগন্ত জোড়া সবুজ ফসলের মাঠ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরো বিকশিত করে তুলেছে। অনুকূল আবহাওয়া, কৃষকের নিবিড় পরিচর্যা, যথাসময়ে জমিতে সার ও কীটনাশক প্রয়োগের কারণে ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষক ও উপজেলা কৃষি বিভাগ। মাঠে মাঠে দোল খাওয়া নতুন ধানের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকেরা। নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ১৯ হাজার ৩৯৯ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে। উপজেলার কৃষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উন্নত জাতের বোরো ধান চাষ করে বেশি ফলন পেতে ব্যাপক সহায়তা করছে কৃষি বিভাগ। উন্নত জাতের বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে। কৃষি বিভাগ উপজেলার কৃষকদেরকে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়ে আসছে। আর কদিন পরেই ধানের শীষ হলুদ বর্ণ ধারণ করবে। তার কিছুদিন পরেই সোনালী ধানের শীষে ঝলমল করবে মাঠের পর মাঠ। মাঠ ভরা ফসলের স্বপ্ন দেখে কৃষকদের চোখে মুখে ফুটবে আনন্দের ছোঁয়া। রাশি রাশি সোনালী ধানে ভরে উঠবে কৃষক/কৃষাণীর শূন্য গোলা। ইরি-বোরো মৌসুমকে ঘিরেই স্বপ্ন দেখে এ উপজেলোর চাষিরা। এবছর বিদ্যুৎ সরবরাহ ছিল অনেক ভালো। সার, বীজ ও বালাইনাশক সংকট ছিল না। ফলে ফসলের মাঠ অনেক সুন্দর হয়েছে। তাই এবার ধানের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকেরা। উপজেলার বীরপলি গ্রামের কৃষক গোলাপ হোসেন বলেন, আমাদের উপজেলায় মিনিকেট, কাটারিভোগসহ বিভিন্ন জাতের ধানের আবাদ করা হয়েছে। বর্তমানে নন্দীগ্রামের পুরো মাঠ জুড়ে এখন দোল খাচ্ছে আমাদের সোনালী স্বপ্ন। এবার বোরো চাষে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে, আশা করি প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে বোরো ধানের এবার বাম্পার ফলন হবে ইনশাআল্লাহ। স্থানীয় আরও কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কৃষি অফিসের সহযোগিতা ও পরামর্শে চাষাবাদকৃত ইরি-বোরো ধান গতবারের চেয়ে এবার ভালো হয়েছে। বৈশাখ মাসের মাঝামাঝি সময়ে ধান কাটা শুরু হবে। কোনো ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে বিগত বছরের তুলনায় এবার ভালো ফলন ঘরে তুলতে পারবে তারা। নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি অফিসার মো: গাজীউল হক জানান, ইরি-বোরো ধান চাষে শুরু থেকেই কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে রয়েছে। তারা সবসময় কৃষকদের পাশে থেকে সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে আসছে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকায় বোরো ধানের রোগবালাই কম হওয়ায় ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এবার চলতি মৌসুমে নন্দীগ্রাম উপজেলায় ১৯ হাজার ৩৯৯ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। কোনো ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে আশা করছি এবারো বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে।
১ ঘন্টা ২০ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ২৩ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ৫৭ মিনিট আগে
২ ঘন্টা ৬ মিনিট আগে